সুয়াত দেরভিস (১৯০৪ বা ১৯০৫ - ১৯৭২) একজন তুর্কী ঔপন্যাসিক, সাংবাদিকরাজনৈতিক কর্মী ছিলেন, যিনি ১৯৭০ সালে সমাজতান্ত্রিক মহিলা সমিতির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন।[১]

সুয়াত দেরভিস
জন্ম১৯০৪ বা ১৯০৫
মৃত্যু২৩ জুলাই ১৯৭২
জাতীয়তাতুর্কী
পেশাঔপন্যাসিক, সাংবাদিক,
রাজনৈতিক কর্মী
উল্লেখযোগ্য কর্ম
ফোঁসফোরলু জেভরিয়ে
(রাদিয়েন্ত জেভরিয়ে, ১৯৬৮)

পারিবারিক ও প্রাথমিক কর্মজীবন সম্পাদনা

সুয়াত দেরভিস ইস্তাম্বুলে ১৯০৪ সাল বা ১৯০৫ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি একটি সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। [২] তার পিতা ইসমাইল দেরিভস ছিলেন একজন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ এবং ইস্তাম্বুল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল অনুষদের অধ্যাপক। [১] তার মা হেসনা হানাম ছিলেন অটোমান সুলতান আবদুল আজিজের প্রতিনিধি দলের এক ক্রীতদাসীর কন্যা।[১] সুয়াতের বোনের নাম হামিয়াত, যিনি জার্মানির বেশ কয়েকটি কনজারভেটরিতে সংগীত শিক্ষা লাভ করেছিলেন। তার পিতামাতার সম্পর্ক একক ছিল, এবং তাদের একটি নির্ভরযোগ্য পরিবার হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছিল, যারা সুয়াতের সমর্থক ছিল।[১] তিনি ছোটবেলায় বোরকা পরতেন।[২]

তিনি সাহিত্য, সঙ্গীত, ফরাসিজার্মান শিক্ষার জন্য ব্যক্তিগত গৃহশিক্ষকের থেকে শিক্ষা পেয়েছেন। তিনি ১৯১৯ সাল থেকে ১৯২০ সালের মধ্যে জার্মানিতে তার বোন হামিয়াতের সাথে থাকতেন এবং বার্লিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন।[১] তিনি বার্লিনার জেইটুং সহ জার্মান পত্রিকার জন্য তুরস্ক সম্পর্কে লিখতে শুরু করেন এবং ১৯২০ সালে কারা কিতাপ (কালো বই) নামে তার প্রথম বই প্রকাশ করেন। [১] তিনি ১৯২০ সাল থেকে ১৯৩২ সালের মধ্যে আরও দশটি উপন্যাস প্রকাশ করেন।[১] প্রাথমিক উপন্যাসগুলি লিঙ্গ, শ্রেণী ও মহিলাদের মনোবিজ্ঞানের বিষয়গুলি পরীক্ষা করেছে। তারা প্রায়শই একটি শহুরে পরিবেশ ব্যবহার করত, যা তিনি যে সময়কালে লিখছিলেন তার জন্য অস্বাভাবিক ছিল। একজন পর্যালোচক বলেছিলেন যে "[সুয়াত দেরিভস], যিনি হালিদে এডিব [সময়ের সবচেয়ে বিখ্যাত নারী লেখিকা] এর চেয়ে বেশি বস্তুনিষ্ঠ এবং আধুনিক, তিনি কোনোভাবেই কম গভীর নন"।[১] তিনি একজন ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক হিসেবেও কাজ করেছেন। তিনি যেসব ঘটনার রিপোর্ট করেছিলেন তার মধ্যে ছিল লুসানের সম্মেলন, যেখানে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী তুরস্কের ভাগ্য নির্ধারিত হয়েছিল।[১] তার প্রথম দিকের উপন্যাসগুলিকে তুর্কি ভাষার প্রথম গথিক উপন্যাস হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে।[৩]

তুরস্কে প্রত্যাবর্তন সম্পাদনা

১৯৩২ সালে তার পিতার মৃত্যু ঘটে, যার জন্য তিনি তুরস্কে ফিরে যান। তিনি বেশ কয়েকটি বুদ্ধিজীবী চক্রের সদস্য হয়েছিলেন।[১] তিনি ১৯৩০ সালের তুর্কি বিরোধী দলের রাজনৈতিক দল সারবেস্ট কুমহুরিয়েত ফারকাসি'তে (লিবারেল রিপাবলিকান পার্টি) যোগ দিয়েছিলেন। দলটি অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে মহিলাদের ভোটাধিকার দেওয়ার পক্ষে সমর্থন করেছিল।[১] ১৯৩০-এর দশকের কোনো এক সময় তিনি স্থানীয় নির্বাচনে ব্যর্থ হন।[১] শেষ পর্যন্ত তার দলকে নিষিদ্ধ করা হয়, এবং তিনি নিজে মার্কসবাদী চিন্তা দ্বারা আরো প্রভাবিত হয়ে ওঠে। তিনি ইয়েনি এদেবিয়াত-এর (নতুন সাহিত্য) একজন লেখক হয়েছিলেন।[১]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. A Biographical Dictionary of Women’s Movements and Feminisms 
  2. "Ottoman women in postcards compiled in book"। Daily Sabah। সংগ্রহের তারিখ ১১ জানুয়ারি ২০১৭ 
  3. Akdik, Hazel Melek। "Kadın ve korku"। Radikal। জানুয়ারি ১৩, ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ জানুয়ারি ২০১৭