রিংগোল্ড উইলমার "রিং" লার্ডনার (ইংরেজি: Ringgold Wilmer "Ring" Lardner; ৫ মার্চ ১৮৮৫[১] - ২৫ সেপ্টেম্বর ১৯৩৩) ছিলেন একজন মার্কিন ক্রীড়া কলামিস্ট ও ছোটগল্পকার। তিনি ক্রীড়া, বিবাহ ও মঞ্চ নিয়ে তার ব্যঙ্গধর্মী লেখনীর জন্য সর্বাধিক প্রসিদ্ধ। তার সমকালীন আর্নেস্ট হেমিংওয়ে, ভার্জিনিয়া উল্‌ফ, ও এফ. স্কট ফিট্‌জেরাল্ড তার লেখনীর ব্যাপক প্রশংসা করতেন।

রিং লার্ডনার
স্থানীয় নাম
Ring Lardner
জন্মরিংগোল্ড উইলমার লার্ডনার
(১৮৮৫-০৩-০৫)৫ মার্চ ১৮৮৫
নাইলস, মিশিগান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
মৃত্যু২৫ সেপ্টেম্বর ১৯৩৩(1933-09-25) (বয়স ৪৮)
ইস্ট হ্যামটন, নিউ ইয়র্ক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
পেশালেখক, সাংবাদিক
দাম্পত্যসঙ্গীএলিস অ্যাবট
সন্তানজন, জেমস, রিং জুনিয়র, ও ডেভিড

কর্মজীবন সম্পাদনা

লার্ডনার ক্রীড়া কলামিস্ট হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি ১৯০৫ সালে সাউথ বেন্ড টাইমস সংবাদপত্রে যোগদান করেন। ১৯০৭ সালে তিনি শিকাগো শহরে ইন্টার-ওশান-এ চাকরিতে যোগ দেন। এক বছরের মধ্যে তিনি এই চাকরি ছেড়ে শিকাগো এক্‌জামিনার ও পরে দ্য ট্রিবিউন-এ যোগ দেন।[২] দুই বছর পর লার্ডনার সেন্ট লুইস শহরে চলে যান এবং স্পোর্টিং নিউজ-এর জন্য হাস্যরসাত্মক বেসবল কলাম পুলম্যান পাস্টটাইমস লিখতেন। তার কিছু কাজ পরবর্তীতে তার ইউ নো মি অ্যাল বইয়ের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে। তিন মাসের মধ্যে তিনি বোস্টন আমেরিকান-এ যোগ দেন।

ব্যক্তিগত জীবন ও মৃত্যু সম্পাদনা

লার্ডনার ১৯১১ সালে ইন্ডিয়ানার গোশেনের এলিস অ্যাবটের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের চার পুত্র - জন, জেমস, রিং জুনিয়র, ও ডেভিড লার্ডনার। জন ছিলেন একজন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, ক্রীড়া কলামিস্ট, ও ম্যাগাজিন লেখক। জেমস লার্ডনারও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ছিলেন, যিনি স্পেনের গৃহযুদ্ধে মারা যান। রিং লার্ডনার জুনিয়র ছিলেন একজন চিত্রনাট্যকার। তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী হলিউডের কালোতালিকায় অন্তর্ভুক্ত দশজনের একজন ছিলেন। ডেভিড লার্ডনার দ্য নিউ ইয়র্কার-এ সাধারণ প্রতিবেদক ও যুদ্ধ প্রতিবেদক হিসেবে কাজ করতেন। তিনি ১৯৪৪ সালের ১৯শে অক্টোবর জার্মানির আচেনের নিকটবর্তী এক স্থানে স্থলমাইন বিস্ফোরণে নিহত হন।

লার্ডনার যক্ষ্মা থেকে উদ্ভূত হৃদরোগের জটিলতায় ১৯৩৩ সালের ২৫শে সেপ্টেম্বর ৪৮ বছর বয়সে নিউ ইয়র্কের ইস্ট হ্যামটনে মৃত্যুবরণ করেন।[২]

গ্রন্থতালিকা সম্পাদনা

  • বিব ব্যালাডস (Bib Ballads, ১৯১৫)
  • ইউ নো মি অ্যাল (You Know Me Al, ১৯১৬)
  • চ্যাম্পিয়ন (Champion, ১৯১৬); [পরে ১৯৪৯-এর চলচ্চিত্রে উপযোগকরণ করা হয়]
  • গালিবল্‌স ট্রাভেলস (Gullible's Travels, ১৯১৭)
  • ট্রিট 'এম রাফ (Treat 'Em Rough, ১৯১৮)
  • দ্য রিয়্যাল ডোপ (The Real Dope, ১৯১৯)
  • দ্য বিগ টাউন (The Big Town, ১৯২১)
  • মাই ফোর উইকস ইন ফ্রান্স (My Four Weeks in France, ১৯২২)
  • হাউ টু রাইট শর্ট স্টোরিজ (How to Write Short Stories, ১৯২৪)
  • হেয়ারকাট (Haircut, ১৯২৫)
  • হোয়াট অব ইট? (What Of It?, ১৯২৫)
  • রাউন্ড আপ (Round Up, ১৯২৯)

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. লার্ডনার, রিং। Ring Lardner Reader। স্ক্রিবনার্স। পৃষ্ঠা xiv। 
  2. বেমব্রি, সারাহ, সম্পাদক (১৯৯৯)। "Ring Lardner, Sr."The Lardner Dynasty। Interactive Media Lab, University of Florida। ২১ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ আগস্ট ২০১৯ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা

অনলাইন সংস্করণ সম্পাদনা