শাহ আবুল হাসনাৎ মোহাম্মদ ইসমাইল
শাহ আবুল হাসনাৎ মোহাম্মদ ইসমাইল ( ১৩ই ফেব্রুয়ারি ১৯০৫ - ২১ই ডিসেম্বর ১৯৮৫) হলেন বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত সাহিত্যিক। সাহিত্যে অনন্য সাধারণ অবদানের জন্য ১৯৮৪ সালে তাকে “সাহিত্যে স্বাধীনতা পুরস্কার” প্রদান করা হয়।[১] ইনি ফরিদপুর জেলার সদরপুর থানার অন্তর্গত সাড়ে সাত রশি গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পীর বংশে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মৌলানা শাহ মােহাম্মদ ইব্রাহীম একজন প্রখ্যাত আলেম ছিলেন। ছাত্রাবস্থায় প্রতিটি পরীক্ষায় জনাব আবুল হাসানাৎ কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হন। প্রাচ্যের ভাষা ব্যতীত তিনি আরবী ও ফারসীতে ডিগ্রী লাভ করেন। আই, পি, এস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে পুলিশ বিভাগের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদ সহ ইনস্পেক্টর জেনারেল অব পুলিশের পদ অলংকিত করেন। জনাব আবুল হাসানাৎ আজীবন পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেও সাহিত্য গবেষণা ক্ষেত্রে যে অবদান রাখেন তা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণযােগ্য। অপরাধতত্ত্ব ও আইন বিজ্ঞানের উপর রচিত তার গবেষণামূলক গ্রন্থাবলী স্নাতকোত্তর পর্যায়ে পাঠ্যপুস্তক হিসেবে বহুদিন। যাবত পঠিত হচ্ছে। উপমহাদেশের একজন কৃতী যৌন বিজ্ঞানী হিসেবে তিনি নিজেকে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে সমর্থ হয়েছিলেন। ১৯৩৬ সনে তার রচিত যৌনবিজ্ঞান এই উপমহাদেশে আলােড়ন সৃষ্টি করে। স্পর্শকাতর যৌন বিষয়ে, ইতিপূর্বে বিজ্ঞান সম্মত কোন গ্রন্থ বাংলা ভাষায় প্রকাশিত হয়নি। যৌনবিজ্ঞান ও মাতৃ মঙ্গলের উপর লিখিত তার গ্রন্থাবলী অদ্যাবদি পাঠক সমাজে আদৃত হচ্ছে। তার জন্ম নিয়ন্ত্রক গ্রন্থটির উর্দু ও হিন্দি সংস্করণ প্রকাশিত হয়। বাংলা, আরবী, ফারসী, ইংরেজী ও উর্দু ভাষায় সুপণ্ডিত জনাব আবুল হাসানাৎ অসংখ্য প্রবন্ধ ও গ্রন্থের মাধ্যমে একটি শৃঙ্খলাপূর্ণ কল্যাণমুখী সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নিরলস প্রচেষ্টা চালান। সাহিত্য, গবেষণা ও সমাজ কল্যাণমূলক কর্মপ্রয়াসে ফলপ্রসু অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি বাংলা একাডেমী। পুরস্কার, একুশে পদক এবং স্বাধীনতা স্বর্ণপদকসহ বহু। পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
শাহ আবুল হাসনাৎ মোহাম্মদ ইসমাইল | |
---|---|
জন্ম | ১৩ ফেব্রুয়ারি ১৯০৫ |
মৃত্যু | ২১ ডিসেম্বর ১৯৮৫ | (বয়স ৮০)
নাগরিকত্ব | ভারত(১৯০৫-১৯৪৭) পাকিস্তান(১৯৪৭-১৯৭১) বাংলাদেশ(১৯৭১-১৯৮৫) |
উল্লেখযোগ্য কর্ম | যৌনবিজ্ঞান Crime and Criminal Justice |
পুরস্কার | স্বাধীনতা পুরস্কার (১৯৮৪) |
পুরস্কার ও সম্মাননা
সম্পাদনাসাহিত্য ক্ষেত্রে অসাধারণ অবদানের জন্য ১৯৮৪ সালে দেশের “সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার”[২][৩][৪] হিসাবে পরিচিত “স্বাধীনতা পুরস্কার” প্রদান করা হয় তাকে।[১]
গ্রন্থ সমূহ
সম্পাদনা- যৌনবিজ্ঞান (১৯৩৬)
- Crime and Criminal Justice (১৯৩৯)
- কাজের কথা (১৯৩৯)
- All about Sex, Love & Happy Marriage. A Latest Encyclopaedia with Entirely Original Features.(১৯৫৫)
- বাংলা সাহিত্যে মুসলমানদের দান
- গনআদালতে জামায়েত ই্সলামি
- বিহঙ্গনামা
- Let Munaity Not Forget (১৯৭৪)
- ভালবাসা কারে কয়
- মুক্তিযুদ্ধের রূপরেখা (১৯৭৫)
- জগতে আনন্দযজ্ঞে ওয়াহিদুল হক
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ "স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের তালিকা"। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ১ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ০৯ অক্টোবর ২০১৭। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ সানজিদা খান (জানুয়ারি ২০০৩)। "জাতীয় পুরস্কার: স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার"। সিরাজুল ইসলাম। [[বাংলাপিডিয়া]]। ঢাকা: এশিয়াটিক সোসাইটি বাংলাদেশ। আইএসবিএন 984-32-0576-6। সংগ্রহের তারিখ ০৯ অক্টোবর ২০১৭।
স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার।
এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য); ইউআরএল–উইকিসংযোগ দ্বন্দ্ব (সাহায্য) - ↑ "স্বাধীনতা পদকের অর্থমূল্য বাড়ছে"। কালেরকন্ঠ অনলাইন। ২ মার্চ ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২৫ অক্টোবর ২০১৭।
- ↑ "এবার স্বাধীনতা পদক পেলেন ১৬ ব্যক্তি ও সংস্থা"। এনটিভি অনলাইন। ২৪ মার্চ ২০১৬। ১ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ অক্টোবর ২০১৭।