সরকান্দা
সরকান্দা ইরান, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, উত্তর ভারত, নেপাল, বাংলাদেশ এবং বর্মার স্থানীয় ত্রিকৃতি গণের একটি উদ্ভিদ । এর বৈজ্ঞানিক নাম ত্রিকৃতি বঙ্গীয়। [২]
সরকান্দা | |
---|---|
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ/রাজ্য: | প্লান্টি (Plante) |
গোষ্ঠী: | ট্র্যাকিওফাইট (Tracheophytes) |
ক্লেড: | সপুষ্পক উদ্ভিদ (অ্যাঞ্জিওস্পার্মস) |
গোষ্ঠী: | মনোকট্স (Monocots) |
গোষ্ঠী: | Commelinids |
বর্গ: | Poales |
পরিবার: | পোয়াসি (Poaceae) |
উপপরিবার: | Panicoideae |
গণ: | Tripidium (Retz.) H.Scholz[১] |
প্রজাতি: | T. bengalense |
দ্বিপদী নাম | |
Tripidium bengalense (Retz.) H.Scholz[১] | |
প্রতিশব্দ[১] | |
|
এর একটি প্রাথমিক স্থানীয় বন্টন এলাকা হলো উত্তর-পূর্ব ভারত, বিশেষ করে আসামে হিমালয়ের পাদদেশে তরাই-দুয়ার তৃণভূমির মাঝে।
বর্ণনা
সম্পাদনাএটি আখের বাঁশ ঘাসের একটি ছোট প্রজাতি, যা ২-৩ পা বা ০.৬১-০.৯১ সত্ত়জন বৃদ্ধি পায় উচ্চতায়। উদ্ভিদের রঙ গোলাপী-সবুজ।
এটি ভারতীয় গন্ডার এবং বেঁটে শুয়রের মতো প্রাণীদের জন্য একটি খাদ্যের উৎস।
ব্যবহার
সম্পাদনাপ্রজাতিটি ছাদের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এটি ঝুড়ি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এর তন্তু দড়ি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এটি পরিত্যক্ত খনির পরিবেশগতভাবে সফল স্থানীয় উপনিবেশকারীদের একটি। এটি মৃত-মৃত্তিকা সহ পাথুরে বাসস্থানে বিশুদ্ধ ঝোপ তৈরি করে। এটি বিস্তৃত শেকড়-জাল গঠন করে যা মাটি/নুড়িকে আবদ্ধ করে এবং উচ্চ বায়োমাস টিফ্ট সহ লম্বা পুরু গুটি গঠন করে। এটি স্বল্প আয়ের স্থানীয়রা ফসল রক্ষার জন্য দড়ি, হাত পাখা, ঝুড়ি, ঝাড়ু, মাদুর, কুঁড়েঘর এবং ঢাল তৈরিতে ব্যবহার করে। এটি ক্ষয়-প্রবণ এবড়োখেবড়ো ঢালকে স্থিতিশীল করার জন্য এবং উচ্চ আর্থ-সামাজিক মূল্যবোধের জৈবিকভাবে উত্পাদনশীল জায়গায় তাদের রূপান্তরের জন্য একটি পছন্দের প্রজাতি। [৩]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ "Tripidium bengalense (Retz.) H.Scholz"। Plants of the World Online। Royal Botanic Gardens, Kew। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৯-০৪।
- ↑ "Saccharum bengalense"। জার্মপ্লাজম রিসোর্স ইনফরমেশন নেটওয়ার্ক (জিআরআইএন)। কৃষি গবেষণা পরিসেবা (এআরএস), মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগ (ইউএসডিএ)। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুন ২০১৫।
- ↑ Sharma M, Rau N, Mishra V, Sharma RS (2005) Species.