লা গ্রান্দে বেললেৎজা

লা গ্রান্দে বেললেৎজা (মহান সৌন্দর্য) ২০০৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি ইতালীয় শিল্প চলচ্চিত্র। পাওলো সোররেন্তিনো ছবিটির পরিচালক ও সহ-চিত্রনাট্যকার। ২০১২ সালের ৯ আগস্ট রোমে ছবিটির দৃশ্য ধারণ শুরু হয়। এটি ২০১৩ সালের কান চলচ্চিত্র উৎসবে পাল্মে দর-এর প্রতিযোগী ছিল। [৩] ২০১৩ সালের টরন্টো চলচ্চিত্র উৎসব, তাল্লিন ব্ল্যাক নাইটস চলচ্চিত্র উৎসব এবং রিকজাভিক ইউরোপীয় চলচ্চিত্র উৎসবেও ছবিটি দেখানো হয়।

লা গ্রান্দে বেললেৎজা
Italian theatrical release poster
পরিচালকপাওলো সোররেন্তিনো
প্রযোজকনিকোলা গিউলিয়ানো
ফ্রান্সেস্কা চিমা
ফাবিও কোনভার্সি
চিত্রনাট্যকারপাওলো সোররেন্তিনো
উমবার্তো কোন্তারেল্লো
কাহিনিকারপাওলো সোররেন্তিনো
শ্রেষ্ঠাংশেতোনি সার্ভিল্লো
কার্লো ভার্দোনে
সাবরিনা ফেরিল্লি
কার্লো বুচ্চিরোসো
সুরকারলেলে মার্চিতেল্লি
চিত্রগ্রাহকলুকা বিগাজ্জি
সম্পাদকক্রিস্তিয়ানো ত্রাভাজিওলি
প্রযোজনা
কোম্পানি
ইন্ডিগো ফিল্ম
মেডুসা ফিল্ম
বেব ফিল্মস
পাথে
পরিবেশকমেডুসা ফিল্ম
মুক্তি
  • ২১ মে ২০১৩ (2013-05-21)[১]
স্থিতিকাল
  • ১৪২ মিনিট
  • ১৭৩ মিনিট (পরিচালকের কাট)
দেশইতালি
ফ্রান্স
ভাষাইতালীয়
জাপানি
স্পেনীয়
চীনা
নির্মাণব্যয়€৯,২০০,০০০
আয়$২৪,১৬৪,৪০০[২]

৮৬তম একাডেমি পুরস্কার অনুষ্ঠানে এটি সেরা চলচ্চিত্র বিভাগে অস্কার লাভ করে। [৪] একই বিভাগে এটি বাফটাগোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারও লাভ করে। ইতালীয় মেডুসা ও ইন্ডিগো ফিল্ম এবং ফ্রেঞ্চ বেব ফিল্মের প্রযোজনায় ছবিটি নির্মিত হয়। ৯.২ মিলিয়ন ইউরোর বাজেটে এটি ২৪ মিলিয়ন ডলার আয় করে।

কাহিনীসংক্ষেপ সম্পাদনা

লুই ফার্দিনান্দ সেলিনের "শেষ রাতের দিকে যাত্রা"-র একটি পঙ্‌ক্তি দিয়ে চলচ্চিত্রটি শুরু হয়।

ভ্রমণ অত্যন্ত উপযোগী। এটি আপনার কল্পনাশক্তিকে যথাযথভাবে কাজ করতে সাহায্য করবে। এছাড়া আর যা কিছুই আছে, সবই হতাশা ও সমস্যা। আমাদের ভ্রমণ সম্পূর্ণই কাল্পনিক, এবং এটাই এর শক্তি।

[৫][৬][৭][৮][৯]

জেপ গাম্বার্দেল্লা ৬৫ বছর বয়সী রূপসজ্জা সাংবাদিক। সে একজন চমৎকার ব্যক্তি। রোমের সামাজিক ঘটনাপ্রবাহে তার অবাধ বিচরণ। রোমের ঐতিহাসিক সৌন্দর্য ও এর বাসিন্দাদের অগভীর মানসিকতা নিয়ে সে গবেষণা করে। যৌবনেই সে সৃজনশীল রচনার দিকে ধাবিত হয়। তবে তার একটিই বই- মানবকাঠামো। অনেক সমাদর ও পুরস্কার লাভ সত্ত্বেও গাম্বার্দেল্লা আর কোনো গ্রন্থ লিখেনি। এর জন্য তার আলস্যের পাশাপাশি ক্রিয়েটিভ ব্লক-ও (সৃজনশীল রচনায় ব্যর্থতা) দায়ী। তার অস্তিত্বের মুখ্য উদ্দেশ্য- সমাজের অভিজাত হওয়া, তবে যেমন-তেমন অভিজাত নয়, একেবারে অভিজাতদের অধিপতি হওয়া।

জেপে বেশ কয়েকজন বন্ধু দ্বারা পরিবৃত। এরা হলো- রোমানো (একজন নাট্যকার, যে সবসময়ই একজন নারীর অনুগামী। নারীটি তার কাছ থেকে নানাভাবে নিজের স্বার্থ আদায় করে।), লেল্লো (বাচাল কিন্তু বিত্তশালী খেলনা বিক্রেতা), ভায়োলা (একজন ধনী বুর্জোয়া এবং আন্দ্রিয়া নামে একজন মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত পুত্রসন্তান রয়েছে, যে গাড়ির সাথে স্বেচ্ছায় সংঘর্ষে মারা যাবে), স্তেফানিয়া (আত্মকেন্দ্রিক গোঁড়া লেখক) ও দাদিনা (জেপ যে পত্রিকায় কাজ করে, তার খর্বাকৃতির সম্পাদক)।

একদিন জেপের সাথে তার প্রথম ও একমাত্র ভালোবাসা এলিসার স্বামীর দেখা হয়। সে ঘোষণা করে, এলিসা মারা গেছে।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "La grande bellezza - MYmovies"। Mymovies.it। ২০১৩-০৫-২১। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৪-১২ 
  2. Boxoffice Media, Llc (১৫ নভেম্বর ২০১৩)। "BoxOffice® — The Great Beauty"। Boxoffice.com। ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ 
  3. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৬ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ নভেম্বর ২০২০ 
  4. "Oscars 2014: Full list of winners"। 3 মার্চ, 2014 – www.bbc.co.uk-এর মাধ্যমে।  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  5. "The Great Beauty: a journey to the end of the night"Cineuropa - the best of european cinema 
  6. Gempel, Natalie। "Arts & Entertainment"D Magazine 
  7. "Film review of the year 2013: 'This was the greatest year of cinema since 1999'"The Telegraph 
  8. "Review: 'The Great Beauty' intoxicates with masterful Toni Servillo"Los Angeles Times। 21 নভেম্বর, 2013।  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  9. "Número 22 (abril de 2016) – O Olho da História"। ৬ নভেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ নভেম্বর ২০২০ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা