গোপাল কৃষ্ণ মহারত্ন

(শ্রী গোপাল কৃষ্ণ মহারত্ন এমপি থেকে পুনর্নির্দেশিত)

শ্রী গোপাল কৃষ্ণ মহারত্ন (এমপি) ছিলেন মহান মুক্তিযুদ্ধের সংঘঠক। তিনি ছিলেন সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের সদস্য।[১] ১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসে হবিগঞ্জের মাধবপুর থানার তেলিয়াপাড়া চা বাগানে স্থাপিত হয় মুক্তিবাহিনীর সদর দপ্তর এবং এই পরিষদের সমন্বয়ক হিসাবে তেলিয়াপাড়া চা বাগানে গঠিত হয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ। স্বাধীনতা যুদ্ধে সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদ গঠনে শ্রী গোপাল কৃষ্ণ মহারত্ন উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন।[২]

প্রাথমিক জীবন সম্পাদনা

শ্রী গোপাল কৃষ্ণ মহারত্ন বাংলাদেশের হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার সভ্রান্ত শিক্ষানুরাগী হিন্দু জমিদার পরিবার 'মহারত্ন জমিদার বাড়ী' তে জন্মগ্রহণ করেন। সমাজসেবামূলক নানান কর্মকান্ডের জন্য দাতা পরিবার হিসেবেও মহারত্ন বাড়ির সুনাম বৃহত্তর সিলেট সহ হবিগঞ্জ জেলা জুড়ে ছড়িয়ে আছে।

কালের সাক্ষী হিসেবে আজও রয়েছে একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান, সরকারী সাব রেজিস্টার অফিস (ভূমি অফিস), সুবিশাল খেলার মাঠ (জুয়েল ফিল্ড), ঐতিহ্যবাহী শতবর্ষীয় ফুটবল ক্লাব (জুয়েল ক্লাব), বাবুর বাজার, অসংখ্য রাস্তা-ঘাট, পুকুর-দীঘিসহ সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত অসংখ্য জনহিতকর সেবামূলক স্থাপনা।

পূর্বপুরুষদের নানান জনহিতকর সমাজসেবামূলক কর্মকান্ডের অংশ হিসেবেই পরিবারের অন্যান্য ভাই-বোনের সাথে ছোটবেলা থেকেই নানান সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও সেবামূলক কর্মকান্ডের সাথে শ্রী গোপাল কৃষ্ণ মহারত্ন ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন। যার ফলস্বরূপ পারিবারিকভাবেই পেয়েছিলেন সমাজসেবার প্রাথমিক হাতেখড়ি।

রাজনৈতিক জীবন সম্পাদনা

বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলের মুক্তিযুদ্ধ সংগঠনে হবিগঞ্জের নেতৃবৃন্দ অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।[১] এখান থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য প্রেরিত অস্ত্রশস্ত্র ও রসদপত্র দিয়ে বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে যুদ্ধ শুরু হয়। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পূর্বে এডভোকেট মোস্তফা আলী এমএনএ, কমান্ড্যান্ট মানিক চৌধুরী এমএনএ, লেঃ কর্ণেল (অব.) এম.এ. রব এমএনএ, গোপাল কৃষ্ণ মহারত্ন এমপিএ, এনামুল হক মোস্তফা শহীদ এমপিএ, মৌলানা আসাদ আলী এমপিএ, ডা. আবুল হাসিম এমপিএ, আব্দুল আজিজ চৌধুরী এমপিএ, এডভোকেট আফছর আহমদ, এডভোকেট চৌধুরী আব্দুল হাই, এডভোকেট সৈয়দ আফরোজ বখত, এডভোকেট মো. জনাব আলী, শ্রী কৃপেন্দ্র বর্মণ, মো. ইয়াকুত চৌধুরী প্রমুখের সমন্বয়ে গঠিত হয় সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদ। এই পরিষদের সমন্বয়ক হিসাবে গঠিত হয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ।[১]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা