সিদনা আলি মসজিদ (আরবি: مسجد سيدنا علي) হচ্ছে ইসরায়েলের হার্জলিয়ার উত্তরাংশে সমুদ্র সৈকতের আল-হারাম নামক জনবহুল গ্রামে অবস্থিত একটি মসজিদ। এটি ১৯৯৮ সাল থেকে একটি মসজিদ এবং একটি মাদ্রাসা হিসেবে কার্যক্রম শুরু করে।[১][সন্দেহপূর্ণ ]

সিদনা আলি মসজিদ
מסגד סידנא עלי
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিইসলাম
অবস্থান
অবস্থানহার্জলিয়া, তেল আবিব, ইসরায়েল
সিদনা আলী মসজিদ ইসরায়েল-এ অবস্থিত
সিদনা আলী মসজিদ
ইসরায়েলে অবস্থান
স্থানাঙ্ক৩২°১১′১৬.২২″ উত্তর ৩৪°৪৮′২০.৪৭″ পূর্ব / ৩২.১৮৭৮৩৮৯° উত্তর ৩৪.৮০৫৬৮৬১° পূর্ব / 32.1878389; 34.8056861
স্থাপত্য
ধরনইসলামী স্থাপত্য

মসজিদটি স্থানীয় দরবেশ আলী বে-যিনি ১০৮১ সালে মারা যান তাঁর সমাধির পাশে অবস্থিত।[২] আলী সুলতান বেবারসের জীবনীর লেখক। যাকে মুহি আল-দীন (মৃত্যু ১২৯২) মহান পণ্ডিত এবং অলৌকিক কর্মী বলে সম্মানিত করেন।[২] মুজির আল-দীন অনুসারে ১২৬৫ সালে বেবার সমাধিটি পরিদর্শন করেছিলেন।ভজেরুজালেম রাজ্যের আরসুফ গ্রামটি ক্রুসেডারদের থেকে পুনরুদ্ধার করার আগে বেবারস বিজয়ের জন্য প্রার্থনা করতে এসেছিলেন।[২] একটি বার্ষিক উৎসব হতো যা এখানে ১৫ শতকে হতে 1940 এর দশক পর্যন্ত অব্যাহত ছিল।[৩]

বিদ্যমান ভবনটির নির্মাণ ও মেরামতে বিভিন্ন যুগের অংশ থাকলেও পিটারসেন দাবি করেছেন যে সব ১৫শতক পরবর্তী সংস্করণ।[৩] যখন তারাগান উপাদানগুলি শনাক্ত করে বিশেষ করে মিনারের প্রবেশদ্বার যা ১২৭০-৯০ এর দশকের অন্যান্য প্রারম্ভিক মামলুক ধর্মীয় ভবনের শৈলীর মত। উল্লেখ্য যে এই ধরনের সমর্থন করার জন্য কোনো লিখিত নথি অবশিষ্ট নেই।[৪]১৯৫০ সালে বর্ণিত বিল্ডিংয়ের অংশটি অদৃশ্য হয়ে গেছে।[৩] তারাগান ১৫ শতকের শেষের দিকের গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন।সমাধির উপর একটি মার্বেল স্মৃতিস্তম্ভ এবং একটি মিনার সহ ত্রয়োদশ এবং পঞ্চদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে খিলানযুক্ত তোরণগুলি নির্মাণকৃত।[৫] দ্বিতীয় তলার কক্ষগুলোতে ও মিহরাব এ শিলালিপি যুক্ত করা হয়েছে।[৫] প্রথম বিশ্বযুদ্ধ নৌ-বোমা হামলায় মিনারটি ধ্বংস হয়ে যায় এবং তারপর পুনর্নির্মাণ করা হয়।[৩] প্রধান মেরামতের কাজ হয় ১৯২৬, ১৯৫৯ এবং ১৯৯১-১৯৯২ সালে।[৩]

১৯৯০ সাল থেকে ইসরাইল এর রাজধানীতে অবস্থানের কারণে মসজিদটি গ্যালিলি গ্রাম থেকে আসা ইসরায়েলি আরবদের এবং জাফা এবং রামলা এর মতো স্থানের শহরবাসীদের তীর্থযাত্রার একটি জনপ্রিয় লক্ষ্য শুক্রবার এসে সমাধিতে প্রার্থনা এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করা।[৫]

আরও দেখুন সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Jacobs, Daniel; Eber, Shirley; Silvani, Francesca (১৯৯৮)। "Herzliya"। Israel and the Palestinian Territories: The Rough Guide। Rough Guides। পৃষ্ঠা 154। আইএসবিএন 1-85828-248-9। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-১৮ 
  2. Taragan, Hana (2004): The Tomb of Sayyidna Ali in Arsuf: the Story of a Holy Place In JRAS (Journal of the Royal Asiatic Society), Series 4, 14, 2 (2004), pp. 83–102.
  3. Petersen, pp 146--148.
  4. Taragan, pp.97-98
  5. Taragan, p.102

গ্রন্থপঞ্জি সম্পাদনা