শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালনা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (ভারত)
শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালনা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার হলো ভারতের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত সংস্থা চলচ্চিত্র উৎসব অধিদপ্তরের প্রদত্ত বার্ষিক জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের একটি বিভাগ। এটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের জন্য প্রদত্ত বেশ কয়েকটি পুরস্কারের মধ্যে একটি এবং এই পুরস্কার বিজয়ীদের রজত কমল দিয়ে ভূষিত করা হয়। সারা দেশে মুক্তিপ্রাপ্ত সমস্ত ভারতীয় ভাষায় এক বছরে নির্মিত চলচ্চিত্রের সেরা সংগীতের জন্য এই পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। ২০১৬-এর হিসাব অনুযায়ী, পুরস্কারের মধ্যে রয়েছে একটি রজত কমল, একটি সনদপত্র ও ₹৫০,০০০ নগদ পুরস্কার।[১]
শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালনা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার | |
---|---|
প্রদানের কারণ | পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরিচালনা ও আবহ সঙ্গীত আয়োজনের জন্য |
পৃষ্ঠপোষক | চলচ্চিত্র উৎসব অধিদপ্তর |
পুরস্কার |
|
প্রথম পুরস্কৃত | ১৯৬৭ (গান) ১৯৯৪ (আবহ সঙ্গীত) |
সর্বশেষ পুরস্কৃত | ২০২২ |
সাম্প্রতিক বিজয়ী | প্রীতম চক্রবর্তী (গান) এ আর রহমান (আবহ সঙ্গীত) |
সারাংশ | |
মোট পুরস্কৃত | ৫৩ (গান) ১০ (আবহ সঙ্গীত) |
প্রথম বিজয়ী | কে. ভি. মহাদেবন |
সর্বাধিকবার বিজয়ী | এ আর রহমান (৭ বার) |
১৯৬৭ সালে ১৫তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে প্রথম পুরস্কার প্রদান করা হয়। ৪২তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ আবহ সংগীত পুরস্কার প্রদান করা হয়। তবে এই পুরস্কারটি অনিয়মিত হয়ে পরে এবং আবার ২০০৯ সাল থেকে এই বিভাগে নিয়মিতভাবে পুরস্কার দেওয়া শুরু হয়। শ্রেষ্ঠ আবহ সংগীত-সহ ৪০ জন ভিন্ন সুরকার ৫১টি পুরস্কার অর্জন করেন।
যদিও ভারতীয় চলচ্চিত্র শিল্পে প্রায় ২০টি ভাষা এবং উপভাষায় চলচ্চিত্র নির্মিত হয়,[১] পুরস্কার বিজয়ীরা সাতটি প্রধান ভাষায় কাজ করেছেন, তন্মধ্যে হিন্দি (১৯টি পুরস্কার), তামিল (১০টি পুরস্কার), তেলুগু (১০টি পুরস্কার), মালয়ালম (৯টি পুরস্কার), বাংলা (৭টি পুরস্কার), কন্নড় (৫টি পুরস্কার) ও মারাঠি (২টি পুরস্কার)।
এই বিভাগের প্রথম পুরস্কার অর্জন করেন তামিল চলচ্চিত্র কন্দন কারুনাই (১৯৬৭)-এর জন্য কে. ভি. মহাদেবন। [২] এ আর রহমান সর্বাধিক সাতবার এই বিভাগে পুরস্কার অর্জন করেন। ইলাইয়ারাজা দ্বিতীয় সর্বাধিক পাঁচবার এই পুরস্কার অর্জন করেন। জয়দেব ও বিশাল ভারদ্বাজ তিনবার করে এই বিভাগে পুরস্কৃত হন[৩] চারজন সংগীতজ্ঞ - বি. ভি. করন্থ, কে. ভি. মহাদেবন, সত্যজিৎ রায়, জনসন ও এম. এম. কিরবাণি দুইবার করে পুরস্কৃত হন। ইলাইয়ারাজা তিনটি ভিন্ন ভাষার চলচ্চিত্রের জন্য পুরস্কার অর্জনকারী একমাত্র সুরকার, তিনি তেলুগু, তামিল ও মালয়ালম ভাষার চলচ্চিত্রের জন্য পুরস্কৃত হন। অন্যদিকে এ আর রহমান তামিল ও হিন্দি এই দুটি ভিন্ন ভাষার চলচ্চিত্রের জন্য পুরস্কৃত হন।[৪][ক]
শ্রেষ্ঠ আবহ সংগীত বিভাগের প্রথম পুরস্কার অর্জন করেন সুক্রুতম (১৯৯৪)-এর জন্য জনসন। ২০০৯ সালে পুনরায় এই পুরস্কার চালু হলে ইলাইয়ারাজা মালয়ালম চলচ্চিত্র পাজাসি রাজা চলচ্চিত্রের জন্য এই পুরস্কার অর্জন করেন।[৭]
বিজয়ীগণ
সম্পাদনাশ্রেষ্ঠ আবহ সংগীত বিজয়ী নির্দেশ করে |
নোট
সম্পাদনা- ↑ The jury of the 40th National Film Awards were tied between Rahman and Ilaiyaraaja—for Thevar Magan—before Balu Mahendra, the chairman voted in favour of Rahman.[৫][৬]
ংReferences
সম্পাদনা- ↑ ক খ "About National Film Awards"। Directorate of Film Festivals। ২৫ অক্টোবর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ এপ্রিল ২০১৫।
- ↑ Narayanan, Arjun (১৩ ডিসেম্বর ২০০৯)। "Much more than the name of a raga"। The New Indian Express। ২৯ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ এপ্রিল ২০১৪।
- ↑ Parvez, Amjad (২১ ডিসেম্বর ২০১০)। "Jaidev and his unforgettable music"। Daily Times (Pakistan)। ২৯ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ এপ্রিল ২০১৪।
- ↑ Nagarajan, Saraswathy (১৬ জুন ২০০৬)। "Of rhythm and soul"। The Hindu। ২৯ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ এপ্রিল ২০১৪।
- ↑ Mathai, Kamini (২০০৯)। A.R. Rahman: The Musical Storm। Penguin Books India। পৃষ্ঠা 99–100। আইএসবিএন 978-0-670-08371-8। ২৮ জুন ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ অক্টোবর ২০১৬।
- ↑ Moviebuzz (১৫ জুলাই ২০১১)। "Everybody wants a piece of ARR!"। Sify। ১৬ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ এপ্রিল ২০১৪।
- ↑ Karthikeyan, D. (১৫ জুলাই ২০১১)। "Three gems who changed the course of cinema"। The Hindu। ২৯ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ এপ্রিল ২০১৪।