রোয়াইলবাড়ী আমতলা ইউনিয়ন

নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার একটি ইউনিয়ন
(রোয়াইলবাড়ী ইউনিয়ন থেকে পুনর্নির্দেশিত)

রোয়াইলবাড়ী আমতলা ইউনিয়ন বাংলাদেশের ময়মনসিংহ বিভাগের নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার অন্তর্গত একটি।[১][২]

রোয়াইলবাড়ী আমতলা
ইউনিয়ন
১২ নং রোয়াইলবাড়ী আমতলা ইউনিয়ন পরিষদ।
রোয়াইলবাড়ী আমতলা ইউনিয়ন কার্যালয়
রোয়াইলবাড়ী আমতলা ইউনিয়ন কার্যালয়
রোয়াইলবাড়ী আমতলা ময়মনসিংহ বিভাগ-এ অবস্থিত
রোয়াইলবাড়ী আমতলা
রোয়াইলবাড়ী আমতলা
রোয়াইলবাড়ী আমতলা বাংলাদেশ-এ অবস্থিত
রোয়াইলবাড়ী আমতলা
রোয়াইলবাড়ী আমতলা
বাংলাদেশে রোয়াইলবাড়ী আমতলা ইউনিয়নের অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২৪°৩৯′১″ উত্তর ৯০°৫০′৩৩″ পূর্ব / ২৪.৬৫০২৮° উত্তর ৯০.৮৪২৫০° পূর্ব / 24.65028; 90.84250 উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
দেশবাংলাদেশ
বিভাগময়মনসিংহ বিভাগ
জেলানেত্রকোণা জেলা
উপজেলাকেন্দুয়া উপজেলা উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
ওয়েবসাইটদাপ্তরিক ওয়েবসাইট উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
মানচিত্র
মানচিত্র

অবস্থান ও সীমানা সম্পাদনা

ইতিহাস সম্পাদনা

প্রশাসনিক এলাকা সম্পাদনা

আয়তন ও জনসংখ্যা সম্পাদনা

বাংলাদেশের ১৯৯১ সালের জনগণনা অনুসারে রোয়াইলবাড়ী ইউনিয়নের জনসংখ্যা মোট ২১,২৭১ জন।[৩] এদের মধ্যে পুরুষ ৫০%, এবং নারী ৫০%। ইউনিয়নে ১৮ বৎসর বয়সী জনসংখ্যা ১০,৬৬০ জন।

শিক্ষা সম্পাদনা

রোয়াইলবাড়ী ইউনিয়নের সাক্ষরতার হার হচ্ছে ৬৯.৪%। এই ইউনিয়নে আছে রোয়াইলবাড়ি ফাজিল মাদ্রাসাসহ বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

দর্শনীয় স্থান সম্পাদনা

কোটবাড়ী দুর্গ সম্পাদনা

রোয়াইলবাড়ি দুর্গ বা কোটবাড়ী দুর্গ এই ইউনিয়নে অবস্থিত একটি প্রাচীন দুর্গ ও বাংলাদেশের অন্যতম একাধিক প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনার সমাহার।[৪] এটি বেতাই নদীর তীরে কেন্দুয়া উপজেলা সদর থেকে ১৩ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত।

বার দুয়ারী ঢিবি সম্পাদনা

রোয়াইলবাড়ি দুর্গের চারটি স্থাপনার মধ্যে অন্যতম এটি। বার দুয়ারী ঢিবির নির্মাণকাল সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাওয়া যায় না তবে প্রত্নতত্ত্ববিদগণদের মধ্যে কেউ কেউ এটিকে সুলতানী আমলের স্থাপনা বলে মনে করেন। আবার কেউ কেউ এটিকে জনৈক কোন মুঘল জেনারেলের তৈরি স্থাপনা বলে মনে করেন। ৮০-এর দশকে আবিষ্কৃত এ স্থাপনাটি ১৯৮৭ সালে বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর সংরক্ষিত পরাকীর্তি হিসেবে নথিভূক্ত করে।[৫] বার দুয়ারী ঢিবিটি রোয়াইলবাড়ি দুর্গের সীমানা প্রাচীরের ভেতর দক্ষিণাংশে অবস্থিত। ১৯৯১-৯৩ সালে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর কর্তৃক দুর্গের ভেতর খনন কার্য পরিচালনার সময় এটি আবিষ্কৃত হয়। খননের ফলে এখানে পাওয়া যায় একটি মসজিদের ধ্বংসাবশেষ।[৬]

বুরুজ ঢিবি সম্পাদনা

রোয়াইলবাড়ি দুর্গের চারটি স্থাপনার মধ্যে দ্বিতীয় প্রধান স্থাপনা এটি। বুরুজ ঢিবিটি রোয়াইলবাড়ি দুর্গের সীমানা প্রাচীরের ভেতর উত্তরাংশে অবস্থিত। ১৯৯১-৯৩ সালে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর কর্তৃক দুর্গের ভেতর খনন কার্য পরিচালনার সময় এটি আবিষ্কৃত হয়। খননের ফলে এখানে পাওয়া যায় একটি ইমারতের ধ্বংসাবশেষ।[৭]

ছাদবিহীন পুরাতন ইমারত সম্পাদনা

রোয়াইলবাড়ি দুর্গের চারটি স্থাপনার মধ্যে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। এটাতে মোট পাঁচটি কক্ষ রয়েছে। সাম্প্রতিককালের প্লাস্টার দেবার কারণে স্থাপনাটি খারাপভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। [৮]

কবরস্থান সম্পাদনা

রোয়াইলবাড়ি দুর্গের আরেকটি স্থাপনা হচ্ছে এর অভ্যন্তরে অবস্থিত কবরস্থানের স্থাপনা। এটিকে নিয়ামত বিবির মাজার ও ডেঙ্গু মিয়ার সমাধি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। বর্তমানে এখানে একটি বাঁধাই করা সুড়ঙ্গের অবশেষ টিকে রয়েছে।

উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব সম্পাদনা

জনপ্রতিনিধি সম্পাদনা

বর্তমান চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান আকন্দ স্বতন্ত্র

ক্রমিক নাম মেয়াদ
০১
০২
০৩
০৪
০৫
০৬
০৭

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "রোয়াইলবাড়ী আমতলা ইউনিয়ন"বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। ৩১ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ মার্চ ২০২০ 
  2. "কেন্দুয়া উপজেলা"বাংলাপিডিয়া। ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১১ মার্চ ২০২০ 
  3. "বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (BBS)"। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ২  অজানা প্যারামিটার |accessyear= উপেক্ষা করা হয়েছে (|access-date= ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য); এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  4. "ময়মনসিংহ বিভাগের পুরাকীর্তি"বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর। www.archaeology.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ 
  5. Janata, The Dainik। ":: দৈনিক জনতা ::"। ১৪ জুন ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ অক্টোবর ২০১৬ 
  6. "The Daily Janakantha" [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  7. "The Daily Janakantha" [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  8. Abdul Qadir, Muhammad; Rahman, Habibur (২০০১)। Excavation at Ruaylbari (প্রথম প্রকাশ সংস্করণ)। Dhaka: Department of Archaeology। পৃষ্ঠা 4।