শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়াম
শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়াম ২০১৩ সালে নির্মিত[১] বাংলাদেশের একটি জেলা পর্যায়ের স্টেডিয়াম। স্টেডিয়ামটি গাজীপুর জেলার গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের টঙ্গীর মাছিমপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে টঙ্গী ডাকঘরের উত্তরে এবং বাংলাদেশ টেলিফোন শিল্প সংস্থার দক্ষিণ সীমায় অবস্থিত। স্টেডিয়ামটি গাজীপুর জেলার দ্বিতীয় স্টেডিয়াম। অন্য স্টেডিয়ামটি গাজীপুর সদর উপজেলায় অবস্থিত শহীদ বরকত স্টেডিয়াম। শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়াম বাংলাদেশের প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ প্রয়াত আহসান উল্লাহ মাস্টার এর নামে নামকরণ করা হয়েছে[২][৩][৪]। বাংলাদেশের অন্যান্য সকল ক্রীড়া ভেন্যুর মতই এই স্টেডিয়ামটি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অধিভুক্ত ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার তত্বাবধায়নে রয়েছে। বর্তমানে তীরন্দাজি খেলা, প্রশিক্ষণ ও অনুশীলনের জন্য এই ভেন্যুটি বাংলাদেশ আর্চারি ফেডারেশন একক ব্যবহার করছে[৫] তবে এই ভেন্যু ফুটবল প্রতিযোগিতার জন্যও ব্যবহৃত হয়েছে[৬]। স্টেডিয়ামটি তীরন্দাজি খেলার ঘরোয়া[৭] ও আন্তর্জাতিক[৮][৯] আয়োজন ও প্রশিক্ষণের[১০][১১] জন্য বহুল ব্যবহৃত হয়।
টঙ্গী স্টেডিয়াম | |
বাংলাদেশ মানচিত্রে স্টেডিয়ামের অবস্থান | |
পূর্ণ নাম | শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়াম |
---|---|
অবস্থান | গাজীপুর জেলা, বাংলাদেশ |
স্থানাঙ্ক | ২৩°৫৩′২০.৪০″ উত্তর ৯০°২৪′০১.১০″ পূর্ব / ২৩.৮৮৯০০০০° উত্তর ৯০.৪০০৩০৫৬° পূর্ব |
মালিক | জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ |
পরিচালক | জেলা ক্রীড়া সংস্থা, গাজীপুর বাংলাদেশ আর্চারি ফেডারেশন |
ধারণক্ষমতা | ৩০০০ |
উপরিভাগ | ঘাস |
স্কোরবোর্ড | নেই |
নির্মাণ | |
কপর্দকহীন মাঠ | ২৫ ডিসেম্বর, ২০০৮ |
উদ্বোধন | ২০১৩ |
নির্মাণ ব্যয় | ৳ ৮ কোটি |
ভাড়াটে | |
বাংলাদেশ আর্চারি ফেডারেশন(২০১৪- বর্তমান) বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন(২০১৭) |
ইতিহাস
সম্পাদনাস্টেডিয়ামের মাঠটি টেলিফোন শিল্প সংস্থার অংশ ছিল। প্রধানমন্ত্রী, ২৫ ডিসেম্বর, ২০০৮ সালে এই মাঠটিকে স্টেডিয়ামে রুপান্তরের প্রতিশ্রুতি দেন[১২]। ০৫ ডিসেম্বর, ২০১২ তারিখে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কার্যনির্বাহী সভায় এই স্টেডিয়ামটি আহসান উল্লাহ মাস্টারের নামে নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়, এবং নির্মাণ ব্যয় হিসেবে আট কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়[৪]। ৩১ অক্টোবর, ২০১৩ তারিখে স্টেডিয়ামটি উদ্বোধন করা হয়[১][১৩][১৪]। জুন, ২০১৪ তে প্রাথমিক নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়[১২]। ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ তারিখে স্টেডিয়ামটিকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার ঘোষণা দেয়া হয়[৫]।
কাঠামো ও গঠন
সম্পাদনাস্টেডিয়ামটি আয়তাকার। মাঠের দক্ষিণ পাশে কংক্রিটের গ্যালারি ও প্যাভিলিয়ন রয়েছে[১৫]। উত্তর, পূর্ব ও পশ্চিম পাশের গ্যালারি অদ্যাবধি নির্মাণ করা হয়নি। স্টেডিয়ামটির অবকাঠামো উন্নয়ন পরিকল্পনা আছে[১৬]।
আয়োজন
সম্পাদনাতীরন্দাজি প্রতিযোগিতা
সম্পাদনাস্টেডিয়ামটি উদ্বোধনের পর হতে বাংলাদেশ আর্চারি ফেডারেশন এই ভেন্যুতে উল্লেখযোগ্য ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক তীরন্দাজি প্রতিযোগিতা আয়োজন করেছে:
এই ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন তীরন্দাজি প্রতিযোগিতা সমূহ | |||||
---|---|---|---|---|---|
তারিখ | ঘরোয়া/আন্তর্জাতিক | প্রতিযোগিতার নাম | পৃষ্ঠপোষক | মন্তব্য | তথ্যসূত্র |
২৫-২৮ জুলাই, ২০১৬ | ঘরোয়া প্রতিযোগিতা | অষ্টম জাতীয় আর্চারি প্রতিযোগিতা | গ্রামীণফোন লিমিটেড | ৫৪টি দলের ৩২৭ জন তীরন্দাজ অংশগ্রহণ করেন। | [১৭][১৮] |
২-৫ জানুয়ারি, ২০১৮ | নবম জাতীয় আর্চারি প্রতিযোগিতা | সিটি গ্রুপ | ৩২টি দলের ১৭২ জন তীরন্দাজ অংশগ্রহণ করেন। | [১৯][২০] | |
১৯-২০ নভেম্বর, ২০১৮ | দ্বিতীয় জাতীয় যুব আর্চারি প্রতিযোগিতা | দুটি ক্যাটাগরিতে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছেঃ জুনিয়র ক্যাটাগোরি ও ক্যাডেট ক্যাটাগরি। জুনিয়র ক্যাটাগোরিতে অনূর্ধ্ব-২০ বছর বয়সী তীরন্দাজরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। ক্যাডেট ক্যাটাগোরিতে অনূর্ধ্ব-১৭ বছর বয়সী তীরন্দাজরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই প্রতিযোগিতায় পাঁচটি আর্চারি ক্লাবের ৬৮ জন তীরন্দাজ অংশ নিয়েছে। | [২১][২২][২৩] | ||
১৮-২০ ডিসেম্বর, ২০১৮ | দশম জাতীয় আর্চারি প্রতিযোগিতা | ৪০টি দলের ১৬৫ জন তীরন্দাজ অংশগ্রহণ করেন। | [৭][২৪] | ||
২৩-২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ | আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা | তৃতীয় আইএসএসএফ ইন্টারন্যাশনাল সলিডারিটি ওয়ার্ল্ড র্যাংকিং আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপস | সিটি গ্রুপ ও আমরা নেটওয়ার্ক | ২৬ দেশের প্রায় ১৫০ জন তীরন্দাজ অংশগ্রহণ করেন। | [৮][৯][২৫][২৬] |
১৯-২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ | ঘরোয়া প্রতিযোগিতা | বাংলাদেশ আর্চারি কাপ ঢাক-২০১৯ স্টেজ-৩ | মধুমতি ব্যাংক লিমিটেড | ৯টি ক্লাবের ৯৫ জন তীরন্দাজ অংশগ্রহণ করছে। | [২৭] |
ফুটবল প্রতিযোগিতা
সম্পাদনা২০১৭ সালে এই মাঠে প্রথম বারের মত বাংলাদেশ ফুটবল কাঠামোর সর্বনিম্ন স্তর- পাইওনিয়ার লিগ আয়োজন করা হয়[২৮]। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ ফুটবলের ত্রয়োদশ মৌসুমে স্টেডিয়ামটি আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের স্বাগতিক মাঠ হিসেবে ব্যবহার করা হয়।[২৯]
ধারণ ক্ষমতা
সম্পাদনাপ্রাথমিক ভাবে নির্মিত গ্যালারি ও প্যাভিলিয়নে ৩০০০ দর্শক খেলা উপভোগ করতে পারেন। মাঠের চারপাশে গ্যালারি হলে ধারণ ক্ষমতা ৮০০০ এর অধিক হবে।
অন্যান্য ব্যবহার
সম্পাদনাএই স্টেডিয়ামটি হেলিকপ্টার অবতরণের জন্য ব্যবহৃত হয়েছে[৩০]।
আরো দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ "বৃহস্পতিবার গাজীপুরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা"। valuka.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-২৪।
- ↑ "ক্রীড়া ব্যক্তিত্বদের নামে স্টেডিয়াম"। banglanews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-২৪।
- ↑ "বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নামে স্টেডিয়াম"। দৈনিক সংগ্রাম। ২০২০-০৮-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-২৪।
- ↑ ক খ "প্রয়াত ফুটবলার মারীর নামে রাঙ্গামাটি স্টেডিয়াম"। bangla.bdnews24.com। ২০১৯-০৬-২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-২৪।
- ↑ ক খ "গাজীপুরে স্টেডিয়াম উন্নয়নে শম্বুকগতি"। archive1.ittefaq.com.bd। ২০১৯-০৬-২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-২৪।
- ↑ "টঙ্গীতে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার স্মৃতি ফুটবল"। www.bhorerkagoj.com। ২০১৯-০৭-২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-২৩।
- ↑ ক খ "National archery begins today"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-১২-১৮। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-২৪।
- ↑ ক খ "3rd ISSF Archery kicks off Feb 23"। theindependentbd.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-২৪।
- ↑ ক খ "World Ranking Archery gets underway"। Dhaka Tribune। ২০১৯-০২-২৩। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-২৪।
- ↑ "Stiff competition for selection"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-০১-০৪। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-২৪।
- ↑ "Archery camp starts today"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-১১-০৫। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-২৪।
- ↑ ক খ "মাননীয় প্রধান মন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি/ নির্দেশনা বাস্তবায়ন অগ্রগতি" (পিডিএফ)। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ। ২১ মার্চ ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুন ২০১৯।
- ↑ "মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী"। banglanews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-২৪।
- ↑ "ভিত্তিপ্রস্তর আর উদ্বোধনের হিড়িক"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-২৪।
- ↑ MD Ove Ove (২০১৭-০৩-১২)। "Gazipur,Tongi Stadium , Bangladesh"।
- ↑ "শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়ামের অবকাঠামো উন্নয়নের নির্দেশ"। বাংলাদেশ টুডে। ২০২০-০৭-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-২৪।
- ↑ "জাতীয় আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু সোমবার"। বাংলা টিবিউন। ২০১৯-০৬-২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-২৪।
- ↑ newsbangladesh.com। "জাতীয় আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু ২৫ জুলাই"। newsbangladesh.com। ২০২০-০৬-৩০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-২৫।
- ↑ "নবম আর্চারি প্রতিযোগিতা শুরু"। আরটিভি অনলাইন। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-২৪।
- ↑ "জাতীয় আর্চারি আজ থেকে"। কালের কণ্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-২৪।
- ↑ "দ্বিতীয় জাতীয় যুব আর্চারি প্রতিযোগিতা সোমবার শুরু"। Risingbd.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-২৪।
- ↑ "জাতীয় যুব আর্চারি শুরু সোমবার"। বাংলা টিবিউন। ২০১৯-০৬-২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-২৪।
- ↑ khn01 (২০১৮-১১-১৯)। "আর্চারি প্রতিযোগিতা শুরু"। ক্রীড়ালোক। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-২৪।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "শুরু হচ্ছে দশম জাতীয় আর্চারি প্রতিযোগিতা"। somoynews.tv। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-২৪।
- ↑ "দুই আসরের চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ এবার রানার্সআপ"। sonalinews.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-২৪।
- ↑ "সলিডারিটি আরচ্যারি শুরু শনিবার"। DailyInqilabOnline। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-৩০।
- ↑ "গাজীপুরে বাংলাদেশ আর্চারি কাপ শুরু"। Ekushey TV। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৯-২২।
- ↑ "মাঠসংকটে পাইওনিয়ার লিগ"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-২৫।
- ↑ "প্রিমিয়ার লিগের ভেন্যু জটিলতা"। দৈনিক সমকাল। ২০২১-০১-০৬। ২০২১-০১-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০১-০৬।
- ↑ "হেলিকপ্টারে টঙ্গীতে বিদেশি বায়াররা"। www.hawkerbd.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-২৪।