লাহোর মেট্রো

লাহোর শহর মেট্রো রেলওয়ে

লাহোর মেট্রো হল পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের রাজধানী লাহোর-এর একটি দ্রুত রেল পরিবহন ব্যবস্থা। [১] লাহোর পাকিস্তানের দ্বিতীয় বৃহৎ শহর ফলে এই শহরে যাত্রী পরিবহনের জন্য লাহোর মেট্রো ব্যবস্থা গড়া হয়। এই মেট্রোর মোট দৈর্ঘ্য হল ৮২ কিমি ও স্টেশন সংখ্যা ৬০টি। মেট্রো ব্যবস্থাটিতে ৩টি মেট্রো রেল লাইনের প্রস্তাব করা হয়। ২৫শে ডিসেম্বর ২০১৭ সালে এই লাইনটি চালু হয়।[২]

লাহোর মেট্রো
সংক্ষিপ্ত বিবরণ
অবস্থানলাহোর, পাকিস্তান
পরিবহনের ধরনদ্রুত পরিবহন
লাইনের (চক্রপথের)
সংখ্যা
৩ টি
বিরতিস্থলের (স্টেশন)
সংখ্যা
৬০ টি
দৈনিক যাত্রীসংখ্যা২,৫০,০০০ (কমলা লাইন)
চলাচল
সম্ভাব্য চালুর তারিখ২০১৮
পরিচালক সংস্থালাহোর মেট্রো কর্পোরেশন
কারিগরি তথ্য
মোট রেলপথের দৈর্ঘ্য৮২ কিলোমিটার (প্রথম দফায় ২৭ কিমি)
রেলপথের গেজ১৪৩৫ এমএম ( ৪ ফুট ৮.৫ ইঞ্চি)
গড় গতিবেগ৩৪ কিলোমিটার/ঘণ্টা
শীর্ষ গতিবেগ৮০ কিলোমিটার/ঘণ্টা

ইতিহাস সম্পাদনা

 

লাহোর মেট্রো নির্মাণের প্রস্তাব প্রথম করা হয় ১৯৯২ সালে । নানা কারনে তা সম্ভব হয়নি। এরপর ২০১৪ সালে চীনা সহায়তায় লাহোর মেট্রো নির্মাণের কথা বলা হয়। ২০১৫ সালে ২৭ কিমি কমলা লাইন নির্মাণ শুরু হয়। এটি হবে পাকিস্তানের প্রথম মেট্রো রেল।[৩][৪]

কমলা লাইন সম্পাদনা

লাহোর মেট্রোর প্রথম দফা নির্মাণ কার্যে কমলা লাইন গড়া হবে। এই লাইনের দৈর্ঘ্য হবে ২৭ কিলোমিটার।[৫] এই লাইনে প্রতিদিন ২,৫০,০০০ যাত্রী যাতায়াত করবে। ২০১৫ সাল থেকে এই লাইনের নির্মাণ শুরু হয়েছে এবং ২০১৮ সালের মধ্য কমলা লাইনের নির্মাণ সম্পূর্ণ হবে। কমলা লাইনের ২৫ কিলোমিটার হবে উত্তলিত ও বাকি অংশ হবে ভূগর্ভস্থ।

নীল লাইন সম্পাদনা

এই লাইনের দৈর্ঘ্য ১৪ কিমি। এটি চোউবারিজ থেকে কলেজ রোড পর্যন্ত নির্মাণ করা হবে।

বেগুনি লাইন (বিমানবন্দর) সম্পাদনা

এটি ৩২ কিলোমিটার দীর্ঘ হবে।এই লাইন লাহোর বিমানবন্দরকে যুক্ত করবে।

তথ্যসমূহ সম্পাদনা

  1. "Progress: 'Work on Metro Train in full swing'"The Express Tribune। ৯ অক্টোবর ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ৪ মার্চ ২০১৬ 
  2. "চিনের দয়াতে এবার মেট্রো পেল পাকিস্তান"www.kolkata24x7.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৩-০১ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  3. "More delays and a new date for Pakistan's first metro train"। Geo News। ৩ আগস্ট ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১৩ আগস্ট ২০১৮Construction work on Pakistan’s first metro train service is 90 per cent complete, but it won’t be up and running till March 2019, say officials. 
  4. "Manufacturing of orange trains starts, says Kh Hassan"। The News। ২৬ মে ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জানুয়ারি ২০১৭Latest technology will be employed for fabricating these trains and the rolling-stock will be fully computerised, automatic and driverless. 
  5. "City to lose 620 trees for Orange Line train"Dawn। ২৬ জুন ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ৪ মার্চ ২০১৬ 


বহিঃসংযোগ সম্পাদনা