লিঙ্গমূর্তি

পুরুষ যৌনাঙ্গ সদৃশ বস্তু

লিঙ্গমূর্তি হচ্ছে মানুষের উত্থিত শিশ্নের প্রতীক হিসাবে নির্মিত কোনো চিত্র বা ভাষ্কর্য। পৃথিবীতে এরকম অনেক শিল্পকর্ম রয়েছে যেগুলিতে পুরুষের উত্থিত শিশ্নকে সরাসরি ও প্রধান করে দেখানো হয়েছে। আবার অনেক শিল্পকর্মে পুরুষের উত্থিত শিশ্ন পরোক্ষে প্রতিফলিত। শিল্পকর্মে শিশ্নের এহেন কেন্দ্রিকতা শিল্পীর সচেতন পরিকল্পনা থেকে উদ্ভূত হতে পারে; আবার শিল্পীর অবচেতনের প্রকাশও হতে পারে। এ ধরনের শিল্পকর্ম পুরুষের শক্তি, দাঢ্য ও সক্ষমতার প্রতি ইঙ্গিত করে। পাশ্চাত্যে এধরনের চিত্র, ভাষ্কর্ক ও স্থাপনাকে একত্রে “ফ্যালিক আর্ট” (ইং: Phallic art) বলে উল্লেখ করা হয়। পৃথিবীতে ফ্যালিক স্থাপত্য নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে।

মারকারির বৈশিষ্ট্যযুক্ত প্রিয়াপাসের ম্যুরাল, পম্পেই নগরীতে পাওয়া ফ্রেস্কো

ব্যাকরণ সম্পাদনা

 
পম্পেই এর টিনটিন্নাবুলামে ফ্যালাস দেখা যাচ্ছে

ইংরেজি ফ্যালাস শব্দটি লাতিন থেকে ধার করা যা এসেছে গ্রিক শব্দ φαλλός থেকে যা প্রত্ন-ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষার শব্দমূল *bʰel- (ফোলা) থেকে এসেছে। প্রাচীন নর্স (আধুনিক আইসল্যান্ডীয়) বলি বুল বা ষাঁড়, ইংরেজি বলক (বলদ), গ্রিক φαλλή (তিমি) এর সংগে তুলনা করা যায়।

প্রত্নতত্ত্ব সম্পাদনা

হোহলে ফ্যালাস হচ্ছে সব থেকে প্রাচীন জানা ফ্যালিক স্থাপত্য যা ২০০৫ সালে প্রথম একত্রিত করা হয়। হোহলে ফেলস গুহায় আবিষ্কৃত এই লিংগপ্রতিকৃতি ২৮০০০ বছরের পুরাতন।[১]

ধর্ম সম্পাদনা

পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শন সম্পাদনা

প্রথাগত গ্রিক পুরাণ অনুযায়ী সীমানা ও বিনিময়ের দেবতা হার্মিসকে (ঈশ্বরের বার্তাবাহক নামেই অধিক পরিচিত)ফ্যালিক দেবতা ভাবা হয় কারণ তার প্রতিরূপ হচ্ছে ফ্যালাস আকৃতির একটি স্তম্ভ। এই বর্ণনার পেছনে কোন পাণ্ডিত্যপূর্ণ ঐক্যমত্য নেই। হার্মিসকে উর্বরতার দেবতা ভাবা হয়। হার্মিসের পুত্র প্যানকে প্রকাশ করার সময় সর্বদা অতিরঞ্জিত উত্থিত ফ্যালাস চিত্রিত করা হয়।

গ্রীক উর্বরতার দেবতা প্রিয়াপাস এর প্রতীক হচ্ছে বিশালাকারের ফ্যালাস। আদি পুরাণের বিভিন্ন বর্ণনা অনুসারে আফ্রোদিতি এবং ডায়োনিসাস অথবা এডোনিসের পুত্র। তিনি গবাদিপশু, ফল, গাছপালা, বাগান এবং পুরুষ যৌনাঙ্গের রক্ষাকর্তা। তার নাম থেকেই মেডিকেল টার্ম প্রিয়াপিজমের আবির্ভাব হয়েছে।

গ্রীসের টায়ারন্যাভোস শহরে বাৎসরিক ফ্যালাস উৎসবের আয়োজন করা হয়। এটি একটি প্রথাগত ফেলোফোরিক অনুষ্ঠান যা লেন্টের প্রথম দিনে অনুষ্ঠিত হয়।

ফ্যালাস রোমান সংস্কৃতির একটি সর্বব্যাপী প্রাচীন বিষয়, বিশেষ করে ফ্যাসছিনাম রূপে যা একটি ফ্যালিক মন্ত্র। পম্পেইর ধ্বংসাবশেষ থেকে জানা যায় সেখানে ব্রঞ্জনির্মিত বায়ু ঘণ্টা তৈরী হতো (টিনটিন্নাবুলা) যা একটি ফ্যালাস। প্রিয়াপাসের ভাস্কর্যে সাধারণত বাগান পরিবেষ্টিত থাকে। রোমান বালকেরা প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া পর্যন্ত ফ্যালিক মন্ত্রপুত মাদুলি পরতো। হিপ্পোর অগাস্টিনের মতে পিতা লিবারের, যিনি নাগরিকদের রাজনীতি এবং যৌনজীবনে প্রবেশ নির্ধারণ করতেন, অর্চনায় ফ্যালাস যুক্ত ছিলো। ফ্যালিক দেবতা মুতুনাস তুতুনাস বৈবাহিক যৌনতাকে উৎসাহিত করেন। রোমান রাজ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উৎসর্গীকৃত বস্তু সমূহের মধ্যে পবিত্র ফ্যালাস হিসেবে ছিলো ভেস্টাল কুমারিকে রেখে দেওয়া। প্রাচীন রোমের যৌনতাকে অনেকসময় "ফেলোকেন্দ্রিক" হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

লিঙ্গ অথবা লিঙ্গমের ব্যাকরণ সম্পাদনা

ভাষাগত প্রমাণ ইঙ্গিত করে যে বৈদিক পরবর্তী হিন্দুরা প্রাক-বৈদিক অনার্যদের কাছ থেকে শুধুমাত্র লিঙ্গ ঐতিহ্য করেনি এমনকি এর অস্ট্রিক উৎসের নামটিও গ্রহণ করেছে।

— মহাদেব চক্রবর্তীঃ দ্যা কনসেপ্ট অভ রুদ্র-শিব থ্রু দ্যা এজেস (পৃষ্ঠা ১৩০)

"লিঙ্গ" শব্দটি অস্ট্রো-এশিয়াটিক জগতে সর্বব্যাপী ব্যবহৃত হলেও ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষায় ব্যবহার দেখা যায় না। চক্রবর্তী আরো বলেছেন যখন এই শব্দ দুটি সংস্কৃতে প্রবেশ করে তখন আরো একটি শব্দ "লিঙ্গুলা"র (লেজ) সংগে প্রবেশ করে যাদের মূল "ল্যাং বা লং"। যদি ফোনেটিক নৈকট্যতার উপর ভিত্তি করে এই তিনটি শব্দ লিঙ্গ ~ লিঙ্গালা ~ ল্যাঙ্গুলা'র পারষ্পরিক সম্পর্ক গ্রহণ করা হয় তবু এদের শব্দার্থিক বিবর্তন চেনা খুব কঠিন নয় - কারণ মানুষের সৃষ্টি ধারা অব্যহত রাখতে ফ্যালাস বা পুরুষ জনন তন্ত্রের ব্যবহার এবং পৃথিবীর উর্বরতা বাড়াতে ল্যাঙ্গুলার মত যন্ত্র/উপকরণ ব্যবহার করে তৃণভোজীদের জীবনকে সমর্থন করে একে অন্যের স্বতঃস্ফূর্ত প্রতীকী সমান্তরাল বয়ে আনে। বিভিন্ন সিন্ধু সভ্যতার সাইটে পাথরের লিঙ্গ পাওয়া গেছে যার দৈর্ঘ্য ক্ষুদ্র থেকে তিন ফুট পর্যন্ত। এরা স্টেটাইট, বেলেপাথর এবং পোড়ামাটির তৈরী। এদের কিছু কিছু খুবই প্রাকৃতিক। তাম্র যুগ থেকে ভারতে লিঙ্গ পূজা প্রচলিত এবং ধর্মভিত্তিক ঐন্দ্রজালিক শেষকৃত্যের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিলো।

প্রাচীন মিশর সম্পাদনা

প্রাচীন মিশরীয় ধর্মে ওসিরিসের অর্চনায় ফ্যালাস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সেত ওসিরিসের দেহকে কেটে ১৪ টুকরো করে সমগ্র মিশরে ছড়িয়ে দেন। ওসিরিসের স্ত্রী আইসিস শুধু একটি টুকরো বাদে বাকী সবগুলো টুকরো সংগ্রহ করতে সক্ষম হন। তার পুরুষাঙ্গটি মাছে খেয়ে ফেলায় আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। আইসিস কাঠের তৈরী একটি পুরুষাঙ্গ স্থাপন করেন।

ফ্যালাস হচ্ছে উর্বরতার প্রতীক এবং দেবতা মিন প্রায়শই ইথাইফ্যালিক হিসেবে উল্লেখিত হন যা হচ্ছে উত্থিত পুরুষাঙ্গযুক্ত।

 
ইথাফ্যালিক মানুষ বীনা হাতে, ৩য়-৪র্থ শতাব্দী, ব্রুকলিন মিউজিয়াম

ইন্দোনেশিয়া সম্পাদনা

ইন্দোনেশিয়ার জাতির মধ্যে ফ্যালিক লিঙ্গ এবং মেয়েলি যোনী সৌহার্দ্যের সাধারণ প্রতীক হিসেবে টিকে আছে। পশ্চিম জাভায় কাসেপুহানের সুলতান প্রাসাদের দেয়ালে বেশ কিছু লিঙ্গ-যোনী ভাস্কর্য আছে।

ইন্দোনেশীয় ক্রনিকল বাবাদ তানাহ জাবি অনুযায়ী রাজপুত্র পুগার ঈশ্বরের কাছ থেকে রাজকীয় ক্ষমতা অর্জন করেন। এজন্য তিনি মাতারামের মৃত সম্রাটের ফ্যালাম থেকে শুক্রানু গ্রহণ করেন।[২][৩]

ভুটান সম্পাদনা

ভূটানে আঁকা চিত্রকর্মে ফ্যালাস দেখা যায়।

প্রাচীন স্ক্যান্ডিনেভিয়া সম্পাদনা

 
হুসাভিক ফ্যালাসমিউজিয়াম (আইল্যান্ডের লিঙ্গ প্রতিকৃতি জাদুঘর), হুসাভিক
  • নর্স দেবতা ফ্রেয়ার একজন ফেলিক দেবতা যিনি পুরুষের উর্বরতা এবং প্রেমের প্রতিনিধি।
  • ছোট গল্প ভোলসা বাট্টর এ একটি নরওয়েজিয় পরিবারের কথা বর্ণনা করা হয়েছে যারা একটি সংরক্ষিত অশ্ব লিঙ্গের পূজা করতো।
  • কিছু পাথর চিত্র যেমন স্টোরা হ্যামারস এবং ট্যাংগেলগার্দা স্টোনস অনেকটা ফ্যালিক আকৃতির।

জাপান সম্পাদনা

ইয়ামাগুচির নাগাতো তে অবস্থিত মানা কান্নান মাজার (麻羅観音) হচ্ছে জাপানে টিকে থাকা উর্বরতা মাজার সমূহের মধ্যে অন্যতম। এছাড়া বিভিন্ন উৎসবেও উপস্থিত যেমন কিশিওয়াদার দানজিরি মাতসুরি (だんじり祭), ওসাকা প্রিফেকচার, কাওয়াসাকির কানামারা মাতসুরি এবং হোনেন মাতসুরি, আইচি প্রিফেকচার (愛知県 আইচি-কেন)।

বলকান সম্পাদনা

 
লিঙ্গ প্রতিকৃতি উপস্থাপনা, কুকুটেনি সংস্কৃতি, ৩০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ

কুকার হচ্ছে দেবত্ব আরোপিত উর্বরতার প্রতীক ব্যক্তি, বুলগেরিয়াসার্বিয়া কখনো কখনো একে বহুবচনবাচক দেবত্ব হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বুলগেরিয়ায় স্প্রিং অনুষ্ঠানে (কুকারিদের পালিত এক ধরনের কার্নিভাল) লোক যাত্রার আয়োজন করা হয় যেখানে একজন পুরুষ কুকার এর ভূমিকায় অভিনয় করেন। তিনি ভেড়া অথবা ছাগলের ছাল এবং শৃঙ্গযুক্ত মুখোশ পরেন এবং সংগে থাকে বৃহদাকৃতির কাঠের লিঙ্গপ্রতিকৃতি। অনুষ্ঠানের সময়ে বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় কাজ, যেমন যৌন কর্ম, করে ঈশ্বরের পবিত্র বিবাহের প্রতীক হিসেবে করা হয়, প্রতীকী স্ত্রী, গর্ভবতী, জন্মদানের সময়কার প্রসব বেদনা ইত্যাদি। এই অনুষ্ঠানে শ্রমিকদের মাঠে (হালচাষ, বীজ বপন) ইত্যাদি দেখায় এবং সম্রাট এবং তার পারিষদসহ বিভিন্ন রূপকধর্মী চরিত্রকে তুলে ধরে।

সুইজারল্যান্ড সম্পাদনা

 
পরটেইন, সুইজারল্যান্ড এর ভালুক যেখানে স্পষ্টভাবে লাল ফ্যালাসের উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে

সুইজারল্যান্ডের, হেরাল্ডিক ভালুকের প্রতিকৃতিতে লাল রঙের পুরুষাঙ্গ আঁকা হয়। ১৫৭৯ সালে সেন্ট গ্যালেনে আঁকা ক্যালেন্ডারে এপেঞ্জেলের ভালুকের পুরুষাঙ্গ মুছে ফেলা হয় যা দুই ক্যান্টনের মধ্যে প্রায় যুদ্ধ বাঁধিয়ে দেওয়ার উপক্রম করেছিলো।[৪][৫][৬]

আমেরিকা সম্পাদনা

প্রাক কলম্বিয় আমেরিকার কোকোপেল্লি এবং ইতজাম্না (যেমন মায়ানদের মেইজ দেবতা)এর মূর্তিতে প্রায়শই ফ্যালিক উপাদান সংযুক্ত থাকে। উপরন্তু, প্রান্তিক ক্লাসিকাল মায়া সভ্যতার সাইটগুলো থেকে চল্লিশের বেশি বড় আকারের একশিলা ভাস্কর্য (Xkeptunich) পাওয়া গেছে যার বেশিরভাগ পাছে গেছে ইয়ুক্যাটান এর পুউক অঞ্চলে (আমরেইন ২০০১)। উক্সমালে সব থেকে বেশি ১১ টি ভাস্কর্য পাওয়া গেছে যা বর্তমানে একটি নিরাপত্তা ছাদের নিচে সংরক্ষণ করা হয়েছে। সব থেকে বড় ভাস্কর্যটি পাওয়া গেছে আলমুচিলে যার আকার ৩২০ সেমি উচ্চতা এবং বেসের ব্যাস ৪৪ সেমি।

বিকল্প অংশগুলো সম্পাদনা

এলেইস্টার ক্রাউলি দ্বারা প্রতিষ্ঠিত এক্কলেসিয়া ক্যাথোলিকার কিছু চ্যাপ্টার নস্টিক মাসের সময়ে শুক্রানু পান করে থাকে।[৭]

সেন্ট প্রিয়াপাস গির্জা হচ্ছে উত্তর আমেরিকার একটি নতুন ধর্ম যার কেন্দ্রে রয়েছে ফ্যালাস পূজা। ১৯৮০ দশকে কুইবেকের মন্ট্রিয়েলে ডি. এফ. ক্যাসিডি এটা প্রতিষ্ঠা করেন। প্রধানত কানাডা এবং যুক্তরাষ্ট্রের সমকামী পুরুষেরা এর অনুসারী। বীর্যকে নিষ্ঠার সংগে পরিচর্যা করা হয় এবং অর্চনার অনুষঙ্গ হিসেবে পান করা হয়।[৮] বীর্যকে পবিত্র জ্ঞান করে তারা কারণ এর জীবন দানের ঐশ্বরিক ক্ষমতা রয়েছে।

মনোবিশ্লেষণ সম্পাদনা

ফ্যালাসের প্রতীকী সংস্করণের ক্ষেত্রে ফ্যালিক পুরুষের সৃজক ক্ষমতার প্রতিনিধিত্ব করে। সিগমুন্ড ফ্রয়েডের মনোবিশ্লেষণ তত্ত্বানুযায়ী পুরুষের অধিকারে একটি লিঙ্গ থাকলে অন্য কেউই ফ্যালিক অধিকার করতে পারবে না। Jacques Lacan এর Ecrits: A Selection includes an essay titled The Signification of the Phallus ফ্যালাসের থাকা না থাকার পার্থক্য করেছে। পুরুষকে পুরুষের স্থান দেওয়া হয় যখন তাদের মধ্যে ফ্যালাসের উপস্থিতি দেখা যায়। স্ত্রীলোকের ফ্যালাস নেই। প্রতীকী ফ্যালাস হচ্ছে পূর্ণাংগ পুরুষের ধারণা এবং এটা প্রাপ্তি ঐশ্বরিক উপহার হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

লিঙ্গ সমস্যার ক্ষেত্রে, জুডিথ বাটলার ফ্রয়েড এবং ল্যাকানের প্রতিকী ফ্যালাসের আলোচনা থেকে ফ্যালাস এবং লিংগের মধ্যকার সংযোগ আবিষ্কার করেছেন। তিনি লিখেছেন

The law requires conformity to its own notion of 'nature'. It gains its legitimacy through the binary and asymmetrical naturalization of bodies in which the phallus, though clearly not identical to the penis, deploys the penis as its naturalized instrument and sign.

তিনি লেসবিয়ান ফ্যালাস আলোচনায় ফ্যালাসের সম্ভাব্যতা নিয়ে আলোচনা করেছেন।

লিঙ্গ প্রতিকৃতির আধুনিক ব্যবহার সম্পাদনা

গর্ভনিরোধের সামগ্রীর পাশাপাশি পর্নোগ্রাফির বিজ্ঞাপণে প্রায়শই লিঙ্গ প্রতিকৃতির ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। এটা আদিরসমিশ্রিত কৌতুকে সচরাচর ব্যবহৃত হয় এবং প্রাপ্তবয়স্ক দর্শকদের কেন্দ্রীয় ফোকাসে থাকে।

২০ শতকে ফ্যালাস শিল্পের নতুন ব্যাখ্যা করে মনোবিজ্ঞানের আধুনিক মনোবিশ্লেষণের উদ্ভাবক সিগমুন্ড ফ্রয়েড আত্মপ্রকাশ করেন। এর একটি উদাহরণ হলো রোমানীয় আধুনিকতাবাদী ভাস্কর কন্সট্যানটিন ব্যাকুসির করা "প্রিন্সেস এক্স"। ১৯১৯ সালে সেলুনে তিনি একটি স্ক্যান্ডালের সৃষ্টি করেন যখন রাজকুমারী মেরি বোনাপার্তের ক্যারিকেচার অথবা প্রতিনিধি হিসেবে একটা ব্রোঞ্জ ফ্যালাস প্রদর্শন করেন। এই ফ্যালাসটি লিংগের প্রতি বোনাপার্তের মুগ্ধতা এবং অর্গাজম অর্জনের জন্য জীবনব্যাপী উদ্দেশ্যের প্রতীকী প্রকাশ ঘটায়।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Amos, Jonathan (২০০৫-০৭-২৫)। "Ancient phallus unearthed in cave"। BBC News। সংগ্রহের তারিখ ২০০৬-০৭-০৮ 
  2. Moertono, Soemarsaid (২০০৯)। State and Statecraft in Old Java: A Study of the Later Mataram Period, 16th to 19th Century। Equinoc Publishing। পৃষ্ঠা 68। আইএসবিএন 9786028397438 
  3. Darmaputera, Eka (১৯৮৮)। Pancasila and the search for identity and modernity in Indonesian society: a cultural and ethical analysis। BRILL। পৃষ্ঠা 108–9। আইএসবিএন 9789004084223 
  4. Neubecker, Ottfried (১৯৭৬)। Heraldry : sources, symbols, and meaning। New York: McGraw-Hill। পৃষ্ঠা 120আইএসবিএন 9780070463080 
  5. Strehler, Hermann (১৯৬৫)। "Das Churer Missale von 1589"। Gutenberg-Jahrbuch40: 186। 
  6. Grzimek, Bernhard (১৯৭২)। Grzimek’s Animal life encyclopedia12। New York: Van Nostrand Reinhold Co.। পৃষ্ঠা 119। 
  7. Gallagher, Eugene. Ashcraft, Michael. Introduction to New and Alternative Religions in America, Greenwood, 2006, আইএসবিএন ০-২৭৫-৯৮৭১২-৪, p.101
  8. J. Gordon Melton (1996, 5th ed.). Encyclopedia of American Religions (Detroit, Mich.: Gale) আইএসবিএন ০-৮১০৩-৭৭১৪-৪ p. 952.