রুচিরা পল্লিয়াগুরুগে

শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটার
(রুচিরা পল্লিয়াগুরু থেকে পুনর্নির্দেশিত)

রুচিরা শমন আকমিমানা পল্লিয়াগুরুগে (সিংহলি: රුචිර පල්ලියගුරුගේ; জন্ম: ২২ জানুয়ারি, ১৯৬৮) মাতারায় জন্মগ্রহণকারী শ্রীলঙ্কান আম্পায়ার ও সাবেক প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটার। ঘরোয়া ক্রিকেটে ব্লুমফিল্ড ক্রিকেট ও অ্যাথলেটিক ক্লাব, চিল ম্যারিয়ান্স ক্রিকেট ক্লাব, নন্দেস্ক্রিপ্টস ক্রিকেট ক্লাব, ওল্ড ক্যাম্ব্রিয়ান্স স্পোর্টস ক্লাব, সারাসেন্স স্পোর্টস ক্লাবের হয়ে খেলেছেন।[১] তিনি ডানহাতে মিডিয়াম পেস বোলিং ও ডানহাতে ব্যাটিংয় পারদর্শী ছিলেন। সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে তিনি দুই শতাধিক উইকেট ও চার সহস্রাধিক প্রথম-শ্রেণীর রান সংগ্রহ করেছেন।

রুচিরা পল্লিয়াগুরুগে
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামরুচিরা শমন আকমিমানা পল্লিয়াগুরুগে
জন্ম (1968-01-22) ২২ জানুয়ারি ১৯৬৮ (বয়স ৫৬)
মাতারা, শ্রীলঙ্কা
আম্পায়ারিং তথ্য
ওডিআই আম্পায়ার১৭ (২০১১–২০১৪)
উৎস: Cricinfo, ২৬ মে ২০১৪

আম্পায়ার জীবন সম্পাদনা

২০১২ সালের মার্চ মাসে কিংসটাউনে অনুষ্ঠিত ওয়েস্ট ইন্ডিজ-অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার একদিনের আন্তর্জাতিকের মাধ্যমে রুচিরা পল্লিয়াগুরু’র আম্পায়ার হিসেবে ক্রিকেট খেলায় অভিষেক ঘটে।[২] তবে রুচিরা’র আম্পায়ার জীবনে বেশ বিতর্ক ঘিরে আছে। সানডে টাইমসের মাধ্যমে জানা যায়, জ্যেষ্ঠ ক্রিকেট আম্পায়ারগণ শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটে তার আইসিসি প্যানেলে নাম প্রেরণের বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। তার নাম প্রেরণের বিষয়ে কোনরূপ মেধা যাচাই প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি। টাইমসের নিবন্ধে উল্লেখ করা হয়, রুচিরা পল্লিয়াগুরু’র খেলা পরিচালনার মান অত্যন্ত নিম্নস্তরের। সংক্ষুদ্ধ আম্পায়ারগণ একজন জ্যেষ্ঠ ক্রিকেট কর্মকর্তাকে আম্পায়ারদের পরীক্ষার ফলাফল বহি পুণঃনিরীক্ষণের জন্য অনুরোধ করেছেন। কিন্তু, ঐ কর্মকর্তা তাদেরকে জানান যে, ফলাফল বহি চুরি হয়ে যাওয়ায় পুণঃমূল্যায়ণ করা সম্ভব নয়।[৩]

২০১২ সালের এশিয়া কাপের গুরুত্বপূর্ণ মুহুর্তে আউটের বিতর্কিত সিদ্ধান্ত দিয়ে পুনরায় সংবাদ শিরোনামে চলে আসেন পল্লিয়াগুরু। ১৬ মার্চ, ২০১২ তারিখে বাংলাদেশভারতের মধ্যকার খেলায় তিনি থার্ড আম্পায়ারের দায়িত্বে ছিলেন। ব্যাটসম্যানকে বেনিফিট অব ডাউটে সিদ্ধান্ত না দিয়ে তিনি আউট হিসেবে লাল বোতামে চাপ দেন। সাকিব আল হাসানকে ক্রিজে থাকা অবস্থায় তিনি এ সিদ্ধান্ত দেন।[৪] বাংলাদেশের ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারে উল্লেখ করা হয় যে, রুচিরা দর্শকদেরকে হতবাক করে দিয়ে সাকিব আল হাসানকে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠিয়েছেন।[৫]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা