সংখ্যাবাচক শব্দ
গণনার উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত পদ
ভাষাতত্ত্বে গণনার উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত পদগুলিকে সংখ্যাবাচক শব্দ বা সংখ্যাবাচক পদ বা সংখ্যাবাচক বিশেষণ বলা হয়। এই শব্দগুলি সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলির পরিমাণ নির্দেশ করে। যেমন- এক, দুই, তিন, চার ইত্যাদি।[১][২][৩] তবে অনেক সংখ্যা বোঝাতে একাধিক সংখ্যাবাচক পদের একত্রে ব্যবহারও হয়, যেমন- একশো, পাঁচ হাজার, একচল্লিশ, দু'শো তিন, দু'হাজার চোদ্দ ইত্যাদি। পূরণবাচক সংখ্যার (প্রথম, দ্বিতীয় প্রভৃতি) সাথে এই শব্দগুলির সরাসরি সম্পর্ক আছে।
সংখ্যাবাচক শব্দ চার প্রকার:[৩]
- অঙ্কবাচক, যথা: ১, ২, ৩
- পরিমাণ বা গণনাবাচক, যথা: এক, দুই, তিন
- ক্রম বা পূরণবাচক, যথা: প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়
- তারিখবাচক, যথা: পহেলা, দোসরা, তেসরা
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ আশুতোষ দেব সংকলিত শব্দবোধ অভিধান (ষষ্ঠ সংস্করণ), দেব সাহিত্য কুটীর প্রাঃ লিঃ, কোলকাতা, ১৩৮২ বঙ্গাব্দ
- ↑ বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি অষ্টম শ্রেণি (পিডিএফ)। ঢাকা: জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড। ১০ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ মে ২০১৪।
- ↑ ক খ বাংলা ভাষার ব্যাকরণ নবম-দশম শ্রেণি। ঢাকা: জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড। পৃষ্ঠা ৫৩।