সৈয়দ শাহ তাজ উদ্দিন (আরবি: سيد شاه تاج الدين) ছিলেন ১৪ শতাব্দীর সিলেট অঞ্চলের মুসলিম সুফি। তিনি সিলেটের ওসমানী নগর উপজেলার আওরঙ্গপুরের ইসলাম ধর্ম প্রচার করেছেন।[১] ১৩১৫ সালে তিনি শাহ কামাল কাহাফার সাথে যোগ দেন এবং শাহ জালালের সাথে সাক্ষাত করতে তার পিতা খাজা বুরহানউদ্দিন কেতনের সাথে পুনরায় মিলনের জন্য সিলেট অঞ্চলে বেড়াতে গিয়েছিলেন।[২][৩]

সৈয়দ শাহ তাজ উদ্দিন
অন্য নামতাজ সাহ
ব্যক্তিগত তথ্য
জন্ম
মৃত্যু
গওহরপুর, আওরঙ্গপুর পরগনা
সমাধিস্থলসৈয়দ শাহ তাজ উদ্দিন মাজার, লামা তাজপুর, ওসমানী নগর উপজেলা
ধর্মইসলাম
জাতীয়তাইরাকi
সন্তানএসকে শাহ আনার, এক মেয়ে (নাম অজানা)
পিতামাতা
  • সৈয়দ আলাউদ্দিন (পিতা)
অন্য নামতাজ সাহ
আত্মীয়শাহ রুকুনউদ্দিন, শাহ বাহারউদ্দিন
মুসলিম নেতা
ভিত্তিকতাজপুর
কাজের মেয়াদ১৪ শতকের গোড়ার দিকে
পদশাহ কালাম কোহাফাহ্‌ এর সঙ্গী

জীবনী সম্পাদনা

তাজউদ্দীন ১৩ শতকে বাগদাদে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ধারণা করা হয় যে তিনি কুরাইশের আরব গোত্রের বংশধর। তিনি শাহ জালালের সাথে সাক্ষাত করার জন্য এবং তাতাঁর পিতা বুরহানউদ্দিনের সাথে পুনরায় মিলনের জনতাতাঁর বাবা আলাউদ্দিন এবং তাঁর ভাই শাহ রুকনউদ্দিন এবং বাহাউদ্দিনের সাথে শাহ কামাল কাহাফার সাথে যোগ দিয়েছিলেন। ১৩১৫ সালে তারা সিলেটে পৌঁছে এবং দরগাহ মহল্লায় শাহ জালালের মুরিদ হিসাবে কিছুটা সময় কাটিয়েছিল।

১৩১৫ সালের জুনে শাহ জালাল, শাহ কামাল কাহাফা সহ ১২ জন দরবেশকে উত্তর-পশ্চিম সুনামগঞ্জ ভ্রমণ করতে এবং সেখানে ধর্ম প্রচার করার নির্দেশ দেন। তখন ১৩ জন পুরুষ এবং সাহ কামালের স্ত্রী সুরমা নদীর তীরে শেখ ঘাট থেকে তিনটি ছোট বাজরে পাংশী নিয়ে যাত্রা করেছিলেন। এবং তারা রতনাং নামক একটি দ্বীপগুচ্ছে অঞ্চলে বসবাস করেছিল। এটি রত্না নদীর তীরে অবস্থিত, পরবর্তীতে এটি শাহারপাড়া (শাহদের পাড়া) নামে পরিচিতি লাভ করে। [৪]

পরে তাজউদ্দীন আওরঙ্গপুর পরগনার গৌহরপুরে চলে আসেন যেখানে তিনি তাতাঁর বাকী জীবন অতিবাহিত করেন। [৫]

মৃত্যু এবং উত্তরাধিকার সম্পাদনা

শাহ তাজ উদ্দিনের মৃত্যুর পর ওসমানী নগর উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের পূর্ব তাজপুর গ্রামে মাজারে দাফন করা হয়েছে। [৬] ওসমানী নগরের তাজপুর তার নামানুসারে নামকরণ করা হয়েছে।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Hanif, N (২০০০)। "Jalal, Shaikh (d.1357 A.D.)"। Biographical Encyclopaedia of Sufis: South Asia। Sarup & Sons। পৃষ্ঠা 167 
  2. দর্শনীয় স্থানsadipurup.sylhet.gov.bd। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ 
  3. Choudhury, Achyutcharan। "2: Dervish Shah Jalal"। Sreehatter Itibritta – Purbangsho (A History of Sylhet), Part 2। Mustafa Selim; Source publication, 2004। পৃষ্ঠা 188। 
  4. Dr G Saklayen, Bangladesh Sufi Sadhak
  5. Syed Murtaza Ali (১৯৬৫)। হজরত শাহ জালাল ও সিলেটের ইতিহাস 
  6. Abdul Hannan Turukkholi (১০ মে ২০১৯)। ৩৬০ আউলিয়ার মাজার পরিচিতিSylheter Dak। ৩ মে ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ মে ২০২১