শ্রীলঙ্কা সেনাবাহিনী নারী শাখা
শ্রীলঙ্কা সেনাবাহিনী নারী শাখা (শ্রীলঙ্কা আর্মি ওমেন্স কোর বা সংক্ষেপে এসএলএডব্লিউসি) শ্রীলঙ্কা সেনাবাহিনীর একটি কোর (শাখা) যেটি নারীদের দ্বারা গঠিত, এ কোরের সদস্যদের কাজ যুদ্ধক্ষেত্রে সাহায্য করা অর্থাৎ পরোক্ষভাবে যুদ্ধে জড়ানো, প্রত্যক্ষভাবে নয়।[১]
শ্রীলঙ্কা সেনাবাহিনী নারী শাখা | |
---|---|
![]() রেজিমেন্টের চিহ্ন | |
সক্রিয় | ১ সেপ্টেম্বর ১৯৭৯ – বর্তমান |
দেশ | ![]() |
শাখা | ![]() |
ভূমিকা | যুদ্ধ সেবা/যুদ্ধ সাহায্য |
আকার | ৭টি ইউনিট |
গ্যারিসন/সদরদপ্তর | বোরেল্লা, কলম্বো |
বার্ষিকী | ১ সেপ্টেম্বর, ১৭ নভেম্বর |
যুদ্ধসমূহ | শ্রীলংকার গৃহযুদ্ধ |
কমান্ডার | |
রেজিমেন্ট কেন্দ্রের অধিনায়ক (সেন্টার কমান্ড্যান্ট) | একজন কর্নেল বা ব্রিগেডিয়ার |
কর্নেল কমান্ড্যান্ট | একজন ব্রিগেডিয়ার বা মেজর জেনারেল |
উল্লেখযোগ্য কমান্ডার | লেফটেন্যান্ট কর্নেল কুমুদিনী উইরাসেকারা (১৯৯০-এর দশক) |
প্রতীকসমূহ | |
পতাকা | ![]() |
১৯৭৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর শ্রীলঙ্কার সেনাকমান্ডার জেনারেল ডেনিস পেরেরার স্বপ্নের প্রতিফলন হিসেবে 'শ্রীলঙ্কা সেনাবাহিনী নারী শাখা' কোরটি গড়ে ওঠে। এই কোরে দুইটি নিয়মিত ব্যাটেলিয়ন ও পাঁচটি সংরক্ষিত ব্যাটেলিয়ন রয়েছে। লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ. ডব্লিউ. থাম্বিরাজা ছিলেন ১ম নিয়মিত ব্যাটেলিয়নের প্রথম অধিনায়ক।
১৯৮৭ সালের ২৭ মে থেকে ১৯৮৮ সালের ১১ জুন পর্যন্ত এই কোরের সদস্যরা 'ভাদামারাচ্চি সমরাভিযান' নামের একটি সামরিক অভিযানে অংশ নেয় যেটি ছিলো শ্রীলঙ্কার গৃহযুদ্ধর একটি অংশ। এটিই ছিলো শ্রীলঙ্কা সেনাবাহিনীর ইতিহাসের প্রথম অধ্যায় যেখানে নারী সেনা সদস্যরা সামরিক অভিযানে অংশ নিয়েছে।[২]
যুদ্ধ ক্ষেত্রের চাহিদা মিটানোর লক্ষ্যে ১৯৯৬ সালের ১ জানুয়ারী অনুরাধাপুরার রণসেবাপুরে ২য় সংরক্ষিত ব্যাটেলিয়ন তৈরি করা হয়। নিয়মিত সামরিক বাহিনীর কিছু কর্মকর্তাকে এই ইউনিটে আনা হয়েছিলো নেতৃত্ব কাঠামো গঠন করার জন্য। লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ. এল. উইরাতুঙ্গা এই ইউনিটের প্রথম অধিনায়ক ছিলেন।
উত্তর এবং পূর্ব প্রদেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটার ফলে ১৯৯৭ সালের ১৫ নভেম্বর ৩য় সংরক্ষিত ব্যাটেলিয়ন গঠন করা হয়। এর দুই দিন পর বোরেল্লাতে কোরটির রেজিমেন্টাল কেন্দ্র (সেন্টার) বানানো হয়। ১৭ নভেম্বর ১৯৯৭ এই কোরের রেজিমেন্টাল কেন্দ্র (সেন্টার) বানানোর কারণে প্রতি বছর ১৭ নভেম্বর 'আর্মি ওমেন্স কোর এ্যানিভার্সারী ডে' (সেনা নারী শাখা প্রতিষ্ঠা দিবস) দিবস পালিত হয়। রেজিমেন্টের কেন্দ্রের ভূমিকা হচ্ছে শাখাটির সেনাদের প্রশাসন ও সমন্বয় করা। মেজর জেনারেল ডব্লিউএএ ডি সিলভা ছিলেন রেজিমেন্টের প্রথম 'কর্নেল কমান্ড্যান্ট' এবং লেঃ কর্নেল এমএইচপিএস পেরেরা ছিলেন প্রথম 'কেন্দ্র অধিনায়ক'।
ইউনিট সমূহসম্পাদনা
- নিয়মিত ব্যাটেলিয়নঃ
- ১ম শ্রীলঙ্কা সেনাবাহিনী নারী শাখা ব্যাটেলিয়ন (ফার্স্ট ব্যাটেলিয়ন, শ্রীলঙ্কা আর্মি ওমেন্স কোর অথবা ফার্স্ট শ্রীলঙ্কা আর্মি ওমেন্স কোর কিংবা সংক্ষেপে ওয়ান এসএলএডব্লিউসি, 1 SLAWC, ১ম/১ এসএলডব্লিউসি)
- ৭ম শ্রীলঙ্কা সেনাবাহিনী নারী শাখা ব্যাটেলিয়ন (7 SLAWC, ৭ এসএলএডব্লিউসি)
- সংরক্ষিত (Volunteers) ব্যাটেলিয়নঃ
- ২য় (সংরক্ষিত) শ্রীলঙ্কা সেনাবাহিনী নারী শাখা ব্যাটেলিয়ন, 2 (V) SLAWC, ২য় (স) এসএলএডব্লিউসি
- ৩য় (সংরক্ষিত) শ্রীলঙ্কা সেনাবাহিনী নারী শাখা ব্যাটেলিয়ন, 3 (V) SLAWC
- ৪র্থ (সংরক্ষিত) শ্রীলঙ্কা সেনাবাহিনী নারী শাখা ব্যাটেলিয়ন, 4 (V) SLAWC
- ৫ম (সংরক্ষিত) শ্রীলঙ্কা সেনাবাহিনী নারী শাখা ব্যাটেলিয়ন, 5 (V) SLAWC
- ৬ষ্ঠ (সংরক্ষিত) শ্রীলঙ্কা সেনাবাহিনী নারী শাখা ব্যাটেলিয়ন, 6 (V) SLAWC
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ "History of 1 SLAWC"। alt.army.lk/slawc।
- ↑ "Lankan women choosing the army over marriage"। Rediff.com। ১৯৯৭।