শামসুর রাহমান (রাজনীতিবিদ)

বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ

শামসুর রহমান (১৯ ফেব্রুয়ারি ১৯১৫-২ নভেম্বর ২০০৮) একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ সাংবাদিক এবং সমাজকর্মী ছিলেন। তিনি তৎকালীন পূর্বপাকিস্তান থেকে নির্বাচিত পাকিস্তানের তৃতীয় জাতীয় পরিষদের (১৯৬২) সদস্য ছিলেন।[১] তিনি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সিনিয়র নয়েবে আমির।[২][৩]

শামসুর রাহমান
পাকিস্তানের তৃতীয় জাতীয় পরিষদের সদস্য
কাজের মেয়াদ
১৯৬২ – ১৯৬৫
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল
কাজের মেয়াদ
১৯৭৮ – ১৯৮১
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম১৯ ফেব্রুয়ারি ১৯১৫
মঠবাটি, গদাইপুর, পাইকগাছা. খুলনা, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত
(বর্তমান বাংলাদেশ)
মৃত্যু২ নভেম্বর ২০০৮
জাতীয়তাব্রিটিশ ভারত (১৯৪৭ সাল পর্যন্ত)
পাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে)
বাংলাদেশ
রাজনৈতিক দলবাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী
সন্তানচার পুত্র ও তিন কন্যা

জন্ম ও প্রাথমিক জীবন সম্পাদনা

শামসুর রাহমান ১৯ ফেব্রুয়ারি ১৯১৫ সালে খুলনার পাইকগাছার গদাইপুর ইউনিয়নের মঠবাটি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মৃত কফিল উদ্দিন সরদার একজন স্কুল শিক্ষক ছিলেন। মাতা মৃত শরিফাতুন্নেসা।[৩][৪]

তিনি ১৯৩৪ সালে কপিলমুনি সাহাচারি বিদ্যালয় মন্দির থেকে মাধ্যমিক পাশ করে ১৯৩৭ সালে বাগেরহাটের সরকারী পিসি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। ১৯৩৯ সালে তিনি কলকাতার ইসলামিয়া কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর পাস করেন।[৩]

রাজনৈতিক ও কর্মজীবন সম্পাদনা

শামসুর রাহমান ১৯৩৯ সালে মেদিনীপুর জেলার কৃষ্ণপুর হাই স্কুলের অধ্যক্ষ হিসাবে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৪১ সালে তিনি কৃষি বিভাগে সরকারী কর্মকর্তা হিসাবে যোগদান করেন। সাংবাদিকতা শুরু করেন ১৯৪৯ সাল থেকে। তিনি খুলনা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। সাপ্তাহিক তাওহিদ পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক ছিলেন তিনি। ১৯৫২ সালে পত্রিকাটি জামায়াতে ইসলামীর মুখপত্র হিসাবে প্রকাশিত হয়। তিনি ছিলেন প্রখ্যাত প্রকাশনা সংস্থা অধুনিক প্রকাশনীর চেয়ারম্যান। তিনি ডেইলি সংগ্রাম ও দ্য সাপ্তাহিক সোনার বাংলার সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছিলেন।[৩][৫]

তিনি সাইয়েদ আবুল আ'লা মওদুদীর রাজনৈতিক চিন্তায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ১৯৫২ সালে জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেন। পূর্ব পাকিস্তানের প্রতিনিধি হিসাবে পাকিস্তানের তৃতীয় জাতীয় পরিষদের সদস্য ছিলেন। তিনি ১৯৫৫ সাল থেকে ১৯৬৮ সাল পর্যন্ত প্রায় ১৩ বছর খুলনা জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৭৮ সাল থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে তিনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সিনিয়র নয়েবে আমির হয়ে ১৯৮৩-২০০৩ মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেন।[৩][৫]

তিনি ১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা-২ আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী হয়ে পরাজিত হয়ে ছিলেন।

মৃত্যু সম্পাদনা

শামসুর রাহমান ২ নভেম্বর ২০০৮ সালে মৃত্যুবরণ করেন।[৩][৫]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "National Assembly of Pakistan"na.gov.pk। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০১৭ 
  2. "Bangladesh Jamaat-e-Islami"jamaat-e-islami.org। সংগ্রহের তারিখ ১১ অক্টোবর ২০১৭ 
  3. স্টাফ রিপোর্টার (২ নভেম্বর ২০১৭)। "সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ শামসুর রহমানের ৯ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ"দৈনিক সংগ্রাম। ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ 
  4. "সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ শামসুর রহমান"সাপ্তাহিক সোনারবাংলা। ৬ নভেম্বর ২০২০। ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ 
  5. উপসম্পাদকীয় (২ নভেম্বর ২০২০)। "স্ম র ণ: সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ শামসুর রহমান"দৈনিক নয়াদিগন্ত। ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০২০