শঙ্খচিল
শঙ্খ চিল (ইংরেজি: Brahminy Kite) বাংলাদেশে একটি অতি পরিচিত পাখি। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত উপমহাদেশে সর্বত্র, অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়ায় পাখিটি সুপরিচিত। এর বৈজ্ঞানিক নাম- Haliastur indus। এটি চিল (Accipitridae) পরিবারের অন্তর্ভুক্ত একটি পাখি।
শঙ্খ চিল Brahminy kite | |
---|---|
পটুয়াখালীতে শঙ্খ চিল | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | প্রাণীজগৎ |
পর্ব: | কর্ডাটা |
শ্রেণী: | পক্ষী |
বর্গ: | Falconiformes (or Accipitriformes, q.v.) |
পরিবার: | Accipitridae |
গণ: | Haliastur |
প্রজাতি: | H. indus |
দ্বিপদী নাম | |
Haliastur indus বোডায়ের্ট, ১৭৮৩ |
বর্ণনা
সম্পাদনাশঙ্খ চিল অ্যাক্সিপিট্রিডি পরিবারের সদস্য। দৈর্ঘ্য ৭৬-৮৪ সে.মি.। নদী-নালা, জলাশয়ের আশেপাশে এদের দেখা যায় বেশি। শঙ্খের মত সাদা এদের মাথা, ঘাড়, বুক, পেটের তলা'র পালক যার উপর মরচে ধরা খাড়া ছোট রেখা থাকে এবং কেবল প্রাথমিক পালক কালো; ঠোঁট ছোট, লেজ সবসময় গোলাকার ডগাযুক্ত; ডানায় থাকে লাল, সর-রং, বাদামি এবং কালো আর দেহের নিচের দিক বহু রেখা সংবলিত; সবসময় লেজ ও ডানা একই দৈর্ঘ্যের। তাই বুঝি এদের নাম হয়েছে শঙ্খচিল! কিন্তু ডানা দু'টি ও শরীরের অন্যান্য অংশ খয়েরী। শঙ্খচিলের গড় দৈর্ঘ্য ৪৮ সে.মি.।[২]
খাদ্য
সম্পাদনাএঁরা জীবিত বা মাছ এবং জলজ প্রাণী খেয়ে জীবন ধারণ করে। ছোট সাপ, হাঁস মুরগীর বাচ্চা এদের প্রিয় খাদ্য।[৩]
প্রজনন
সম্পাদনাডিসেম্বর-এপ্রিল হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার শঙ্খ চিলেদের প্রজনন ঋতু। দক্ষিণপূর্ব অস্ট্রেলিয়াতে অগাস্ট-অক্টোবর ও পশ্চিম অস্ট্রেলিয়াতে এপ্রিল-জুন। এঁরা উঁচু স্থানে বাসা বাঁধে, যা মূলত ছোট ছোট ডাল ও শুঁকনো পাতা দিয়ে তৈরি হয়। একই বাসা এঁরা বছরের পর বছর ধরে ব্যবহার করে। শঙ্খ চিল দুটো করে ডিম দেয়। মা বাবা দুজনে মিলে বাচ্চা বড়ো করে যদিও ডিমে তা দেয় শুধু স্ত্রী পাখিটি। ২৬-২৯ দিনে ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়।[২]
বৈশিষ্ট্য
সম্পাদনাগ্রামে এরা জোড়ায় জোড়ায় থাকে; বড়ো বড়ো জলাশয়ের পাশে এবং সুন্দরবনে বড়ো বড়ো ঝাঁকে বাস করে। সুযোগ পেলে জেলে নৌকা বা ট্রলার অনুসরণ করে। ডানা মেলে শূন্যে ভেসে থাকে। ।[৪]
সংস্কৃতিতে
সম্পাদনাকবি জীবনানন্দ দাশের ”আবার আসিব ফিরে” সনেটটিতে শঙ্খ চিলের উল্লেখ এই চিলকে অমর করে ফেলেছে
“ | "আবার আসিব ফিরে ধানসিঁড়িটির তীরে—এই বাংলায় হয়তো মানুষ নয়,—হয়তো বা শঙ্খচিল শালিখের বেশে... |
” |
অন্যান্য উৎস
সম্পাদনা- Jayabalan,JA (1995) Breeding ecology of Brahminy Kite Haliastur indus in Cauvery Delta, south India. Ph.D. Dissertation, Bharathidasan University. Mannampandal, Tamil Nadu.
- Raghunathan,K (1985) Miscellaneous notes: a peculiar feeding habit of Brahminy Kite. Blackbuck. 1(3), 26-28.
- Jayakumar,S (1987) Feeding ecology of wintering Brahminy Kite (Haliastur indus) near Point Calimere Wildlife Sanctuary. M.Sc. Thesis, Bharathidasan University, Tiruchirapalli.
- Hicks, R. K. 1992. Brahminy Kite Haliastur indus fishing? Muruk 5:143-144.
- van Balen, B. S., and W. M. Rombang. 2001. Nocturnal feeding by Brahminy Kites. Australian Bird Watcher 18:126.
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ BirdLife International (2009). Haliastur indus. 2008 IUCN Red List of Threatened Species. IUCN 2008. Retrieved on 29 May 2010.
- ↑ ক খ en.wikipedia.org
- ↑ www.flickr.com
- ↑ "www.iucnredlist.org/apps/redlist/details"। ৭ ডিসেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ এপ্রিল ২০১২।
গ্রন্থ সূত্র
সম্পাদনা- Hadden, Don (২০০৪)। Birds and Bird Lore of Bougainville and the North Solomons। Alderley, Qld: Dove Publications। আইএসবিএন 0-9590257-5-8।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- Video of re-introduction of Brahminy Kites in their natural habitat in Indonesia from BBC Sci-Tech[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- BirdLife Species Factsheet ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৯ সেপ্টেম্বর ২০০৭ তারিখে