সায়মন বিচ রিসোর্ট
সায়মন বিচ রিসোর্ট বাংলাদেশের কক্সবাজারের কলাতলী পয়েন্টে অবস্থিত একটি পাঁচ তারকা রিসোর্ট। এটি শহরের প্রথম বেসরকারি হোটেল সায়মন হোটেলের উত্তরসূরী। রিসোর্টটির নির্মাণকাজ প্রাথমিকভাবে ২০১৩ সালে শুরু হয় ও ২০১৫ সালে শেষ হয়।
সায়মন বিচ রিসোর্ট | |
---|---|
![]() | |
![]() | |
প্রাক্তন নাম | সায়মন হোটেল |
সাধারণ তথ্য | |
অবস্থা | চালু |
স্থাপত্য রীতি | আধুনিক |
ঠিকানা | কলাতলী, মেরিন ড্রাইভ সড়ক |
শহর | কক্সবাজার |
দেশ | বাংলাদেশ |
স্থানাঙ্ক | ২১°২৪′৫১″ উত্তর ৯১°৫৯′০৩″ পূর্ব / ২১.৪১৪১৪৪৯° উত্তর ৯১.৯৮৪০৮৬৩° পূর্ব |
ভূমিবিদারক | ৮ অক্টোবর ২০১৩ |
কার্যারম্ভ | ১৫ জানুয়ারি ২০১৫ |
ব্যবস্থাপনা | মাহবুব রহমান |
কারিগরী বিবরণ | |
তলার সংখ্যা | ১১ |
পদক এবং পুরস্কার | সাউথ এশিয়ান ট্রাভেল অ্যাওয়ার্ডস (২০১৯) |
অন্যান্য তথ্য | |
কক্ষ সংখ্যা | ২২৮ |
ওয়েবসাইট | |
sayemanresort |
ইতিহাসসম্পাদনা
১৯৬৪ সালে সায়দুর রহমান পূর্ব পাকিস্তানের কক্সবাজারে "হোটেল সায়মন" নামে একটি বেসরকারি হোটেল প্রতিষ্ঠা করেন। এটি ছিল শহরটির প্রথম ব্যক্তিগত মালিকানাধীন হোটেল।[১] পাঁচ বছর পর তথা ১৯৬৯ সালে শেখ মুজিবুর রহমান ও হোটেলটির প্রতিষ্ঠাতার ছেলে মোশাররফ হোসেন কক্সবাজার ভ্রমণের সময় এই হোটেলে অবস্থান করেন এবং তাদের সম্মানে একটি ক্যান্ডেল লাইট ডিনারের আয়োজন করা হয়।[২] ১৯৭৯ সালে স্বাধীন বাংলাদেশে মোশাররফ হোসেন এটিকে ৭৫টি কক্ষ বিশিষ্ট রিসোর্টে রূপান্তরিত করেন।[১] পরে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাও এই হোটেলের অতিথি ছিলেন।[২] ২০১৩ সালে পুরোনো হোটেলের জায়গায় "সায়মন হেরিটেজ রেসিডেন্স" নামে একটি রিসোর্ট কনডোমিনিয়াম নির্মাণের ঘোষণা দেওয়া হয় ও হোটেলটি বাহারছড়া থেকে কলাতলীতে স্থানান্তরিত হয় যার নাম পরিবর্তন করে "সায়মন বিচ রিসোর্ট" রাখা হয়।[১][২] নতুন রিসোর্টটি ১৫ জানুয়ারী ২০১৫ তারিখে তৎকালীন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেননের উপস্থিতিতে উদ্বোধন করা হয়।[৩]
বৈশিষ্ট্যসম্পাদনা
২৮৮ কক্ষ বিশিষ্ট এই রিসোর্টের অধিকাংশ কক্ষ থেকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত দেখা যায়।[৪] এখানে ওশেন ও ডিলাক্স স্যুট, রেস্তোরাঁ, সুইমিং পুল, বার ডেক, বলরুম এবং কনভেনশন হল রয়েছে।[৩]
আয়কর ফাঁকিসম্পাদনা
২০২১ সালে আয়কর বিভাগ দ্বারা প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৫ থেকে ৬ বছর ধরে রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ কোনও আয়কর রিটার্ন জমা দেয়নি। প্রতিবেদন প্রকাশের পর কর্তৃপক্ষ আয়কর রিটার্ন হিসেবে ৪০ লাখ টাকা অগ্রিম প্রদান করে। প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয় যে রিসোর্টটি তাদের আয়ের মিথ্যা তথ্য প্রদান করেছে।[৫]
দূষণসম্পাদনা
২০১৯ সালে পরিবেশ অধিদপ্তর দূষিত পানি সমুদ্রে ফেলার অভিযোগে কর্তৃপক্ষকে ৫০,০০০ টাকা জরিমানা করে।[৬]
মামলাসম্পাদনা
১৯৯৯ সালে কক্সবাজারের ১৫ বর্গকিলোমিটার উপকূলীয় এলাকাকে পরিবেশগত কারণে আইনত সংরক্ষিত এলাকা হিসাবে ঘোষণা করা হয়, কিন্তু সায়মন বিচ রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ কলাতলীতে রিসোর্টটি নির্মাণের জন্য জমিটি ইজারা নেয়। ২০১৯ সালে একটি মামলার রায় হয় যে ইজারাটি অবৈধ ছিল ও সেই রায়ে রিসোর্ট ভবনটি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়।[৭]
পুরস্কারসম্পাদনা
২০১৯ সালে সায়েমান বিচ রিসোর্ট সাউথ এশিয়ান ট্রাভেল অ্যাওয়ার্ডস (সাটা) পুরস্কার জিতে। শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে রিসোর্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুব রহমানকে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়।[৮]
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ ক খ গ "Hotel Sayeman launches resort"। বিডিনিউজ২৪.কম (ইংরেজি ভাষায়)। ১১ অক্টোবর ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ১৭ আগস্ট ২০২২।
- ↑ ক খ গ "Hotel Sayeman: Pioneer in beach town tourism"। টিবিএসনিউজ.নেট (ইংরেজি ভাষায়)। ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ১৭ আগস্ট ২০২২।
- ↑ ক খ "কক্সবাজারে সায়মন বিচ রিসোর্ট"। বাংলানিউজ২৪.কম। ২০ জানুয়ারি ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১৭ আগস্ট ২০২২।
- ↑ "সায়মন বিচ রিসোর্টে হানিমুন ও শীতের বিশেষ প্যাকেজ"। বাংলা ট্রিবিউন। ১৬ অক্টোবর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১৭ আগস্ট ২০২২।
- ↑ মাসুদ, রহমান (৬ অক্টোবর ২০২১)। "কর দেয় না সায়মন বিচ রিসোর্ট"। নিউজবাংলা২৪.কম। সংগ্রহের তারিখ ১৭ আগস্ট ২০২২।
- ↑ "DoE fines Sayeman beach resort for polluting environment"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ১৪ অক্টোবর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১৭ আগস্ট ২০২২।
- ↑ "কক্সবাজার সৈকতে অবৈধ হোটেল-মোটেল ভেঙে ফেলার নির্দেশ"। উখিয়ানিউজ.কম। ২৪ ডিসেম্বর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১৭ আগস্ট ২০২২।
- ↑ "Sayeman Beach Resort wins SATA award"। ডেইলি সান (ইংরেজি ভাষায়)। ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১৭ আগস্ট ২০২২।