শক্তি বর্মণ

ভারতীয় চিত্রশিল্পী এবং ভাস্কর

শক্তি বর্মণ (ইংরেজি: Sakti Burman) একজন প্যারিসে, ফ্রান্সে অবস্থিত একজন ভারতীয় বাঙালি চিত্রশিল্পী এবং ভাস্করভারত ও বিদেশে উভয়ই শিল্প প্রেমীদের তার কাজ সম্পর্কে পরিচিত করাতে পেরেছেন। ছয় দশকেরও বেশি ধরে তিনি প্যারিসে তার পরিবারের সাথে বসবাস করছেন। বিদেশে যখন চিত্রশিল্পী হিসাবে তার জীবন গভীর শিকড় অঙ্কিত হয়েছে,তবুও,তিনি নিজের দেশের সাথে যোগাযোগ হারিয়ে ফেলেননি, কলকাতা, মুম্বাই, দিল্লিতে তার কাজ প্রদর্শনের জন্য প্রায়ই ভারতে আসেন।

শক্তি বর্মণ
জন্ম১৯৩৫
জাতীয়তাভারতীয়
পেশাচিত্রশিল্পী, ভাস্কর
দাম্পত্য সঙ্গীম্যাইট ডেলটেইলকে (ইংরেজি: Maite Delteil) []
সন্তানমায়া বর্মণ []
পিতা-মাতা
  • আদিনাথ বর্মণ (পিতা)
  • উমাতারা (মাতা)

শৈশবের দিনগুলো কেটেছে বাংলাদেশে (স্বাধীনতা-পূর্বে ভারতর অংশ ছিল)। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিদ্যাকুট গ্রামে। ঠাকুরদা ছিলেন তালুকদার। কিন্তু বাবা-কাকারা ব্যবসাসূত্রে কলকাতাবাসী ছিলেন। মা উমাতারা বর্মণ আর বাবা আদিনাথ বর্মণ কলকাতার বাড়িতে থাকতেন। তার প্রথম জন্মদিন পালন করতে মা তাকে নিয়ে বিদ্যাকুট গ্রামে আসেন আর সেখানেই তিনি বেড়ে ওঠেন। গ্রামের সৌন্দর্য এবং রঙিন সামাজিক ও ধর্মীয় উৎসবের সৌন্দর্য তাকে আকৃষ্ট করে এবং তার সংবেদনশীল মনে একটি গভীর ছাপ রেখে যায়। সেই সময়ে,সম্ভবত,যখন তার মধ্যে শিল্পী জন্মগ্রহণ করেন - ফুল,গাছ,পাখি এবং প্রাণী; খোলা জলাশয় এবং নৌকা,বংশীবাদক এবং ঢাকির ছেলেদের দল-তার চিত্রকলার নির্যাস। এসবই পরে শিল্পীর সৃষ্টিতে ভিড় করেছে নানা চিত্রকল্পে। আট বছর বয়েস পর্যন্ত বিদ্যাকুট গ্রামে ছিলেন তারপর কলকাতায় চলে আসেন। তিনি কলকাতার গভর্নমেন্ট কলেজ অফ আর্টস অ্যান্ড ক্রাফটসে এবং পরবর্তী কালে প্যারিসে ইক্লোল ন্যেশনাল দেস বিওস আর্টসে অধ্যয়ন করেন।১৯৫৬ সাল, মাত্র ২১ বছর বয়সে কলকাতা আর্ট কলেজের পড়া শেষ করে, শিল্পী হবার বাসনা নিয়ে জাহাজে পারি দেন প্যারিসের পথে সঙ্গে ফরাসি সরকারের বৃত্তি।[]

পরিবার

সম্পাদনা

শক্তি বর্মণ বিবাহ করেন ফরাসি চিত্রশিল্পী ম্যাইট ডেলটেইলকে (ইংরেজি: Maite Delteil)[]। তার প্রসারিত পরিবারে অনেক বিখ্যাত শিল্পী রয়েছেন: তার মেয়ে চিত্রশিল্পী মায়া বর্মণ,[] ফ্রান্সে বসবাস ও কাজ করেন,বিভিন্ন পুরস্কারও জিতেছেন; এবং তার ভাইঝি, জয়শ্রী বর্মণ তার দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন এবং একজন উল্লেখযোগ্য শিল্পী; তার ভাইঝি জামাই,পরেশ মাইতি তিনি ভারতে এবং অন্য দেশে তার শিল্পের প্রদর্শনী করেছেন এবং বিভিন্ন পুরস্কারও জিতেছেন।

কর্মজীবন

সম্পাদনা

প্যারিসে ছাত্র থাকাকালীন তিনি সেখানে তার প্রথম প্রদর্শনী করেন। ১৯৫৪ সালে কলকাতায় তার প্রথম একক প্রদর্শনী হয়, এবং এরপর থেকে বিশ্বব্যাপী প্রদর্শিত হয় তার শিল্পকলার, যার মধ্যে রয়েছে প্যারিসের গ্যালারি ডেস বিউকস আর্টসের (ইংরেজি: Galerie des Beaux-Arts, Paris) মতো স্থান; পিকাদিলি গ্যালারী, লন্ডন(ইংরেজি: Piccadilly Gallery, London); গ্যালারিয়া ডউকেট এট কুতুরেও, প্যারিস(ইংরেজি: Galerie Doucet et Coutureau, Paris); গ্যালারিয়া নুভো সাগিটারিও, মিলান(ইংরেজি: Galleria Nuovo Sagittario, Milan); এবং গ্যালারিয়া সাগর,জুরিখ(ইংরেজি: Galerie Sagar, Zurich)।ইউরোপ ও আমেরিকা ছাড়াও তিনি জাপানেও প্রদর্শনী করেছেন।[]

বর্তমানে শক্তি বর্মণ প্যারিস,ফ্রান্সে বসবাস এবং কাজ করেন।[]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. Zaira Arslan (14 January 2013) "Happiness in Art", The Indian Express. Retrieved 2013-09-24.
  2. "Sakti Burman's world, The Hindu (magazine), Jun 22, 2003"। ২৬ আগস্ট ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মার্চ ২০১৮ 
  3. "Sakti Burman Profile,Interview and Artworks"[১]. Retrieved 2018-03-28.