শালবনী

পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনী সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের একটি গ্রাম

শালবনী পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার অন্তর্গত মেদিনীপুর সদর মহকুমার একটি সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক। শালবনী ব্লক দশটি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত, সেগুলো হচ্ছে বাঁকিবাঁধ, দেবগ্রাম, কাশিজোড়া, শাটপাতি, ভিমপুর, গড়মাল, লাল্গেড়িয়া, বিষ্ণুপুর, কর্ণগড় এবং শালবনী।[১] এই ব্লকে কোনো নগর এলাকা নেই।[২] শালবনী পুলিস স্টেশন এই ব্লকের দায়িত্ব পালন করে।[৩] শালবনী এই ব্লকের সদরদপ্তর।[৪] মেদনীপুর শহর থেকে মাত্র ২২ কিমি দুরত্বে এই ব্লক ও গ্রামের অবস্থান। এর উত্তর দিকে চন্দ্রকোনা রোড, দক্ষিণে মেদিনীপুর, পুর্বে কেশপুর, পশ্চিমে ঝাড়গ্রাম। সড়ক পথ ও রেলপথ যোগাযোগের এই দুই সুবিধা এখানে আছে।

শালবনী
উন্নয়ন সমষ্টি ব্লক
শালবনী পশ্চিমবঙ্গ-এ অবস্থিত
শালবনী
শালবনী
পশ্চিমবঙ্গে অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২২°৩৮′ উত্তর ৮৭°১১′ পূর্ব / ২২.৬৩° উত্তর ৮৭.১৯° পূর্ব / 22.63; 87.19
দেশ ভারত
প্রদেশপশ্চিমবঙ্গ
জেলাপশ্চিম মেদিনীপুর জেলা
উচ্চতা২৫ মিটার (৮২ ফুট)
ভাষা
 • সরকারীবাংলা, ইংরেজি
সময় অঞ্চলভারতীয় প্রমাণ সময় (ইউটিসি+৫:৩০)
ডাক সূচক সংখ্যা৭২১১৪৭
টেলিফোন কোড০৩২২৭
যানবাহন নিবন্ধনডব্লিওবি
লোকসভা কেন্দ্রঝাড়গ্রাম
বিধানসভা কেন্দ্রশালবনী
ওয়েবসাইটwww.salboni.co.in
শালবনী রেলওয়ে স্টেশন


ইতিহাস সম্পাদনা

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় রয়াল এয়ার ফোর্সের বিমান ঘাঁটি ছিল এখানে। রাজীব গান্ধী প্রাধান মন্ত্রী থাকার সময় এই পরিত্যাক্ত বিমান ঘাঁটি তে নোট মুদ্রণ ছাপাখানা গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেন। বর্তমানে সেটি ভারতীয় নোট উৎপাদনের একটি মুখ্য ছাপাখানা

রাজনীতি সম্পাদনা

ঝাড়গ্রাম লোকসভার অন্তর্গত শালবনী। বর্তমান শালবনী বিধানসভার বিধায়ক মাননীয় শ্রীকান্ত মাহাত মহাশয়, তিনি তৃনমুল কংগ্রেস রাজনৈতিক দলের সদস্য। ২০১১ এর বিধানসভা নির্বাচনে জিতে তিনি এইবার প্রথমবারের জন্য বিধায়ক হয়েছেন। এর আগে শ্রী খগেন্দ্রনাথ মাহাত মহাশয় (সি পি আই এম দলের) ১৯৯৬ ও ২০০১, ২০০৬ এর বিধানসভা নির্বাচনে জিতে বিধায়ক হয়েছিলেন। তার আগে বিধায়ক ছিলেন স্বর্গীয় সুন্দর হাজরা (সি.পি.আই (এম)) মহাশয়। ১৯৭৭, ১৯৮২, ১৯৮৭ ও ১৯৯১ বিধানসভা নির্বাচনে জিতে তিনি চারবার বিধায়ক হয়েছিলেন। বিরোধী রাজনৈতিক দল সি পি আই (এম) ই মুখ্য এছাড়া কিছু পরিমাণে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার অস্তিত্ব চোখে পড়ে। শালবনী জঙ্গল বেষ্টিত আর এই জঙ্গলে মাওবাদী দের উপস্থিতি উপেক্ষা করার মত নয়। শালবনী ব্লকের প্রতন্ত গ্রাম গুলিতে এদের প্রভাব বেশ ভালো।

অর্থনীতি সম্পাদনা

এখানকার অর্থনীতি মুলত কৃষি নির্ভর। মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষের বসবাসই বেশি। বেশ কিছু কারখানা শালবনী ব্লকের মধ্যে গড়ে ওঠায় মুলত কৃষি নির্ভর এই গ্রামটি উন্নতির দিকে অগ্রসর হচ্ছে। শালবনী থেকে মাত্র কিছু দূরে ভিসাকা এসবেস্টস কারখানা। শালবনী নোট প্রেস এখানকার অর্থনৈতিক উন্নতিতে অনেক সহায়ক হয়েছে। ২০০৭ এর ১লা জানুয়ারী পশ্চিম বঙ্গ সরকারের সাথে জিন্দাল গোষ্টীর ১০মিলিয়ন টন ক্ষমতা বিশিষ্ট একটি ইস্পাত কারখানা গড়ে তোলার চুক্তি হয় যার কাজ অগ্রসর হচ্ছে। শালবনীর অদূরে গোদাপিয়াশালে ডালমিয়া গ্রুপ এর সিমেন্ট কারখানা গড়ে উঠেছে। শালবনী তে মাওবাদী দমনের জন্য CRPF এর COBRA বাহিনীর প্রশিক্ষন কেন্দ্র আছে। শালবনীর উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তমাল নদী ও কংসাবতী সেচ বিভাগের দুটি কানাল এখান কার কৃষিকাজে অনেক সহায়তা করে।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Directory of District, Sub division, Panchayat Samiti/ Block and Gram Panchayats in West Bengal, March 2008"West Bengal। National Informatics Centre, India। ২০০৮-০৩-১৯। ২০০৯-০২-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১২-২৪ 
  2. "District Wise List of Statutory Towns( Municipal Corporation,Municipality,Notified Area and Cantonment Board) , Census Towns and Outgrowths, West Bengal, 2001"। Census of India, Directorate of Census Operations, West Bengal। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১২-২৪ 
  3. "List of Districts/C.D.Blocks/ Police Stations with Code No., Number of G.Ps and Number of Mouzas"। Census of India, Directorate of Census Operations, West Bengal। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১২-২৪ 
  4. "Contact details of Block Development Officers"Paschim Medinipur district। Panchayats and Rural Development Department, Government of West Bengal। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১২-২৭ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]