টু অটম: ইংরেজি রোম্যান্টিক কবি জন কিটসের রচিত (অক্টোবর ১৭৯৫ - ২৩ ফেব্রুয়ারি ১৮২১) একটি কবিতা। কবিতাটি ১৯১৯ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর রচিত হয়েছিল এবং কিটসের কাব্যগ্রন্থের একটি খণ্ডে ১৮২০ সালে প্রকাশিত হয়েছিল যার মধ্যে "লামিয়া " এবং "দ্য ইভ অব সেন্ট অ্যাগ্নেস "অন্তর্ভুক্ত ছিল। "কিটসের ১৮১৯ এর কবিতা" নামে পরিচিত একগুচ্ছ কবিতার শেষ রচনা "টু অটম"।

নিচে কম্বল ও লাল পাতার সাথে গাছের অঙ্কন এবং দূরত্বে পাহাড়।

যদিও ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে ১৮১৯ সালে কবি কবিতার জন্যে অতি অল্প সময় ব্যয় করতে পেরেছিলেন, শরতের এক সন্ধে বেলায় উইনচেস্টার এর কাছে বেড়ানোর পরে তিনি "টু অটম" রচনা করেছিলেন। এটি ছিল তাঁর কবিজীবনের শেষ রচনা, কারণ তার অর্থ উপার্জনের প্রয়োজন ছিল এবং কবিসুলভ জীবনযাত্রায় তিনি নিজেকে আর নিয়োজিত করতে পারেননি। "টু অটম" প্রকাশের অল্পাধিক এক বছর পরে কিটস রোম এ মারা যান।

"টু অটম" কবিতায় তিনটি এগারো লাইনের স্তবক রয়েছে, যা ঋতুর ক্রমাগ্রতি, ফসলের দেরিতে পরিপুষ্টতা থেকে ফসল কাটা, এবং আসন্ন শীতকালের আগে শরতের শেষ দিনগুলোর বর্ণনা দেয়। শরৎ ঋতুর ওপর ব্যক্তিত্ব আরোপে এবং এ ঋতুর অনুগ্রহ, দৃশ্য ও শব্দরাশির বর্ণনায় এক চমৎকার চিত্রকল্প ফুটে উঠেছে। কবির মতে এগুলো ইংরেজ ল্যান্ডস্কেপ শিল্পীদের কাজের সমতুল্য। নাড়াভর্তি ক্ষেতের ওপর দিয়ে হাঁটার সময় ক্ষেতগুলো তাঁকে এমন কিছু ছবি দেখার মুগ্ধতা দিয়েছে বলে কবি বর্ণনা করেছেন। [১]

কবিতাটির মর্মবস্তুকে মৃত্যুভাবনা হিসেবে, শৈল্পিক সৃষ্টির রূপক হিসেবে, একই বছরে সংঘটিত পিটারলু গণহত্যা'র প্রতি কিটসের প্রতিক্রিয়া হিসেবে এবং জাতীয়তাবাদী অনুভূতির প্রকাশ হিসাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। "টু অটম" সর্বাধিক সংকলিত ইংরেজি লিরিক কবিতাসমূহের মধ্যে অন্যতম। সমালোচকরা এ কবিতাকে ইংরেজি সাহিত্যের অন্যতম নিখুঁত সংক্ষিপ্ত কবিতা হিসাবে অভিহিত করেছেন।

পটভূমি সম্পাদনা

১৮১৯ এর বসন্তকালে কিটস তাঁর ওড শ্রেণির প্রধান কবিতাগুলো লিখেছিলেন: "ওড অন আ গ্রিশ্যন আর্ন", "ওড অন ইনডলান্স", "ওড অন মেলাংকলি", "ওড টু এ নাইটিংগেল ", এবং" ওড টু সাইকি "। মে মাসের পরে তিনি অন্যান্য ধরনের কবিতা লিখতে শুরু করেন। এদের মধ্যে রয়েছে বন্ধু ও রুমমেট চার্লস ব্রাউনের সহযোগিতায় লেখা বিয়োগান্ত শ্লোক "ওথো দ্য গ্রেট" এবং 'লামিয়া 'র দ্বিতীয়ার্ধ। এ সময়ে তিনি অসম্পূর্ণ মহাকাব্য হাইপেরিয়ন -এ আবার হাত দেন। বসন্ত থেকে শরৎকাল পর্যন্ত তাঁর প্রচেষ্টা পুরোপুরি কবিতা রচনায় নিবেদিত ছিল, একবার দীর্ঘ কবিতা লেখেন তো পরের বার ছোট কবিতা। লক্ষ্য স্থির করেন যে, প্রতিদিন পঞ্চাশেরও বেশি কবিতার লাইন রচনা করবেন। অবসর সময়ে তিনি রবার্ট বার্টন -এর 'দি অ্যানাটমি অব ম্যালাংকলি' , টমাস চ্যাটারটন 'এর কবিতা এবং লে হান্ট এর প্রবন্ধ পড়েন। <[২]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. বেট 1963 পৃষ্ঠা। 580
  2. গিটিংস 1968 পিপি। 269 ​​& ndash; 270