সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল এন্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেস

সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল এন্ড জিওগ্রাফিক ইনফর্মেশন সার্ভিসেস (সংক্ষেপেঃ সিইজিআইএস) বাংলাদেশের একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান যা পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ এবং ব্যবহার বিষয়ক কার্যক্রম পরিচালনা, ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণে সরকারকে সহায়তা ও পরামর্শ প্রদানের নিয়োজিত।[১] এই প্রতিষ্ঠানটি ঢাকার গুলশান এলাকায়-এ অবস্থিত এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত।[২] ২০০২ সালে এই প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা করা হয় পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনাবন্যা সম্পর্কিত বিষয়ে গবেষণা ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা ও দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টিসহ জাতীয় পর্যায়ে দক্ষ ও অভিজ্ঞ মানবসম্পদ তৈরির লক্ষ্যকে সামনে রেখে।[১]

সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল এন্ড জিওগ্রাফিক ইনফর্মেশন সার্ভিসেস
প্রতিষ্ঠিত২০০২; ২২ বছর আগে (2002)
কেন্দ্রবিন্দুপানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা
প্রধান ব্যক্তিমালিক ফিদা এ খান
(ব্যবস্থাপনা পরিচালক)
স্বত্বাধিকারীপানি সম্পদ মন্ত্রণালয়
অবস্থান
বাড়ী : ৬, সড়ক : ২৩/সি, গুলশান-১
, ,
ওয়েবসাইটhttp://www.cegisbd.com/

ইতিহাস সম্পাদনা

বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য ১৯৯১ সালে বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট প্রকল্প ‘ফ্যাপ’-এর ১৬ এবং ১৯ নং ফেইজের আওতায় পরিচালিত হয় পরিবেশগত ও জিআইএস প্রকল্পসমূহ, যেগুলোকে নিয়ে একত্রিতভাবে সমন্বিত একটি প্রকল্প দাঁড় করানো হয় ১৯৯৫ সালে এবং সেটি ‘এনভায়রনমেন্টাল এন্ড জিআইএস সাপোর্ট প্রোজেক্টস ফর ওয়াটার সেক্টর প্লানিং’ (ইজিআইএস) নামে পরিচিতি লাভ করে।[৩] নেদারল্যান্ড সরকারের আর্থিক সহায়তায় এবং বাংলাদেশ সরকারের পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত ইজিআইএস প্রকল্পটিকে ১৮৮২ সালের ট্রাস্ট আইনের অধীনে একটি স্বায়ত্তশাসিত ইনস্টিটিউট হিসাবে গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয় এবং ২০০২ সালের ১৬ মে ‘‘সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল এন্ড জিওগ্রাফিক ইনফর্মেশন সার্ভিসেস’’ (Center for Environmental and Geographic Information Services - CEGIS) প্রতিষ্ঠা করা হয়।[৪]

অবস্থান সম্পাদনা

ইজিআইএসের জন্য গৃহীত সকল নীতিমালার আলোকে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত[৫] এই প্রতিষ্ঠানটির সদর দপ্তর ঢাকার গুলশান-১-এর ২৩/সি নম্বর সড়কের ৬ নং ভাবনে অবস্থিত।[৬]

লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে সম্পাদনা

সিইজিআইএস-এর লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলা হয়েছে[৭] -

প্রকল্পের পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন ও পর্যবেক্ষণে দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পরিবেশ, ভৌগোলিক তথ্য ব্যবস্থা, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলের বহুল সংস্থা কর্তৃক প্রাপ্ত দূর-অনুধাবন তথ্য সহ নানাবিধ ক্ষেত্রে উপদেষ্টা পরিষেবা, গবেষণা, ডাটাবেস এবং প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য শ্রেষ্ঠত্বের কেন্দ্র হয়ে উঠা। সমন্বিত পরিবেশগত বিশ্লেষণ, ভৌগোলিক তথ্য ব্যবস্থা, দূরবর্তী সংবেদন কৌশল, ডাটাবেস, তথ্য প্রযুক্তি এবং অন্যান্য আধুনিক প্রযুক্তি সংগঠনগুলি ব্যবহার করে দেশে এবং বিদেশে টেকসই আর্থ-সামাজিক বিকাশের জন্য প্রাকৃতিক সম্পদ পরিচালনার ক্ষেত্রে সহায়তা করা।

কার্যক্রম সম্পাদনা

বৈজ্ঞানিকভাবে স্বাধীন একটি শ্রেষ্ঠতর কেন্দ্র হিসাবে সিইজিআইএসের লক্ষ্য সমন্বিতভাবে পরিবেশগত বিশ্লেষণ, ভৌগোলিক তথ্য সিস্টেম, দূরবর্তী সংবেদন কৌশল এবং তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে টেকসই আর্থ-সামাজিক বিকাশের জন্য প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনার সহায়তা করা[৮] এবং এই লক্ষ্য পূরণে সিইজিআইএস কর্তৃক অসংখ্য কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে যার ফলে নানামুখী সুফলও লাভ করা যাচ্ছে; এগুলোর মধ্যে রয়েছে -

  • সিএফআইএস : ‘কম্যুনিটি-বেজড ফ্লাড ইনফরমেশন সিস্টেম’ (Community-based Flood Information System - CFIS) নামক একটি নিজেস্ব প্রকল্পের অধীনে সরকারের এই প্রতিষ্ঠানটি তৃণমূল পর্যায়ে, বিশেষতঃ উপকূলীয় এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ, সচেতনতা তৈরি এবং বন্যার পূর্বাভাস সম্পর্কিত সতর্কবার্তা প্রেরণের কাজকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেয়ার ফলে এ সম্পর্কিত ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসে বিশেষ সাফল্য অর্জিত হয়েছে।[৯]

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Who We Are"। সিইজিআইএস। সংগ্রহের তারিখ ৫ অক্টোবর ২০১৯ 
  2. "Ganges Barrage Project blessing for country"দি ডেইলি স্টার। ২৯ মার্চ ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ৫ অক্টোবর ২০১৯ 
  3. মোঃ গিয়াসউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী (জানুয়ারি ২০০৩)। "বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নিষ্কাশন ও সেচ প্রকল্প"। সিরাজুল ইসলামবাংলাপিডিয়াঢাকা: এশিয়াটিক সোসাইটি বাংলাদেশআইএসবিএন 984-32-0576-6। সংগ্রহের তারিখ ৪ অক্টোবর ২০১৯ 
  4. "History"। সিইজিআইএস। সংগ্রহের তারিখ ৫ অক্টোবর ২০১৯ 
  5. "GIS map to show locations of all optical fibre cables"দি ডেইলি স্টার। ৪ আগস্ট ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৫ অক্টোবর ২০১৯ 
  6. "Contact Us"। সিইজিআইএস। সংগ্রহের তারিখ ৫ অক্টোবর ২০১৯ 
  7. "Vision & Mission"। সিইজিআইএস। সংগ্রহের তারিখ ৫ অক্টোবর ২০১৯ 
  8. "Bangladeshi Centre for Environmental and Geographic Information Services (CEGIS)"। The United Nations Office for Outer Space Affairs। সংগ্রহের তারিখ ৫ অক্টোবর ২০১৯ 
  9. "Early Flood Warning : CEGIS, banglalink sign MoU"দি ডেইলি স্টার। ২৩ অক্টোবর ২০০৭। সংগ্রহের তারিখ ৫ অক্টোবর ২০১৯ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা