সুসানে গীতি

বাংলাদেশের প্রথম নারী মেজর জেনারেল

মেজর জেনারেল সুসানে গীতি বাংলাদেশের প্রথম নারী মেজর জেনারেল। তিনি ২০১৮ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রথম নারী হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে মেজর জেনারেল হন।[১]

সুসানে গীতি
আনুগত্য বাংলাদেশ
সেবা/শাখা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী
কার্যকাল১৯৮৬ - ২০২৩
পদমর্যাদা মেজর জেনারেল
ইউনিটসেনাবাহিনীর চিকিৎসাদল
নেতৃত্বসমূহ

জন্ম ও শিক্ষাজীবন সম্পাদনা

সুসানে গীতি এর বেড়ে ওঠা পড়ালেখা সব রাজশাহীতেই। তিনি প্রথম থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত সরকারি পি এন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন রাজশাহী কলেজ থেকে। সুসানে গীতি ১৯৮৫ সালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন। তিনি ১৯৯৬ সালে হেমাটোলজিতে এফসিপিএস ডিগ্রী লাভ করেন।

কর্মজীবন সম্পাদনা

১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে নারী ডাক্তার হিসেবে ক্যাপ্টেন পদে যোগ দেন সুসানে গীতি। পরবর্তীতে ১৯৯৬ সালে প্রথম নারী হিসেবে হেমাটোলজি বিষয়ে এফসিপিএস ডিগ্রি অর্জন করেন। এছাড়া তিনি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশন ও বিভিন্ন সামরিক হাসপাতালে প্যাথলজি বিশেষজ্ঞের দায়িত্ব পালন করেছেন। ইতিপূর্বে তিনি আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজের প্যাথলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত ছিলেন।[২] তিনি ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারী তে সামরিক বাহিনী থেকে অবসর গ্রহণ করেন। অবসরের আগ পর্যন্ত তিনি আর্মড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অফ প্যাথলজি র কমান্ড্যান্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। 

পারিবারিক জীবন সম্পাদনা

সুসানে গীতির স্বামী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আসাদুল্লাহ মো. হোসেন সাদ (অব.) বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "দেশের প্রথম নারী মেজর জেনারেল সুসানে গীতি"কালের কণ্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৯-৩০ 
  2. "দেশের প্রথম নারী মেজর জেনারেল সুসানে গীতি"বাংলা ট্রিবিউন। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৯-৩০ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]