শফিক-উর-রহমান

বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ এবং বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড এর সাবেক ডিরেক্টর জেনারেল

শফিক-উর-রহমান একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ। তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সদস্য ও বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড এর সাবেক ডিরেক্টর জেনারেল ছিলেন।[১][২][৩]

শফিক-উর-রহমান
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্মশফিক-উর-রহমান
নাগরিকত্ববাংলাদেশ
জাতীয়তাবাংলাদেশী
রাজনৈতিক দলবাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল
পেশাসাবেক ডিরেক্টর জেনারেল, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড
ধর্মইসলাম
ডাকনামশফিক

কর্মজীবন  সম্পাদনা

শফিক-উর-রহমান ১৯৯৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ১৯৯৮ সালের আগস্ট মাস পর্যন্ত বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড এর ডিরেক্টর জেনারেল পদে ছিলেন। তিনি নৌবাহিনীর কমোডর হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। এছাড়া তিনি এশিয়ান গ্রুপের পরিচালক এবং প্রহরী সিকিউরিটি সার্ভিস লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক।[৪][৫]

রাজনৈতিক জীবন সম্পাদনা

শফিক-উর-রহমান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নির্বাহী কমিটির একজন সদস্য।[৬]

দূর্নীতি মামলা সম্পাদনা

শফিক-উর-রহমান বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড এর ডিরেক্টর জেনারেল পদে থাকাকালীন সময়ে কোস্ট গার্ডের ১১ হাজার ১০০ মেট্রিক টন গম দুর্নীতির মাধ‌্যমে বিক্রি করে প্রায় সাড়ে সাত কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠে। ১৯৯৮ সালে শফিক-উর-রহমানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে ক্যান্টনমেন্ট থানায় এই মামলা করে তখনকার দুর্নীতি দমন ব্যুরো।[৭] আসামীরা হলেন তৎকালীন কমোডর বিএন এম এম রহমান, লেফটেন্যান্ট কমান্ডার বি এন রাশেদ তানভীর, লেফটেন্যান্ট বিএন এম এস উদ্দিন ও সাব-লেফটেন্যান্ট আশরাফুর হক। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তিনি দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায় গ্রেফতার হন।[৮] মামলা দায়ের হওয়ার ১৮ বছর পর শফিক-উর-রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। যদিও মামলা দায়েরের পরপরই এই বিষয়ে তিনি উচ্চ আদালতে রিট করেন। এরপর রিটের নিষ্পত্তি হওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে বিচারিক আদালত।[৯] অভিযোগপত্রে বলা হয়, গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার কর্মসূচির আওতায় চট্টগ্রাম, মোংলা ও পটুয়াখালী অঞ্চলের বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন সময়ে দুর্যোগ ব্যবস্থপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে কোস্টগার্ডের অনুকূলে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিলো। শফিক-উর-রহমান এই গম ৫ টাকা কেজি হিসেবে ৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকায় বিক্রি করেন। অথচ ১৯৯৭-৯৮ অর্থবছর হিসেবে গমের বাজারমূল্য ছিল প্রতি কেজি ১১ টাকা ৬৪ পয়সা।[১০]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Independent, The। "ACC arrests former DG of Coast Guard"theindependentbd.com। The Independent। ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জানুয়ারি ২০১৭ 
  2. "Ex-Coast Guard DG lands in jail on graft charge"observerbd.com। ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জানুয়ারি ২০১৭ 
  3. Team, Samakal Online। "কোস্ট গার্ডের সাবেক মহাপরিচালক গ্রেফতার"সমকাল (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০২-০২ 
  4. "Former coast guard DG Shafiq-ur-Rahman arrested on graft charges"bdnews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জানুয়ারি ২০১৭ 
  5. "ACC arrests ex-DG of Coast Guard"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জানুয়ারি ২০১৭ 
  6. "Ex-Coast Guard DG Shafiq, army corporal arrested"New Age। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৬। ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জানুয়ারি ২০১৭ 
  7. "কোস্ট গার্ডের সাবেক মহাপরিচালক শফিক-উর-রহমান গ্রেপ্তার - bdnews24.com"। ২০১৬-১০-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০২-০২  line feed character in |শিরোনাম= at position 57 (সাহায্য)
  8. "Ex-Coast Guard DG arrested on graft charge"Prothom Alo। ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জানুয়ারি ২০১৭ 
  9. "কোস্ট গার্ডের প্রাক্তন মহাপরিচালক কারাগারে" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০২-০২ 
  10. "কোস্টগার্ডের সাবেক মহাপরিচালক কারাগারে"comillarkagoj.com (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৬-১১-০১। ২০১৮-০২-০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০২-০২