শ্যামানন্দ সেন

ব্রিটিশ বিরোধী বাঙালি বিপ্লবী

শ্যামানন্দ সেন (১৯০১ - ২৫শে জুন ১৯৮০) ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব এবং অগ্নিযুগের বিপ্লবী। ময়মনসিংহের বিপ্লবী সংস্থা সাধনা সমিতির বিশিষ্ট কর্মী ছিলেন। তিনি দীর্ঘ ২০ বছর ব্রিটিশ রাজের কারাদণ্ড এবং নানা নির্যাতন ভোগ করেন।[১]

শ্যামানন্দ সেন
জন্ম১৯০১
মৃত্যু২৫শে জুন ১৯৮০


জন্ম সম্পাদনা

শ্যামানন্দ সেনের জন্ম মুন্সীগঞ্জ জেলার বজ্রযোগিনী গ্রামে। তার পিতার নাম নৃপেন্দ্রনাথ সেন।[২]

বিপ্লবী কর্মকাণ্ড সম্পাদনা

মাত্র ১২ বছর বয়সে বিপ্লবী যুগান্তর দলে যোগ দেন এবং ময়মনসিংহের প্রথম সারির নেতাদের ঘনিষ্ঠতায় আসেন। বাঘা যতীনের নেতৃত্বে পরিচালিত বালেশ্বর যুদ্ধ সংঘটনের পর নেতারা আত্মগোপন করলে তাদের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষার দায়িত্বভার সেই কিশোর বয়সেই তিনি বিশ্বস্ততার সংগে পালন করেন। ১৯১৭ সালে ভারত-রক্ষা আইনে গ্রেপ্তার হয়ে দুবছর পর ছাড়া পান। ময়মনসিংহে কংগ্রেস-সংগঠন তথা বৈপ্লবিক কর্মকেন্দ্র সংগঠনে সুরেন্দ্রমোহন ঘোষের ঘনিষ্ঠতম কর্মী হিসেবে কাজ করেছেন। ১৯২৪-২৭, ১৯৩১-৩৮, ১৯৪১-৪৬ সাল পর্যন্ত কারারুদ্ধ ছিলেন। যুগান্তর দলের সংগঠক এবং বিভিন্ন পর্যায়ের কংগ্রেসি আন্দোলনে, স্বরাজ পার্টির গঠনে, চৌকিদারি ট্যাক্স আন্দোলনে, তারকেশ্বর সত্যাগ্রহে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছেন।[২]

সাধনা সমিতির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ সম্পাদনা

শ্যামানন্দ সেন ছাড়াও সাধনা সমিতির অন্যান্য সদস্য ছিলেন হেমেন্দ্রকিশোর আচার্য চৌধুরী, সুরেন্দ্রমোহন ঘোষ, সিধু সেন, পৃথ্বীশচন্দ্র বসু, কোহিনুর ঘোষ, বিনোদচন্দ্র চক্রবর্তী, মহেন্দ্রচন্দ্র দে, আনন্দকিশোর মজুমদার, ভক্তিভূষণ সেন, ক্ষিতীশচন্দ্র বসু, মনোরঞ্জন ধর, সুধেন্দ্র মজুমদার, মতিলাল পুরকায়স্থ, সঞ্জীবচন্দ্র রায়, মোহিনীশঙ্কর রায়, দ্বিজেন্দ্র চৌধুরী ননী, ও নগেন্দ্রশেখর চক্রবর্তী। এঁদের সকলেই বহু বৎসর কারাগারে ও অন্তরীণে আবদ্ধ ছিলেন।[১]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী, জেলে ত্রিশ বছর, ধ্রুপদ সাহিত্যাঙ্গন, ঢাকা, ঢাকা বইমেলা ২০০৪, পৃষ্ঠা ২২১-২২২।
  2. সুবোধ সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, নভেম্বর ২০১৩, পৃষ্ঠা ৭৩১, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬