লালমোহন সেন
লালমোহন সেন (ইংরেজি: Lalmohan Sen) (? - ১৯৪৬) ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব ও অগ্নিযুগের শহীদ বিপ্লবী। মাস্টারদা সূর্যসেনের বিপ্লবী কর্মী তিনি চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার আক্রমণে অংশ নেন। গ্রেপ্তার হয়ে আন্দামান সেলুলার জেলে প্রেরিত হন। বিভিন্ন জেলে ১৬ বছর আবদ্ধ থেকে ১৯৪৬ সালে মুক্তি পান। এসময় নোয়াখালীতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার প্রতিরোধে ও শান্তি স্থাপনের চেষ্টায় নোয়াখালীর গ্রামে গ্রামে ঘুরেছেন। সন্দ্বীপে শান্তির পক্ষে বক্তৃতা দেবার সময় তিনি নির্মমভাবে নিহত হন।[১]
লালমোহন সেন | |
---|---|
![]() | |
জন্ম | |
মৃত্যু | ১৯৪৬ |
মৃত্যুর কারণ | শত্রুর আক্রমণে নিহত |
জাতীয়তা | ব্রিটিশ ভারতীয় |
নাগরিকত্ব | ![]() |
পরিচিতির কারণ | চট্টগ্রামের অস্ত্রগার আক্রমণের ব্যক্তি |
রাজনৈতিক দল | অনুশীলন সমিতি, |
আন্দোলন | ভারতের বিপ্লবী স্বাধীনতা আন্দোলন |
চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুন্ঠন মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তসম্পাদনা
চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার আক্রমণ মামলায় অনন্ত সিং, লোকনাথ বল, গণেশ ঘোষ, লালমোহন সেন, সুবোধ চৌধুরী, ফণিভূষণ নন্দী, আনন্দ গুপ্ত, ফকির সেন, সহায়রাম দাস, বনবীর দাসগুপ্ত, সুবোধ রায় এবং সুখেন্দু দস্তিদারের যাবজ্জীবন দ্বীপান্তর দণ্ড হয়।[২]
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ সুবোধ সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, নভেম্বর ২০১৩, পৃষ্ঠা ৬৮৬, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬
- ↑ ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী, জেলে ত্রিশ বছর, পাক-ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম, ধ্রুপদ সাহিত্যাঙ্গন, ঢাকা, ঢাকা বইমেলা ২০০৪, পৃষ্ঠা ১৭৮।