অতীতে বাংলাদেশে ষাঁড়ের লড়াই একটি প্রসিদ্ধ খেলারূপে প্রচলন ছিল। লড়াই করার জন্য ষাঁড় গরু আলাদাভাবে লালন পালন করা হতো। এর দ্বারা হাল চাষ বা অন্য কোন ধরনের কাজ করা হতো না। ষাঁড়টিকে মোটাতাজা করা হতো শুধু লড়াই করার জন্য। শুকনো মৌসুমে গ্রামের বাজারে ঢোল পিটিয়ে ষাঁড়ের লড়াই দেখার আমন্ত্রন জানানো হতো। মাঠে ষাঁড়ের মালিকগণ তাদের ষাঁড়গুলোকে বিভিন্ন রঙিন কাপড়, ঘুংগুর, দোয়াল দিয়ে গেঁথে নিয়ে আসতেন। দুদিকে দুজন রশি দিয়ে বেঁধে নিয়ে এসে দুপক্ষের ষাঁড়কে ছেড়ে দিয়ে সবাই মিলে ঢাক ঢোল পিটিয়ে ও বিভিন্ন তালে তালে গান করত। এভাবে উপস্থিত সকল ষাঁড়ের মধ্যে যে ষাঁড়টি প্রথম স্থান পেত তাকে পুরস্কার দেয়া হতো। সে পুরস্কার গরুর গলায় বেঁধে বাজারে বাজারে দেখানো হতো। বর্তমানে এই শৌখিন প্রথা বিলুপ্তির পথে।[]

মেক্সিকোতে ষাঁড়ের লড়াই

ইবেরীয় উপদ্বীপ, ফ্রান্স এবং লাতিন আমেরিকার অনেক ঐতিহাসিক ষাড়ের লড়াইয়ের স্থান রয়েছে। বৃহত্তম ভেন্যুটি হ'ল সেন্টার মেক্সিকো সিটির প্লাজা মেক্সিকো, যার ৪৮,০০০ দর্শক ধারনক্ষমতা রয়েছে [] এবং প্রাচীনতমটি বাজর প্লাজা এবং রন্ডার প্লাজা, স্পেনীয় প্রদেশের সালামানকা ও মালাগনা। সমস্ত ষাড়ের লড়াইয়ের স্থানেরই একটি মূল্য নির্ধারণের সিস্টেম রয়েছে, মূল কারণ সূর্য এবং ছায়া, লড়াইয়ের সান্নিধ্য এবং টরেরোর (যে লোকটি লড়াই করে) অভিজ্ঞতার মাত্রা। []

পশু কল্যাণ সংস্থাগুলোর বিরোধিতা, তহবিল সংকট এবং ধর্মীয় কারণসহ বিভিন্ন উদ্বেগের কারণে ষাঁড়ের লড়াই বিতর্কিত। বেশিরভাগ দেশে ষাড়ের লড়াই অবৈধ, তবে স্পেন এবং পর্তুগালের বেশিরভাগ অঞ্চলে, পাশাপাশি কিছু হিস্পানিক আমেরিকান দেশ এবং দক্ষিণ ফ্রান্সের কিছু অংশে এখনো রয়ে গেছে। []

ষাঁড়ের লড়াইয়ের একটি ভাস্কর্য। শিল্পাচার্য জয়নুল লোক ও কারুশিল্প জাদুঘর, সোনারগাঁও, নারায়ণগঞ্জ।

আরো দেখুন

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. বরুড়ার ইতিহাসঃ নাসির আহমেদ; পৃষ্ঠাঃ ২৯৫; প্রথম প্রকাশঃ ফেব্রুয়ারি ২০০৫ ইং
  2. "www.worldstadiums.com"। www.worldstadiums.com। ৫ জুন ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মার্চ ২০১০ 
  3. "Corrida de Toros" 
  4. "Bullfighting in Europe"Humane Society International। সংগ্রহের তারিখ ১৯ এপ্রিল ২০১৬ 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা