শেখ মুজিব আমার পিতা

শেখ মুজিব আমার পিতা বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক লিখিত বই, যা তার পিতা শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে রচিত হয়েছে।[১] প্রকাশকের মতে শেখ হাসিনা মূলত তার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা ও সংক্ষিপ্ত স্মৃতিকথা বিজড়িত আত্মজৈবনিকমূলক কথা বইটিতে তুলে ধরেছেন।[২] বইটি ১৯৯৯ সালে প্রথম কলকাতা বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছিলো, বইয়ের ভূমিকা লিখেছেন রফিকুল ইসলাম এবং প্রস্তাবনা লিখেছেন পার্থ ঘোষ। বইটির প্রচ্ছদ এঁকেছেন চিত্রশিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদ, এবং বইটিতে মোট ১১৪ টি পৃষ্ঠা রয়েছে।

শেখ মুজিব আমার পিতা
বইয়ের প্রচ্ছদ
লেখকশেখ হাসিনা
প্রচ্ছদ শিল্পীশাহাবুদ্দিন আহমেদ
দেশবাংলাদেশ
ভাষাবাংলা
বিষয়শেখ হাসিনা, বঙ্গবন্ধু
ধরনআত্নজীবনি
প্রকাশকসাহিত্যম প্রকাশনালয়, আগামী প্রকাশনী
প্রকাশনার তারিখ
২০১৫
ইংরেজিতে প্রকাশিত
২০১৭
পৃষ্ঠাসংখ্যা১১৪
আইএসবিএন৯৭৮৯৮৪০৪১৭৩০৮

বিষয়বস্তু সম্পাদনা

এই বইটিতে পাঁচটি অধ্যায় রয়েছে। প্রথম অধ্যায়ে রয়েছে ড. রফিকুল ইসলাম লিখিত ভূমিকা অংশ এবং পার্থ ঘোষ লিখিত প্রস্তাবনা অংশ। দ্বিতীয় অধ্যায়ে রয়েছে, শেখ মুজিব আমার পিতা, বঙ্গবন্ধু ও তাঁর সেনাবাহিনী, ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড নামে তিনটি শিরোনামে তিনটি রচনা। তৃতীয় অধ্যায়ে রয়েছে স্মৃতির দখিন দুয়ার-এক, স্মৃতির দখিন দুয়ার-দুই ও স্মৃতি বড় মধুর বড় বেদনার আরো তিনটি রচনা। চতুর্থ অধ্যায়ে আব্দুল মতিন চৌধুরী, বেগম জাহানারা ইমাম এবং নূর হোসেনকে নিয়ে লেখা তিনটি রচনা রয়েছে। শেষ অধ্যায়টির শিরোনাম হচ্ছে ‘একানব্বইয়ের ডায়েরি’।

ভূমিকা লেখক রফিকুল ইসলাম বলেছেন, বইটি মূলত বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে শেখা হাসিনার লিখিত দশটি নির্বাচিত প্রবন্ধের সমাহার। বইটিতে ১৯৮৩ সাল থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত শেখা হাসিনার জীবনের জীবনের নানাদিক আলোচনা রয়েছে।

প্রকাশনা ও পরিচিতি সম্পাদনা

১৯৯৯ সালে কলকাতা বইমেলায় সাহিত্যম প্রকাশনালয় থেকে বইটি প্রথম প্রকাশ পায়, সে বছত কলকাতা বইমেলা শেখ হাসিনা নিজেই উদ্বোধন করেন। এরপরে ২০১৫ সালের ফেবরুয়ারি মাসে একুশে বইমেলায় আগামী প্রকাশনা থেকে পুনরায় বইটি প্রকাশ করা হয়।[৩] বইয়ের প্রকাশক ওসমান গণি বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর জীবনের অনেক উপেক্ষিত অনুল্লিখিত দিক এবং শেখ হাসিনার লড়াই-সংগ্রামের ইতিহাস বইটিতে স্থান পেয়েছে। ২০২২ সালে সর্বশেষ সংস্করণসহ আগামী প্রকাশনী থেকে বইটির মোট এগারোটি সংস্করণ বের হয়েছে।[৪]

এছাড়াও ২০১৭ সালে বইটি ইংরেজি, হিন্দি ও জার্মান ভাষায় অনূদিত করা হয়েছে।[৫] ২০২১ সালে বইটি অবলম্বনে বসুন্ধরা সিটির স্টার সিনেপ্লেক্সে অ্যানিমেটেড চলচ্চিত্রটির উদ্বোধনী প্রদর্শনী করা হয়।[৬]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Dhakatimes24.com। "'শেখ মুজিব আমার পিতা' প্রকাশিত হচ্ছে তিন ভাষায়"Dhakatimes News। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৩-২৩ 
  2. প্রতিবেদক, নিজস্ব। "মুক্তি পেল 'মুজিব আমার পিতা'"bdnews24। ২০২৩-০৩-২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৩-২৩ 
  3. "বইমেলায় শেখ হাসিনার বই 'শেখ মুজিব আমার পিতা'"NTV Online (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৫-০২-০২। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৩-২৩ 
  4. "শেখ মুজিব আমার পিতা - শেখ হাসিনা"www.rokomari.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৩-২৩ 
  5. "তিন ভাষায় প্রকাশ হবে প্রধানমন্ত্রীর বই"Bangla Tribune। ২০২৩-০৩-২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৩-২৩ 
  6. ডেস্ক, বিনোদন। "'মুজিব আমার পিতা' অ্যানিমেটেড চলচ্চিত্রের উদ্বোধন"Prothomalo। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৩-২৩