রেজওয়ানুল হক ইদু চৌধুরী
রেজওয়ানুল হক ইদু চৌধুরী (১৯৩০-২৫ মে ১৯৯৪) বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলার রাজনীতিবিদ, ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশের সমাজকল্যাণ মন্ত্রীছিলেন।[১][২][৩]
রেজওয়ানুল হক ইদু চৌধুরী | |
---|---|
তৎকালীন দিনাজপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ১৯৭৯ – ১৯৮২ | |
পূর্বসূরী | মোহাম্মদ ফজলুল করিম |
উত্তরসূরী | আমজাদ হোসেন |
ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ১৯৮৮ – ১৯৯০ | |
পূর্বসূরী | খাদেমুল ইসলাম |
উত্তরসূরী | খাদেমুল ইসলাম |
মন্ত্রী সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় | |
কাজের মেয়াদ ১৯৮৬ – ১৯৯০ | |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ১৯৩০ |
মৃত্যু | ২৫ মে ১৯৯৪ |
রাজনৈতিক দল | জাতীয় পার্টি |
অন্যান্য রাজনৈতিক দল | বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল |
দাম্পত্য সঙ্গী | সুলতানা রেজওয়ান চৌধুরী (বি: ১৯৫৯) |
সম্পর্ক | নুরুল হক চৌধুরী (চাচাতো ভাই) |
সন্তান | ২ |
পিতামাতা | রমজান আলী চৌধুরী, ফজিলাতুন্নেসা |
জন্ম ও প্রাথমিক জীবন
সম্পাদনারেজওয়ানুল হক ইদু চৌধুরী ১৯৩০ সালে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের ছোট বালিয়া গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতা রমজান আলী চৌধুরী এবং মাতা ফজিলাতুন্নেসা।
রাজনৈতিক ও কর্মজীবন
সম্পাদনারেজওয়ানুল হক ইদু চৌধুরী ১৯৫৭ সালে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির রাজনীতিতে যুক্ত হয়ে দিনাজপুর জেলা শাখার সভাপতি এবং দিনাজপুর জেলা কৃষক সমিতির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে তার সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল।[৪] ১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৯ সালে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় জাতীয় সংসদে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নিয়ে গঠিত অখণ্ড দিনাজপুর-৩ (বর্তমান ঠাকুরগাঁও-১) আসন থেকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের মনোনয়নে নির্বাচিত সংসদ সদস্য।[২] এরপর ১৯৮৬ সালের তৃতীয় ও ১৯৮৮ সালের চতুর্থ জাতীয় সংসদের নির্বাচনে ঠাকুরগাঁও-১ আসন থেকে জাতীয় পার্টির মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[৩][৫] তিনি ১৯৮৮-১৯৯০ সাল পর্যন্ত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[১]
পারিবারিক জীবন
সম্পাদনাতার পিতা রমজান আলী চৌধুরী জমিদার ছিলেন। পিতামহ মেহের বকস্ চৌধুরীও জমিদার ছিলেন ও বালিয়া চৌধুরী বংশের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি ৪ ডিসেম্বর ১৯৫৯ সালে তেভাগা আন্দোলনের কৃষকনেতা হাজী মোহাম্মদ দানেশের কন্যা সুলতানা রেজওয়ান চৌধুরী সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। যিনি সংরক্ষিত মহিলা আসন-১ থেকে ১৯৮৬–১৯৮৮ মেয়াদে সংসদ সদস্য ছিলেন। বড় ছেলে সুলতানুল ফেরদৌস নম্র ব্যবসায়ী ও জেলা বিএনপির সহসভাপতি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন ছোট ছেলে সুলতান উল নায়ীম শুভ চৌধুরী ব্যবসায়ী।[৬][৭]
তার চাচাতো ভাই নুরুল হক চৌধুরী (১৯০২-১৯৮৭) ছিলেন দুই বারের নির্বাচিত পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ সদস্য(এম.এন.এ) সেই সাথে পার্লামেন্টারি সেক্রেটারি এবং ঠাকুরগাঁও পৌরসভার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। এছাড়া নুরুল হক চৌধুরী দিনাজপুর জেলা বোর্ডের সহসভাপতি ও আইনজীবী ছিলেন।[৮]
মৃত্যু
সম্পাদনারেজওয়ানুল হক ইদু চৌধুরী ২৫ মে ১৯৯৪ সালে মৃত্যুবরণ করেন।[৭]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ "ঠাকুরগাঁও জেলার প্রখ্যাত ব্যক্তিত্ব"। বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। ৩০ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জানুয়ারি ২০২০।
- ↑ ক খ "২য় জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ ক খ "৪র্থ জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ৮ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ সংগ্রামী ঠাকুরগাঁও ও একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ।
- ↑ "৩য় জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "হাজী দানেশের মেয়ে সুলতানা রেজওয়ান আর নেই"। jagonews24.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-৩০।
- ↑ ক খ "জননেতা ইদু চৌধুরী এবং বহুমুখী উন্নয়নে ঠাকুরগাঁও"। সাপ্তাহিক বাংলার আলো।
- ↑ ঠাকুরগাঁও পরাক্রমা: ইতিহাস ও ঐতিহ্য।
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |