সুনীলকুমার মুখোপাধ্যায়

সুনীলকুমার মুখোপাধ্যায় ( ১৭ আগস্ট, ১৯২০ ― ২৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৩) ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব ও ভারতীয় নৌবিদ্রোহের শহীদ।[১]

নৌবিদ্রোহের শহীদ বিপ্লবী

সুনীলকুমার মুখোপাধ্যায়
জন্ম১৭ আগস্ট, ১৯২০
মৃত্যু২৭ সেপ্টেম্বর ১৯৪৩(1943-09-27) (বয়স ২৩)
জাতীয়তাভারতীয়
পরিচিতির কারণনৌ-বিদ্রোহের নেতা
আন্দোলনব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন

জন্ম ও শিক্ষা সম্পাদনা

সুনীলকুমার মুখোপাধ্যায়ের জন্ম ১৯২০ খ্রিস্টাব্দের ১৭ই আগস্ট ( ১৩২৭ বঙ্গাব্দের ১লা ভাদ্র) বৃটিশ ভারতের কলকাতার শোভাবাজারে তার মামারবাড়িতে। পৈতৃক নিবাস ছিল পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার বলাগড় থানার অন্তর্গত খামারগাছি-কামালপুর গ্রামে। তার পিতা পাঁচুগোপাল মুখোপাধ্যায় এবং মাতা বীণাপাণি দেবী। তাদের নয় সন্তানের জ্যেষ্ঠ ছিলেন সুনীল কুমার। সুনীলকুমারের প্রাথমিক পড়াশোনা শুরু গ্রামের কামালপুর স্কুলে। এরপর বলাগড় বিদ্যালয় থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন হয়ে কলকাতায় আই.এ ভর্তি হন। কিন্তু পারিবারিক অসচ্ছলতা কারণে আর পড়াশোনা করতে পারেননি। বৃটিশ সেনাবাহিনীতে যোগ দেন হাবিলদার পদে।

জাতীয়তাবাদী কার্যকলাপে যোগ সম্পাদনা

১৯৪২ এর ভারত ছাড়ো আন্দোলন ও নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর 'দিল্লী চলো' আহবানে সৈন্যশিবিরে দেশীয় সিপাইদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। তিনিও জাতীয়তাবাদী কার্যকলাপে যুক্ত হন। সেই সময় চতুর্থ মাদ্রাজ উপকূল প্রতিরক্ষা বাহিনীর মধ্যে বিদ্রোহের সূচনা দেখা দিলে সামরিক পুলিশ ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দের ১৮ই এপ্রিল সুনীলকুমার সহ বারো জন সৈনিককে গ্রেফতার করে। ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দের ৫ ই আগস্ট সামরিক আদালতের বিচারে তাদের মধ্যে সুনীলকুমার-সহ আরো আট জনের প্রাণদণ্ড, দুজনের যাবজ্জীবন দ্বীপান্তর এবং এক জনের সশ্রম কারাদণ্ড হয়।[২][১]

ফাঁসি সম্পাদনা

২৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৩ সুনীলকুমার ও অন্য আট জন বন্দে মাতরম্‌ এবং জয় হিন্দ ধ্বনি-সহ পরস্পরকে আলিঙ্গন করে মাদ্রাজ দুর্গে ফাঁসিতে প্রাণ উৎসর্গ করেন।[৩]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. প্রথম খন্ড, সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু (২০১৬)। সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান। কলকাতা: সাহিত্য সংসদ। পৃষ্ঠা ৮০১। আইএসবিএন 978-81-7955-135-6 
  2. "১৯৪৩ সালের ২৭ শে সেপ্টেম্বর মাদ্রাজ দুর্গে একসাথে ফাঁসি হয়েছিল নয়জন বাঙালি বিপ্লবীর"LITERACY PARADISE। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০১-০৯ 
  3. "চিতাভস্ম কিনতে হুড়োহুড়ি"। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-১৩