লিবিডো (/lɪˈbd/; সমার্থক: যৌন তাড়না, যৌন প্রবৃত্তি, যৌন প্রবণতা) হল কোন ব্যক্তির সার্বিক যৌন প্রবৃত্তি বা যৌনকামনা। যৌন প্রবৃত্তি জৈবিক, মানসিক ও সামাজিক বিষয় কর্তৃক প্রভাবিত হয়। জৈবিকভাবে, যৌন হরমোনসমূহ ও সহযোগী নিউরোট্রান্সমিটারসমূহ যেগুলো নিউক্লিয়াস এ্যাকিউম্বেন্সের উপর ক্রিয়া করে (প্রাথমিকভাবে টেস্টোস্টেরনডোপামিন, যথাক্রমে), এগুলো মানবদেহে যৌন প্রবৃত্তি নিয়ন্ত্রণ করে।[১] কাজ ও পরিবারের মত সামাজিক বিষয়, এবং ব্যক্তিত্ব ও মনোদৈহিক চাপের মত আভ্যন্তরীন মনস্তাত্ত্বিক উপাদান বা বিষয়গুলোও যৌন প্রবৃত্তিকে প্রভাবিত করতে পারে। পাশাপাশি শারীরিক অবস্থা, ওষুধপত্র, জীবনযাপন-প্রণালী, সম্পর্কের বিষয়াবলি ও বয়স (যেমন বয়ঃসন্ধি) দ্বারাও যৌন প্রবৃত্তি প্রভাবিত হতে পারে। কোন ব্যক্তির যদি চরমভাবে বারংবার বা হঠাৎ করে যৌন তাড়না বৃদ্ধি পাওয়ার প্রবণতা থাকে তবে তার হাইপারসেক্সুয়ালিটি হয়েছে বলে মনে করা যেতে পারে, আর এর বিপরীত অবস্থাকে বলা হয় হাইপোসেক্সুয়ালিটি

কোন ব্যক্তির হয়তো যৌন আকাঙ্ক্ষা আছে কিন্তু সেই আকাঙ্ক্ষা পূরণের কোন সুযোগ নেই, অথবা ব্যক্তিগত, নৈতিক বা ধর্মীয় কারণে সে উক্ত চাহিদা অনুযায়ী আচরণ করা থেকে বিরত থাকে। মনস্তাত্ত্বিকভাবে, কোন ব্যক্তির চাহিদাকে অবদমন বা সসম্মানে গ্রহণ করা হতে পারে। অপর দিকে, কোন প্রকৃত বাসনা ছাড়াও কোন একজন ব্যক্তি যৌনাচরণে অংশ নিতে পারে। বিভিন্ন উপাদান মানব যৌন প্রবৃত্তিকে প্রভাবিত করতে পারে, যেমন শারীরিক ও মানসিক চাপ, অসুস্থতা, গর্ভধারণ এবং অন্যান্য।[২] ২০০১ সালের ১৫০টি পর্যবেক্ষণের উপর করা একটি উচ্চতর গবেষণার গড় ফলাফলে পাওয়া যায় যে, নারীদের তুলনায় পুরুষদের যৌন আকাঙ্ক্ষা বেশি।[৩]

মানব সমাজে অন্তরঙ্গ সম্পর্ক তৈরিতে ও তা বজায় রাখতে যৌন আকাঙ্ক্ষাসমূহ প্রায়শই একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে কাজ করে। যৌন আকাঙ্ক্ষার অভাব বা শূন্যতা উক্ত সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। কোন যৌন সম্পর্কে যে কোন সঙ্গীর যৌন আকাঙ্ক্ষার পরিবর্তন যদি বহাল থাকে বা সমাধান না করা হয়, তবে তা সম্পর্কে সমস্যা তৈরি করতে পারে। কোন সঙ্গীর অবিশ্বস্ততা এই ইঙ্গিতের আভাস বহন করতে পারে যে, কোন সঙ্গীর পরিবর্তনশীল/পরিবর্তিত যৌন আকাঙ্ক্ষাবর্তমান সম্পর্কের মাধ্যমে আর তৃপ্ত হতে পারবে না। সঙ্গীদের মধ্যে যৌনআকাঙ্ক্ষার অসমতা বা যৌন আকাঙ্ক্ষাসম্পন্ন ও যৌনতাপ্রিয় সঙ্গীদের মাঝে নগন্য যোগাযোগের ফলে সমস্যার উত্থান হতে পারে।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Fisher, Helen E; Aron, Arthur; Brown, Lucy L (২০০৬-১২-২৯)। "Romantic love: a mammalian brain system for mate choice"Philosophical Transactions of the Royal Society B: Biological Sciences (ইংরেজি ভাষায়)। 361 (1476): 2173–2186। আইএসএসএন 0962-8436ডিওআই:10.1098/rstb.2006.1938পিএমআইডি 17118931পিএমসি 1764845  
  2. "Top 10 reasons for low libido"। ১৭ অক্টোবর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মার্চ ২০১২ 
  3. Roy F. Baumeister, Kathleen R. Catanese, and Kathleen D. Vohs। "Is There a Gender Difference in Strength of Sex Drive? Theoretical Views, Conceptual Distinctions, and a Review of Relevant Evidence" (পিডিএফ)Department of Psychology Case Western Reserve University। Lawrence Erlbaum Associates, Inc.। All the evidence we have reviewed points toward the conclusion that men desire sex more than women. Although some of the findings were more methodologically rigorous than others, the unanimous convergence across all measures and findings increases confidence. We did not find a single study, on any of nearly a dozen different measures, that found women had a stronger sex drive than men. We think that the combined quantity, quality, diversity, and convergence of the evidence render the conclusion indisputable 

আরও পড়ুন সম্পাদনা