রোকনুজ্জামান খান
এই নিবন্ধের যাচাইযোগ্যতার জন্য অতিরিক্ত তথ্যসূত্র প্রয়োজন। |
রোকনুজ্জামান খান (জন্মঃ ৯ এপ্রিল, ১৯২৫ - মৃত্যুঃ ৩ ডিসেম্বর, ১৯৯৯) বাংলাদেশের একজন প্রতিষ্ঠিত লেখক ও সংগঠক ছিলেন। কিন্তু তিনি দাদাভাই নামেই সম্যক পরিচিত ছিলেন। তার জন্ম রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলায়। বাংলাদেশের বহুল প্রচারিত দৈনিক ইত্তেফাকের শিশু-কিশোরদের উপযোগী কচিকাঁচার আসর বিভাগের পরিচালক হিসেবে আমৃত্যু দায়িত্ব পালন করেন।
রোকনুজ্জামান খান | |
---|---|
![]() রোকনুজ্জামান খান | |
জন্ম | পাংশা, রাজবাড়ী জেলা, বাংলা প্রদেশ, ব্রিটিশ ভারত | ৯ এপ্রিল ১৯২৫
মৃত্যু | ৩ ডিসেম্বর ১৯৯৯ | (বয়স ৭৪)
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
পেশা | লেখক, সংগঠক |
দাম্পত্য সঙ্গী | নূরজাহান বেগম |
পুরস্কার | স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার একুশে পদক |
কর্মজীবন সম্পাদনা
১৯৪৮ সালে আবুল মনসুর আহমদ সম্পাদিত ইত্তেহাদ পত্রিকার 'মিতালী মজলিস' নামীয় শিশু বিভাগের দায়িত্ব লাভের মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন। এরপর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হিসেবে শিশু সওগাত পত্রিকায় দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫২ সালে দৈনিক মিল্লাতের কিশোর দুনিয়া'র শিশু বিভাগের পরিচালক ছিলেন। ১৯৫৫ সালে দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় তরুণ সাংবাদিক হিসেবে কাজ শুরু করেন। ২রা এপ্রিল শিশু-কিশোরদের উপযোগী কচিকাঁচার আসর বিভাগের পরিচালক নিযুক্ত হন এবং আসর পরিচালকের নামকরণ করা হয় দাদাভাই। সেই থেকে তিনি নতুন পরিচয় পান দাদাভাই।[১] তার পরিচিতিতেই ছোটদের উপযোগী করে লিখতেন - সুফিয়া কামাল, আব্দুল্লাহ আল মুতি শরফুদ্দিন, শওকত ওসমান, আহসান হাবীব, ফয়েজ আহমেদ, হোসনে আরা, নাসির আলী, হাবীবুর রহমানসহ বিখ্যাত অনেক লেখক।
১৯৫৬ সালে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শিশু-কিশোর সংগঠন কচিকাঁচার মেলা প্রতিষ্ঠা করেন রোকনুজ্জামান খান। বিখ্যাত অনেক ব্যক্তিত্ব এর সদস্য ছিলেন - সুলতানা কামাল, হাশেম খান, মাহবুব তালুকদার, কৌতুক অভিনেতা রবিউল প্রমূখ।
রচনাসমগ্র সম্পাদনা
বাক বাক্ কুম পায়রা
মাথায় দিয়ে টায়রা
বউ সাজবে কাল কি
চড়বে সোনার পালকি
তার অসামান্য শিশুতোষ ছড়া হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। খোকন খোকন ডাক পাড়ি, আজব হলেও গুজব নয় প্রভৃতি বই লিখেছেন দাদাভাই। সম্পাদনা করেছেন - আমার প্রথম লেখা, ঝিকিমিকি, বার্ষিক কচি ও কাঁচা, ছোটদের আবৃত্তি ইত্যাদি পুস্তক।
সম্মাননা সম্পাদনা
শিশু সংগঠনে অসামান্য অবদান রাখায় রোকনুজ্জামান খান ২০০০ সালে স্বাধীনতা দিবস পুরস্কারে ভূষিত হন। এছাড়াও তিনি বাংলা একাডেমী পুরস্কার (১৯৬৮), শিশু একাডেমী পুরস্কার (১৯৯৪), একুশে পদক (১৯৯৮), জসিমউদ্দীন স্বর্ণপদক এ ভূষিত হন। ৩ ডিসেম্বর, ১৯৯৯ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
- ↑ দৈনিক কালের কণ্ঠ, মুদ্রিত সংস্করণ, ৯ এপ্রিল, ২০১১ইং, অবাক পৃথিবী, পৃষ্ঠাঃ ৬