সিলেট সরকারি কলেজ

বাংলাদেশের সিলেট জেলার একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

সিলেট সরকারি কলেজ বাংলাদেশের সিলেট জেলার একটি পুরোনো ও ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সিলেট শহরের টিলাগড় এলাকায় সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের পার্শ্বে অবস্থিত এই কলেজটি ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত।[] কলেজটিতে বর্তমানে উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণি ও স্নাতক (পাস) শ্রেণিতে শিক্ষা দান করা হয়।

সিলেট সরকারি কলেজ

ধরনসরকারি কলেজ
স্থাপিত১৯৬৪
সিলেট, বাংলাদেশ
অধ্যক্ষপ্রফেসর এ.জেড.এম.মাঈনুল হোসেন[]
শিক্ষার্থী৬,৫০০ +
অবস্থান
তামাবিল সড়ক, টিলাগড়, সিলেট[][]
ওয়েবসাইটhttp://sgc-syl.gov.bd/

ইতিহাস

সম্পাদনা

১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত এ কলেজটির নামকরণ করা হয়েছিল মুরারি চাঁদ উচ্চমাধ্যমিক মহাবিদ্যালয়। ১৯৬৬ সালের জুলাই থেকে মানবিক ও বাণিজ্য শাখা নিয়ে কলেজের যাত্রা শুরু এবং পরবর্তীকালে বিজ্ঞান শাখা চালু হয়। কলেজটি জন্ম লগ্ন থেকে সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। কলেজটিতে কো-এডুকেশন চালু থাকায় নারী শিক্ষা প্রসারে কলেজটি ভূমিকা পালন করে থাকে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

১৯৮৮ সাল থেকে স্নাতক পর্যায়ে বি.এ., বি.এস.এস. ও বি.বি.এস. কোর্স চালু করা হয়। ১৯৮৮ সালের ৩১ ডিসেম্বরে শিক্ষামন্ত্রণালয়ের এক আদেশ বলে মুরারি চাঁদ উচ্চমাধ্যমিক মহাবিদ্যালয় নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘সিলেট সরকারি কলেজ’।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

ক্যাম্পাস

সম্পাদনা

ক্যাম্পাসের আয়তন ১৭ একর।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

অনুষদ ও বিভাগসমূহ

সম্পাদনা

এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ২ বছর মেয়াদি উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণী ও ৩ বছর মেয়াদী স্নাতক (পাস) শ্রেণীতে শিক্ষা দান করা হয়। এছাড়াও ২০১৮ সাল থেকে কলেজে পাঁচটি বিষয়ের উপর ৪ বছর মেয়াদী স্নাতক কোর্স চালু হয়েছে।

উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণি

সম্পাদনা
  • মানবিক বিভাগ
  • বিজ্ঞান বিভাগ
  • ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ

স্নাতক (পাস) শ্রেণি

সম্পাদনা
  • কলা অনুষদ
  • সমাজ বিজ্ঞান অনুষদ
  • ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ

একাডেমিক সুযোগ সুবিধা

সম্পাদনা

একাডেমিক ভবন

সম্পাদনা

বর্তমানে এই কলেজে ২ টি একাডেমিক ভবন রয়েছে। এগুলোতে শ্রেণী পাঠ দান ছাড়াও প্রশাসনিক কাজ করা হয়।
এছাড়াও কলেজে একটি অডিটোরিয়াম ভবন রয়েছে।

গ্রন্থাগার

সম্পাদনা

কলেজের মূল একাডেমি ভবনের ২য় তলায় স্বল্প পরিসরে একটি লাইব্রেরী রয়েছে। বর্তমানে এই লাইব্রেরীতে ৫,০০০-এর বেশি বই রয়েছে।

বোটানিক্যাল গার্ডেন

সম্পাদনা

কলেজের মূল একাডেমিক ভবনের তৃতীয় ব্লকের সামনে বেশ কিছু দুর্লভ গাছ সমৃদ্ধ একটি বোটানিক্যাল গার্ডেন রয়েছে, যেটি কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকে।

কলেজের সুযোগ সুবিধা

সম্পাদনা

ছাত্রাবাস

সম্পাদনা

বর্তমানে এই কলেজে ২টি ছাত্রাবাস রয়েছে। একটি ছাত্রদের ও অপরটি ছাত্রীদের জন্য। ছাত্রদের ছাত্রাবাসটি দ্বিতল বিশিষ্ট ও ২টি ব্লকের সমন্বয়ে গঠিত। অপর দিকে ছাত্রীদের ছাত্রাবাসটি ৪ তলা বিশিষ্ট একটি আধুনিক স্থাপনা। তবে, ছাত্রদের জন্য নির্ধারিত ছাত্রাবাসটি ছাত্র-সংঘর্ষের ফলে অগ্নিদগ্ধ হয়ে বর্তমানে অব্যবহৃত অবস্থায় রয়েছে।[]

খেলার মাঠ

সম্পাদনা

কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্যেই রয়েছে কলেজের নিজস্ব খেলার মাঠ। এখানে শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা করা ছাড়াও কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্যেই রয়েছে কলেজের নিজস্ব মসজিদ। এখানে শিক্ষার্থীরা ছাড়াও কলেজের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও পার্শ্ববর্তী এলাকার লোকজন নামাজ আদায় করে থাকে।

ছাত্র-ছাত্রী পরিবহন কলেজের ছাত্র-ছাত্রী এবং কলেজের অর্থায়নের সহযোগিতায় দুটি বাস রয়েছে যেগুলো ছাত্র-ছাত্রীদের পরিবহনে ব্যবহৃত হয়। একটি বাস কলেজ হতে বন্দর বাজার, জিতু মিয়া পয়েন্ট সহ আম্বরখানা হয়ে কলেজে পৌঁছায় এবং অপরটি কলেজ হতে বটেশ্বর পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রী পরিবহন করে থাকে।

সহশিক্ষা কার্যক্রম

সম্পাদনা

সিলেট সরকারি কলেজে বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের সহশিক্ষা কার্যক্রম চালু রয়েছে:

সাংস্কৃতিক কার্যক্রম

সম্পাদনা

প্রতি বছর এই কলেজে বাংলা নববর্ষ-এর অনুষ্ঠান উদযাপিত হয় । এছাড়াও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডও এখানে দেখা যায়।

কৃতী শিক্ষার্থী

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. https://sylgovcollege.edu.bd/pages/user/2
  2. "পাঁচ বছরেও সংস্কার হয়নি ছাত্রাবাস"দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুলাই ২০১৫ 
  3. "সাফল্যের মুকুট ধরে রাখতে পারেনি সিলেট সরকারি কলেজ"দৈনিক সিলেট প্রেস। ২৬ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুলাই ২০১৫ 
  4. "সিলেট বিভাগের খাদিমপাড়া ইউনিয়ন-এর তথ্য-বাতায়ন"খাদিমপাড়া ইউনিয়ন তথ্য বাতায়ন। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুলাই ২০১৫ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা