সম্ভবনাথ
সম্ভবনাথ ছিলেন জৈন বিশ্বতত্ত্ব অনুসারে বর্তমান অবসর্পিণী যুগের তৃতীয় তীর্থঙ্কর (সর্বজ্ঞ শিক্ষক ঈশ্বর)। সম্ভবনাথের পিতা ছিলেন শ্রাবস্তীর রাজা জিতারী এবং মাতা ছিলেন রানি সুসেনা। ভারতীয় পঞ্জিকা অনুসারে মাঘ মাসের শুক্লা চতুর্দশী তিথিতে তার জন্ম হয়েছিল। জৈন বিশ্বাস অনুসারে, তিনি সকল কর্ম ধ্বংসকারী মুক্ত আত্মায় (সিদ্ধ) পরিণত হয়েছিলেন।
সম্ভবনাথ | |
---|---|
৩য় জৈন তীর্থঙ্কর | |
![]() তীর্থঙ্কর সম্ভবনাথের বিগ্রহ, গোয়ালিয়র দূর্গ সংগ্রহালয় | |
পূর্বসূরি | অজিতনাথ |
উত্তরসূরি | অভিনন্দননাথ |
রাজপরিবার | |
রাজবংশ/বংশ | ইক্ষ্বাকু |
পূর্বসূরি | জিতারী |
পরিবার | |
পিতামাতা | জিতারী (পিতা) সুসেনা (মাতা) |
্কল্যাণক / গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলি | |
চ্যবন তারিখ | ফাগুন সুদ ৮ |
চ্যবন স্থান | শ্রাবস্তী |
জন্ম | মাগসর সুদ ১৪ (২ x ১০২২৩ বছর আগে) শ্রাবস্তী |
দীক্ষার তারিখ | মাগসর সুদ ১৫ |
দীক্ষার স্থান | শ্রাবস্তী |
কেবল জ্ঞানের তারিখ | আষো বাদ ৫ |
কেবল জ্ঞানের স্থান | শ্রাবস্তী |
মোক্ষের তারিখ | চৈত্র সুদ ৫ |
মোক্ষের স্থান | সামমেদ শিখর |
বৈশিষ্ট্য | |
বর্ণ | সোনালি |
প্রতীক | অশ্ব |
উচ্চতা | ৪০০ ধনুষ (১,২০০ মিটার) |
বয়স | ৬০ লক্ষ পূর্ব (৪২৩.৩৬০ কুইন্টিলিয়ন বছর বয়স) |
কেবলকাল | |
যক্ষ | ত্রিমুখ |
যক্ষিণী | দুরিতারি |
গণধর | চারু ও শ্যামা |
জীবন সম্পাদনা
সম্ভবনাথ ছিলেন বর্তমান অবসর্পিণী যুগের তৃতীয় তীর্থঙ্কর (সর্বজ্ঞ শিক্ষক ঈশ্বর)।[১] তার পিতা ছিলেন শ্রাবস্তীর রাজা জিতারী এবং মাতা ছিলেন রানি সুসেনা।[২][৩] ইক্ষ্বাকু রাজবংশে তার জন্ম হয়।[১] জৈন বিশ্বাস অনুসারে, তার উচ্চতাক ছিল ৪০০ ধনুষ (১,২০০ মিটার)।[২] সম্ভবনাথ তার অশ্ব প্রতীক, শাল বৃক্ষ, ত্রিমুখ যক্ষ এবং প্রজ্ঞপ্তি ও দুরিতারি যক্ষীর সঙ্গে যুক্ত।[৪]
প্রার্থনা সম্পাদনা
আচার্য সমন্তভদ্র রচিত স্বয়ম্ভুস্তোত্র চব্বিশজন তীর্থঙ্করের স্তুতি। এই স্তোত্রে পাঁচটি শ্লোকে সম্ভবনাথের গুণ বর্ণনা করা হয়েছে।[৫]
হে প্রভু সম্ভবনাথ! সাংসারিক জীবন ক্ষণস্থায়ী, রক্ষকবিহীন, অহংকার ও মায়ার দোষে দুষ্ট এবং জন্ম, জরা ও মৃত্যুর দ্বারা ছিন্নভিন্ন। আপনি জাগতিক আত্মাদের এই সকল কর্মের কলুষ থেকে মুক্ত করে স্বর্গীয় আনন্দ লাভে সহায়তা করেছেন।
— স্বয়ম্ভুস্তোত্র (৩-২-১২)[৬]
প্রধান মন্দির সম্পাদনা
-
রণথাম্বোর দুর্গে তীর্থঙ্কর সুমতিনাথ ও সম্ভবনাথ
-
সম্ভবনাথ মন্দির, মধুবন
See also সম্পাদনা
পাদটীকা সম্পাদনা
- ↑ ক খ Tukol 1980, পৃ. 31।
- ↑ ক খ Vijay K. Jain 2015, পৃ. 183।
- ↑ "Sravasti", asiexbrpatna.bih.nic.in
- ↑ Tandon 2002, পৃ. 44।
- ↑ Vijay K. Jain 2015, পৃ. 16-19।
- ↑ Vijay K. Jain 2015, পৃ. 17।
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
- Jain, Vijay K. (২০১৫), Acarya Samantabhadra's Svayambhustotra: Adoration of The Twenty-four Tirthankara, Vikalp Printers, আইএসবিএন 978-81-903639-7-6,
এই উৎস থেকে এই নিবন্ধে লেখা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা পাবলিক ডোমেইনে রয়েছে।
- Tandon, Om Prakash (২০০২) [1968], Jaina Shrines in India (1 সংস্করণ), New Delhi: Publications Division, Ministry of Information and Broadcasting, Government of India, আইএসবিএন 81-230-1013-3
- Tukol, T. K. (১৯৮০), Compendium of Jainism, Dharwad: University of Karnataka