সাত ভাই চম্পা (টেলিভিশন ধারাবাহিক)
বাংলার রূপকথার গল্প বা লোককাহিনি সাত ভাই চম্পা। ১৯০৭ সালে দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার এই লোককাহিনি ঠাকুরমার ঝুলি বইয়ে উপস্থাপন করেন। বইটিতে মুখবন্ধ লিখেছিলেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এরপর ১৯৪৪ সালে পুনরায় বিষ্ণু দে গল্পটি প্রকাশ করেন। এই জনপ্রিয় লোককাহিনি নিয়ে বাংলা সিনামা, ধারবাহিক নাটক নির্মিত হয়েছে।
সাত ভাই চম্পা | |
---|---|
ধরন | সোপ অপেরা |
নির্মাতা | সুরিন্দর সিং |
উৎস | দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার কর্তৃক ঠাকুরমার ঝুলির সাত ভাই চম্পা |
লেখক | সায়ন্তনী ভট্টাচার্য রূপা ব্যানার্জী প্রিয়াঙ্কা শেঠী |
পরিচালক | রজত পাউল সুমন দাস |
শ্রেষ্ঠাংশে | প্রমিতা চক্রবর্তী রুদ্রজিৎ মুখার্জী সম্রাট মুখার্জী সুদীপ্তা ব্যানার্জী সোনালি চৌধুরী |
আবহ সঙ্গীত রচয়িতা | মাধুরা ভট্টাচার্য |
প্রারম্ভিক সঙ্গীত | "সাত ভাই চম্পা" |
সুরকার | দেবজীত রায় |
দেশ | ভারত |
মূল ভাষা | বাংলা |
মৌসুমের সংখ্যা | ১ |
পর্বের সংখ্যা | ৪৫৪ |
নির্মাণ | |
প্রযোজক | সুরিন্দর সিং নিসপাল সিং |
নির্মাণ স্থান | কলকাতা |
চিত্রগ্রাহক | পরিতোশ সিং |
স্থিতিকাল | ২১ মিনিট |
নির্মাণ প্রতিষ্ঠান | সুরিন্দর ফিল্মস |
মুক্তি | |
নেটওয়ার্ক | জি বাংলা |
মুক্তি | ২৭ নভেম্বর ২০১৭ ৩ মার্চ ২০১৯ | –
সম্পর্কিত অনুষ্ঠান | |
শুরবীর সিস্টার (হিন্দি ডাবকৃত) |
১৯৬৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সাত ভাই চম্পা চলচ্চিত্র ব্রিটিশ ফিল্ম ইনস্টিটিউটের সেরা ১০টি বাংলা চলচ্চিত্রের মধ্যে স্থান করে নিয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় সাত ভাই চম্পা কাহিনি নিয়ে একটি ভারতীয় বাংলা টেলিভিশন ধারাবাহিক প্রচার করে। এটি ২৭ নভেম্বর ২০১৭ সালে নির্মিত হয়েছিল এবং জি বাংলাতে প্রচারিত হয়েছিল। এটি প্রযোজনা করেছে সুরিন্দর ফিল্মস এবং শ্রেষ্ঠাংশে অভিনয় করছেন প্রমিতা চক্রবর্তী,[১] রুদ্রজিৎ মুখার্জি এবং সুদীপ্ত বন্দ্যোপাধ্যায়। অনুষ্ঠানটি হিন্দিতে "শুরভীর সিস্টার" নামে ডাব করা হয়েছে যা বিগ ম্যাজিক চ্যানেলে প্রচারিত হয়। জি স্বার্থক এটি ওড়িয়া ভাষায় ডাবিং করে প্রচার করে। এটি ২৭ নভেম্বর ২০১৭ সালে নির্মিত হয়েছিল এবং জি বাংলায় প্রতিদিন সকাল ৮:০০ মিনিটে প্রচারিত হত। এটি ৩ মার্চ ২০১৯ সালে এর সম্প্রচার বন্ধ হয়ে যায় এবং এটি "ত্রিনয়নী" দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়।
পটভূমি
সম্পাদনাসূর্যনগরের রাজা মহেন্দ্রের প্রথমা রানী মণিমল্লিকার নেতৃত্বে, স্বার্থপর রানীরা সপ্তমা রাণী পদ্মাবতীর সাত পুত্র এবং এক কন্যাকে হত্যা করার চেষ্টা করেছিলেন। মণিমল্লিকার জাদুতে সাত ভাই চাঁপা ফুল হয়ে যায়। মেয়ে পারুলকে উদ্ধার করে দাসী। বেশ কিছু দুঃসাহসী অভিযানের মধ্য দিয়ে রাজকুমারী পারুলকে দীর্ঘ দিনের হারিয়ে থাকা তাঁর সাত ভাইকে (যারা এখন চাঁপা ফুল) জীবিত ফিরিয়ে আনতে হবে এবং তার পরিবারকে পুনরায় একত্র করতে হবে। তিনি সাহসী সেনাপতি রাঘবকে (রাঘবেন্দ্র) তার সঙ্গী হিসাবে পান। এবং দুষ্ট জাদুকরী রাক্ষসী রানী মণিমল্লিকা তার প্রধান শত্রুতে পরিণত হয়। বিয়ের দিন রাঘব হারিয়ে যায়, একটি হাতির তাকে অন্য দেশে নিয়ে যায়। সেখানের বাসিন্দারা তাকে রাজা ভাবে। এই সমস্ত কিছুর পিছনে ছিল একজন দুষ্ট যাদুকর (জাদুকর বৃশ্চিক) এবং দুষ্ট রানী। রাজকুমারী পারুল তাকে উদ্ধার করে এবং তার বন্ধুদের সাহায্যে মণিমল্লিকাকে হত্যা করে। তিনি রাঘবকে বিয়ে করেন এবং সূর্যনগরে সুখে জীবনযাপন করতে থাকেন।
অভিনয়
সম্পাদনামূল
সম্পাদনা- প্রমিতা চক্রবর্তী / রুশা চ্যাটার্জী / প্রমিটা চক্রবর্তী : পারুল চরিত্রে
- রূদ্রজিৎ মুখার্জী: রাঘব চরিত্রে
- সুদীপ্তা ব্যানার্জী:[২] রানী মণিমল্লিকা চরিত্রে (প্রধান প্রতিপক্ষ)
অন্যান্য
সম্পাদনা- সম্রাট মুখার্জী: রাজা মহেন্দ্র ও রাজা সুরেন্দ্র চরিত্রে
- শোলাঙ্কি রায় / সোনালী চৌধুরী: রানী পদ্মাবতি চরিত্রে
- মানসি সেনগুপ্ত: স্বেতাংশী চরিত্রে
- লিজা গোস্বামী: রানী ললন্তিকা চরিত্রে
- সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা: রানী ডাকাহিনী চরিত্রে
- প্রিয়াঙ্কা রতি পাল: রানী বহ্নিশিখা চরিত্রে
- নয়না বন্ধ্যোপাধ্যায়: রানী মায়া ও মৎসকন্যা শঙ্খমালা চরিত্রে
- সব্যসাচী চৌধুরী: রাজা চরিত্রে
- তানিয়া গাঙ্গুলি: সর্প চরিত্রে
- রূপসা মুখোপাধ্যায়: ঊর্মিমালা চরিত্র
- সম্ভাবী: শঙ্খমালার মেয়ে চরিত্রে
- ময়না ব্যানার্জী: দাসী গায়ত্রী চরিত্রে
- পলাশ গাঙ্গুলি: বীর প্রতাপ চরিত্রে
- মধূবানি গোস্বামী
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Team, Tellychakkar। "Zee Bangla launches fantasy drama Saat Bhai Champa, Promita plays title character"। Tellychakkar.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-০৭।
- ↑ "Makers of Saat Bhai Champa introduce new twists - Times of India"। The Times of India (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-০৭।