সরকারি শাহ্ সুলতান কলেজ
সরকারি শাহ্ সুলতান কলেজ বাংলাদেশের একটি কলেজ ও ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এটি বগুড়া শহরে অবস্থিত এবং বাংলাদেশ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়-এর অধিভুক্ত। এটি বাংলাদেশের উত্তর অঞ্চলের বৃহত্তম স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
নীতিবাক্য | শিক্ষা,সেবা |
---|---|
ধরন | কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় |
স্থাপিত | ১৯৬৮ |
আচার্য | রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন |
উপাচার্য | মশিউর রহমান (অধ্যাপক) |
অধ্যক্ষ | অধ্যাপক মোঃ শহিদুল আলম |
শিক্ষায়তনিক ব্যক্তিবর্গ | ১৭০+ |
শিক্ষার্থী | ১০,০০০+ |
অবস্থান | , |
শিক্ষাঙ্গন | শহুরে |
পোশাকের রঙ | সাদা, কালো, পেস্ট |
সংক্ষিপ্ত নাম | সরঃশাঃসুঃক |
অধিভুক্তি | জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, রাজশাহী |
ওয়েবসাইট | govssc |
বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে উচ্চ মাধ্যামিক পর্যায়ে মানবিক, ব্যবসায় শিক্ষা ও বিজ্ঞান বিভাগ রয়েছে। উচ্চশিক্ষা স্তরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়-এর অধীনে বিভিন্ন বিষয়ে অনার্স(স্নাতক) কোর্স এবং ফাইনাল মাস্টার্স (স্নাতকোত্তর) কোর্স চালু রয়েছে। এছাড়া একাধিক বিষয়ে ডিগ্রি(পাস) কোর্স চালু রয়েছে।
ইতিহাস
সম্পাদনাবগুড়া জেলার অন্তর্গত শহরের কেন্দ্রস্থল সাতমাথা থেকে প্রায় ৪ কি.মি. দক্ষিণে বগুড়া-ঢাকা মহাসড়কের পূর্ব পার্শ্বে বর্তমান বিশ্বরোড সংলগ্ন বনানী মোড়ে বগুড়া পুলিশ লাইন্স ও জাহাঙ্গীরবাদ সেনানিবাসের ও বগুড়া পর্যটন মোটেল নিকটবর্তী, বগুড়া টিএন্ডটি মাইক্রোওয়েভ স্টেশন ও বাংলাদেশ সিল্ক ফাউন্ডেশনের মধ্যস্থলে ঐতিহাসিক স্মৃতিবিজড়িত করতোয়া নদীর তীরে শহরের কোলাহলমুক্ত এক মনোরম ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশে সরকারি শাহ্ সুলতান কলেজ অবস্থিত।[১]
এতদাঞ্চলে উচ্চ শিক্ষার ক্রমবর্ধমান চাহিদা মোকাবেলা করার জন্য জনগণের তরফ থেকে বগুড়ায় একটি উন্নতমানের ডিগ্রী কলেজ স্থাপনের যে প্রশ্ন ওঠে তারই পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৬৮ খ্রিষ্টাব্দের ১ জুলাই প্রতিষ্ঠিত হয় সরকারি শাহ্ সুলতান কলেজ।এই কলেজের দক্ষিণে সুলতানগন্ঞ্জ হাটে পূণ্যভূমি মহাস্থানে শায়িত আছেন ইসলাম ধর্ম প্রচারক হযরত শাহ সুলতান বলখী মাহিসাওয়ার সাহেবের পবিত্র একটি খানকা থাকায় তার পবিত্র স্মৃতির প্রতি সম্মান প্রদর্শনে কলেজটির এ নামকরণ করা হয়।
সরকারি শাহ্ সুলতান কলেজ ১৯৮৪ খ্রিষ্টাব্দের ১ নভেম্বর জাতীয়করণ করা হয়। বর্তমানে এ কলেজে ৭টি বিষয়ে মাস্টার্স, ১৪টি বিষয়ে অনার্সসহ উচ্চ মাধ্যমিক ও ডিগ্রী পাস কোর্স চালু রয়েছে। কলেজে মোট ২০টি বিষয়ে ক্যাডারভুক্ত অভিজ্ঞ শিক্ষকমন্ডলী কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম সুষ্ঠু সুন্দরভাবে দক্ষতার সাথে পরিচালনা করছেন।
অনুষদ ও বিভাগ সমূহ
সম্পাদনাবিজ্ঞান অনুষদঃ
কলা অনুষদঃ
সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদঃ
ব্যবসায় প্রসাশন অনুষদঃ
- ব্যবস্থাপনা (Masters Available)
- হিসাববিজ্ঞান
ফলাফল ও শিক্ষা
সম্পাদনাইতোমধ্যে বরাবরের মতোই অনার্স এবং মাস্টার্স এর প্রকাশিত ফলাফলে সাফল্যের হার ঈর্ষনীয়। প্রতিটি বিভাগেই অত্র প্রতিষ্ঠানের একাধিক ছাত্র-ছাত্রী ১ম শ্রেণী অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। লেখাপড়ার সুবিধর্থে কলেজে রয়েছে প্রযোজনীয় সংখ্যক বইসহ বিশাল কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি, অনার্স বিভাগসমূহের সেমিনার লাইব্রেরি, বিষয়ভিত্তিক অত্যাধুনিক বিজ্ঞান ল্যাব, কম্পিউটার ল্যাব ও সেমিনার কক্ষ। উল্লেখ্য শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার পাশাপাশি এ কলেজে শারীরিক ও মানসিক বিকাশের লক্ষ্যে খেলাধুলা ও সংস্কৃতি চর্চার উপযুক্ত ব্যবস্থা ও পরিবেশ আছে। শিক্ষার্থীদের দেশ ও সমাসেবামুলক কাজে উৎসাহ ও অংশগ্রহণের জন্য এ কলেজে রয়েছে "রক্তদান কর্মসূচিসহ" বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবক সংগঠন। শহর ও শহরের পার্শ্ববর্তী এলাকার শিক্ষার্থীদের জন্য নিয়মিত কলেজে যাতায়াতের জন্য রয়েছে নিজস্ব পরিবহনের (বাস) ব্যবস্থা।
সংগঠন
সম্পাদনারাজনৈতিক
সম্পাদনাসরকারি শাহ্ সুলতান কলেজ শাখা,বগুড়া
সেচ্ছাসেবক
সম্পাদনা- বি.এন.সি.সি
- রোভার স্কাউট
- রেডক্রিসেন্ট
- বাঁধন
সাংস্কৃতিক
সম্পাদনাবহিঃসংযোগ
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;:0
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ বার্তা, সমকাল (২০২৩-০৭-১১)। "শাহ সুলতান কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল"। সমকাল বার্তা (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৩-০৭-১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৭-১১।
- ↑ "বগুড়ায় খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনায় শাহ সুলতান কলেজ ছাত্রদলের দোয়া মাহফিল"। দৈনিক দিনকাল।
- ↑ "বগুড়ায় শাহ সুলতান কলেজেও ছাত্র ধর্মঘট"। বাংলানিউজ২৪.কম। ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৫।
- ↑ "বগুড়া সরকারি শাহ সুলতান কলেজ অধ্যক্ষের কক্ষ ভাংচুর করল ছাত্রলীগ | বাংলাদেশ প্রতিদিন"। Bangladesh Pratidin (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-০৯-১১। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৯-০৪।