সাগর ডাইনীর ধারণা ইংল্যান্ডের ও অন্যান্য নানা দেশের লোক কাহিনীতে শতকের পর শতক ধরে নানা গল্প তৈরি করে চলছে। ঐতিহ্যগত ভাবে সাগর ডাইনীদের উদয় হয় নাবিকদের মাঝে বা যারা সমুদ্র সংক্রান্ত বাণিজ্য করে তাদের মাঝে। মাঝে মাঝে সাগর ডাইনীদের আবার ডাকিনীবিদ্যার সাথে সম্পর্কীত করা হয় যারা চাঁদ, জোয়ার ও আবহাওয়ার সাথে জড়িত এবং এমন এক ধরনের ঐতিহ্য সৃষ্টি করে যেখানে নারী সাগরকে নিয়ন্ত্রণ করে।[১] কিছু লোক কাহিনীতে সাগর ডাইনীদের অশরীরী বা প্রেত হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে যারা জাহাজ ও নাবিকদের ভাগ্য নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা রাখে।[২]

ফেড্রিক স্যান্ডারের আঁকা (১৮৯৩) দ্যা ভলভা; ভোলুস্পা থেকে

তাদের নামের ইঙ্গিতেই বোঝা যায় যে তারা প্রকৃতির নানা অনুষঙ্গ যেগুলো পানি সম্পর্কীত যেমন সাগর বা মহাসাগরকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে বলে নাবিকরা বিশ্বাস করত। মনে করত তাদের ডাকিনীবিদ্যা চলতে পারে যেকোন পানির উৎসের কাছে যেমন-পুকুর, নদী, পানির চৌবাচ্চাতে এমন কি একটা লবণ গোলানো পানির পাত্রে[১] বা এমনকি বাতাসকেও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। অনেক পুরানো গল্প ছাড়াও সমসাময়িক গল্পেও এদের উপস্থিতি দেখা যায় যেমন ডিজনীর দ্যা লিটল মারমেইডের (১৯৮৯) প্রধান শত্রু উরসুলা একটি সাগর ডাইনী।[৩]

ভারতীয় এবং বাংলা সাহিত্যেও অনেক সাগর ডাইনীর উদাহরণ আছে - যেমন মঙ্গল কাব্যের কমলে কামিনী[৪], রামায়ণের রাক্ষসী সুরসা যে হনুমানকে গিলতে চেষ্টা করেছিল ইত্যাদি।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Sea Witches"। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৭-০৫ 
  2. Gods, goddesses, and mythology, Volume 1. Retrieved May 25, 2010.
  3. "Ursula the Sea Witch"। ২০১৩-০২-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৭-০৫ 
  4. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৩১ জুলাই ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ মে ২০১২ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা