শোভনা

ভারতীয় অভিনেত্রী

শোভনা চন্দ্রকুমার পিল্লাই (জন্ম: ২১ মার্চ ১৯৭০),[] যিনি শোভনা নামে পরিচিত, হলেন একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী ও ভারতনাট্যম নৃত্যশিল্পী। তিনি দুই শতাধিক মালয়ালম, তেলুগু, তামিল, হিন্দি, কন্নড় ও ইংরেজি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তিনি মণিচিত্রতজু (১৯৯৩) ও মিত্র, মাই ফ্রেন্ড (২০০১) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে দুইবার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।[] এছাড়া তিনি একবার কেরালা রাজ্য চলচ্চিত্র পুরস্কার, দুইবার ফিল্মফেয়ার পুরস্কার দক্ষিণসহ একাধিক পুরস্কার লাভ করেন।

শোভনা
ശോഭന
২০০৯ সালে কেরালায় নৃত্য পরিবেশন করছেন শোভনা
জন্ম
শোভনা চন্দ্রকুমার পিল্লাই

(১৯৭০-০৩-২১)২১ মার্চ ১৯৭০
তিরুবনন্তপুরম, কেরালা, ভারত
পেশাঅভিনেত্রী, নৃত্যশিল্পী, নৃত্য পরিচালক, মৃদঙ্গম বাদক
কর্মজীবন১৯৮০-বর্তমান

শিল্পকলায় অনন্য অবদানের জন্য তাকে ভারত সরকার ২০০৬ সালে ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা পদ্মশ্রী পদকে ভূষিত করে,[] এবং কেরালা রাজ্য সরকার ২০১৪ সালে কলা রত্ন পুরস্কারে ভূষিত করে।

প্রারম্ভিক জীবন

সম্পাদনা

শোভনা ১৯৭০ সালের ২১শে মার্চ কেরালা রাজ্যের তিরুবনন্তপুরমে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা চন্দ্রকুমার পিল্লাই ও মাতা আনন্দম। অভিনেত্রী সুকুমারী তার ফুফু। ট্রাভানকোর ভগ্নীগণ - ললিতা, পদ্মিনী ও রাগিনী তার পিতার দিক থেকে আত্মীয়।[] মালয়ালম অভিনয়শিল্পী অম্বিকা সুকুমারণ, বিনিত ও কৃষ্ণ তার আত্মীয়।[]

শোভনা চেন্নাইয়ের রোজারি মেট্রিক গার্লস স্কুলে পড়াশোনা করেন। তিনি তিন বছর বয়স থেকে ভারতনাট্যম নাচের তালিম নেন[] এবং ১৪ বছর বয়সে তার প্রথম পেশাদার নৃত্য পরিবেশন করেন।[]

কর্মজীবন

সম্পাদনা

শোভনার চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে বলিউডের অমর প্রেম (১৯৭২) চলচ্চিত্রে শিশুশিল্পী হিসেব। প্রাপ্ত বয়স্ক অভিনেত্রী হিসেবে তিনি বলচন্দ্র মেননের মালয়ালম ভাষার এপ্রিল এইটিন দিয়ে চলচ্চিত্রাঙ্গনে আগমন করেন। ছবিটি হিট তকমা লাভ করে।[] একই বছর তিনি এস. পি. মুথুরামনের এনাক্কুল অরুভান দিয়ে তামিল চলচ্চিত্র শিল্পে প্রবেশ করেন। ছবিটি বক্স অফিসে ব্যর্থ হয় এবং তিনি মালয়ালম চলচ্চিত্রে ফিরে যান। তিনি এসময়ে মালয়ালম ভাষার কানামারাযাথু (১৯৮৪), যাত্রা, ও রঙ্গম (১৯৮৫), এবং ভ্রুথুম (১৯৮৭) চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।[]

পরবর্তী কালে তিনি কয়েকটি তামিল ভাষার চলচ্চিত্রে কাজ করেন, তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ভাগ্যরাজের বিপরীতে ইধু নাম্মা আলু (১৯৮৮), রজনীকান্তের বিপরীতে শিবা (১৯৮৯), বিজয়কান্তের বিপরীতে পোনমানা সেলভান (১৯৮৯) ও সত্যরাজের বিপরীতে মাল্লু ভেট্টি মাইনরবাথিয়ার ভিটু পিল্লাই (১৯৯০) এবং তেলুগু ভাষার অনাথ-আশ্রম[]

পুরস্কার ও সম্মাননা

সম্পাদনা
 
রাষ্ট্রপতি এ পি জে আবদুল কালামের নিকট থেকে পদ্মশ্রী গ্রহণ করছেন শোভনা, মার্চ ২০০৬।
রাষ্ট্রীয় সম্মাননা
  • ২০০৬: শিল্পকলায় পদ্মশ্রী
  • ২০১৪: কলা রত্ন পুরস্কার
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার
কেরালা রাজ্য চলচ্চিত্র পুরস্কার
  • ১৯৯৩: শ্রেস্ত অভিনেত্রী - মণিচিত্রতজু
ফিল্মফেয়ার পুরস্কার দক্ষিণ
  • ১৯৮৯: শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী (মালয়ালম) - ইন্নালে
  • ১৯৯৪: শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী (মালয়ালম) - তেনমাবিন কম্বাত
বনিতা চলচ্চিত্র পুরস্কার
  • ২০১৩: শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী - তিরা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. ডেভিস, ম্যাগি (১৫ জুন ২০১৭)। "Malayalam actress Shobana to get hitched at the age of 47?" (ইংরেজি ভাষায়)। ইন্ডিয়া.কম। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০১৯ 
  2. কুমার, এস. আর. অশোক (২৯ ডিসেম্বর ২০০৫)। "I am an introvert, says Shobana"দ্য হিন্দু (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুলাই ২০১৯ 
  3. "Padma Awards" (ইংরেজি ভাষায়)। যোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০১৯ 
  4. "About" (ইংরেজি ভাষায়)। ৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুলাই ২০১৯ 
  5. "ജീവിതത്തിന്‌ ഇപ്പോള്‍ എന്തൊരു രുചി...!"মঙ্গলম। ১০ নভেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুলাই ২০১৯ 
  6. "Shobana believes in versatility"নিউ স্ট্রেইট টাইমস (ইংরেজি ভাষায়)। ৮ মে ১৯৯০। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুলাই ২০১৯ – গুগল নিউজ-এর মাধ্যমে। 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা