রোমেনা আফাজ
রোমেনা আফাজ (২৭ ডিসেম্বর ১৯২৬ - ১২ জুন ২০০৩) হলেন বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক। তিনি দস্যু বনহুর সিরিজের জন্য বাঙালি পাঠক সমাজে সমধিক পরিচিত।
রোমেনা আফাজ | |
---|---|
জন্ম | ২৭ ডিসেম্বর ১৯২৬ |
মৃত্যু | ১২ জুন ২০০৩ |
পেশা | ঔপন্যাসিক |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
নাগরিকত্ব | বাংলাদেশ |
উল্লেখযোগ্য রচনাবলি | কাগজের নৌকা, মোমের আলো, মায়ার সংসার, মধুমিতা, মাটির মানুষ, দস্যু বনহুর |
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার | স্বাধীনতা পুরস্কার (২০১০) |
দাম্পত্যসঙ্গী | মোঃ আফাজ উল্লাহ সরকার |
জন্ম ও শিক্ষাজীবন
সম্পাদনারোমেনা আফাজ ১৯২৬ সালের ২৭ ডিসেম্বর বগুড়া জেলার শেরপুর শহরে জন্মগ্রহণ করেন।[১] লেখিকার বাড়ি ছিল বগুড়া জেলার জলেশ্বরীতলায়। তার স্মৃতি ধরে রাখতে সেখানে বর্তমানে স্মৃতিঘর করা হয়েছে। এছাড়াও তার বাড়ির সামনের রাস্তাটি তার নামানুসারে 'রোমেনা আফাজ সড়ক' রাখা হয়েছে।[২] তার পিতার নাম কাজেম উদ্দীন আহম্মদ এবং মায়ের নাম বেগম আছিয়া খাতুন। বগুড়া জেলার শাজাহানপুর থানার ফুলকোট গ্রামের ডাক্তার মোঃ আফাজ উল্লাহ সরকারের সঙ্গে তার বিয়ে হয়।
কর্মজীবন
সম্পাদনারোমেনা আফাজ লেখালেখি শুরু করেন নয়বছর বয়স থেকে। তার প্রথম লেখা বাংলার চাষী নামক একটি ছড়া প্রকাশিত হয় কলকাতার মাসিক মোহাম্মদী পত্রিকায়। এরপর অসংখ্য ছোটগল্প, কবিতা, কিশোর উপন্যাস, সামাজিক উপন্যাস, গোয়েন্দা সিরিজ ও রহস্য সিরিজ রচনা করেছেন। তার লেখা রহস্য সিরিজ "দস্যু বনহুর" ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। তার সৃষ্ট এই দস্যু বনহুর চরিত্রের জন্যেই মূলত তিনি বিখ্যাত। রোমেনা আফাজের লিখিত বইয়ের সংখ্যা ২৫০টি।[৩] তার লেখা উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে ৬টি চলচ্চিত্র; জনপ্রিয় এই চলচ্চিত্রগুলো হলো - কাগজের নৌকা, মোমের আলো, মায়ার সংসার, মধুমিতা, মাটির মানুষ ও দস্যু বনহুর৷
রোমেনা আফাজ শুধু একজন প্রতিভাময়ী লেখকই ছিলেন না, ছিলেন একজন সক্রিয় সমাজ সেবিকাও। ৩৭টি সমাজসেবামূলক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তিনি৷ তারমধ্যে জাতীয় মহিলা সংস্থা, বগুড়ার সাবেক চেয়ারম্যান; ঠেংগামারা মহিলা সবুজ সংঘ, বগুড়ার আজীবন উপদেষ্টা ও প্রতিষ্ঠাতা পৃষ্ঠপোষক; বাংলাদেশ মহিলা জাতীয় ক্রীড়া সংস্থা, বগুড়ার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান; বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, বগুড়ার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান; বাংলাদেশ রেডক্রস সমিতি, বগুড়ার সাবেক সদস্য; শিশু একাডেমী, বগুড়ার সাবেক উপদেষ্টা; বাংলাদেশ রাইটার্স ফোরাম, বগুড়ার সাবেক উপদেষ্টা ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য৷
পুরস্কার ও সম্মাননা
সম্পাদনাসাহিত্য ও শিল্পকলায় অসাধারণ অবদানের জন্য ২০১০ সালে বাংলাদেশের “সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার”[৪][৫][৬] হিসাবে পরিচিত “স্বাধীনতা পুরস্কার” প্রদান করা হয় তাকে।[৭] রোমেনা আফাজের অবদানকে ধরে রাখার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে রোমেনা আফাজ স্মৃতি পরিষদ৷ সাহিত্যে প্রশংসনীয় বিশেষ অবদানের জন্যে বিভিন্ন সংগঠন থেকে পেয়েছেন বহু পুরস্কার৷ তারমধ্যে নারী বিকাশ সংস্থা, বগুড়া থেকে বেগম রোকেয়া স্বর্ণপদক -২০০০; বাংলাদেশ রাইটার্স ফোরাম, বগুড়া থেকে ২১শে পদক (সাহিত্য),২০০৩; গণউন্নয়ন গ্রন্থাগার (সি,ডি,এল) নারী ফোরাম থেকে নারী মুক্তি আন্দোলনের অগ্রদূত সম্মাননা পদক, ২০০৬ (মরণোত্তর) ইত্যাদি অন্যতম৷ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন থেকে সাহিত্যে তার অবদানের স্বীকৃতি-স্বরূপ বিভিন্ন সময়ে সম্বর্ধনা দেওয়া হয়; তারমধ্যে ঢাকার নারীগ্রন্থ প্রবর্তনা গুণীজন-১৯৯৯ সংবর্ধনা উল্লেখযোগ্য৷
মৃত্যু
সম্পাদনা২০০৩ সালের ১২ জুন তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
সাহিত্যকর্ম
সম্পাদনা- দেশের মেয়ে: সামাজিক ও পারিবারিক
- জানি তুমি আসবে: প্রণয়মূলক উপন্যাস
- বনহুর: রহস্য সিরিজ
- রক্তে আঁকা মাপ: দুঃসাহসিক অভিযান
- মান্দিগোর বাড়ি: কিশোর উপন্যাস
- "বিদগ্ধা জননী" সামাজিক উপন্যাস
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Romena Afaz's 89th birth anniv today"। New Age (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৫-১২-২৭। ২০১৬-০৪-০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১২-১৯।
- ↑ "রোমেনা আফাজ স্মৃতি জাদুঘর"। লুৎফুল বারী। ঢাকা, বাংলাদেশ। ০৩-১০-২০১২। ১৭ আগস্ট ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ 17 আগস্ট 2013। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১৬ আগস্ট ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর ২০১২।
- ↑ সানজিদা খান (জানুয়ারি ২০০৩)। "জাতীয় পুরস্কার: স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার"। সিরাজুল ইসলাম। [[বাংলাপিডিয়া]]। ঢাকা: এশিয়াটিক সোসাইটি বাংলাদেশ। আইএসবিএন 984-32-0576-6। সংগ্রহের তারিখ : ১৫ ডিসেম্বর ২০১৭।
স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার।
এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য); ইউআরএল–উইকিসংযোগ দ্বন্দ্ব (সাহায্য) - ↑ "স্বাধীনতা পদকের অর্থমূল্য বাড়ছে"। কালেরকন্ঠ অনলাইন। ২ মার্চ ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ : ১৫ ডিসেম্বর ২০১৭। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ "এবার স্বাধীনতা পদক পেলেন ১৬ ব্যক্তি ও সংস্থা"। এনটিভি অনলাইন। ২৪ মার্চ ২০১৬। ১ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ : ১৫ ডিসেম্বর ২০১৭। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ "স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের তালিকা"। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ১ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ : ১৫ ডিসেম্বর ২০১৭। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য)
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনাএই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |