রামেশ্বর দেউল
রামেশ্বর দেউল লিঙ্গরাজ মন্দিরের মৌসী মা (ওড়িয়া: ମାଉସୀ ମା ଦେଉଳ) মন্দির নামে পরিচিত। এটি লিঙ্গরাজ মঠ থেকে ২ কিমি দূরে অবস্থিত। অত্যন্ত প্রাচীন মন্দির যা শিবকে উৎসর্গ করে নির্মান করা হয়েছিল। ভারতবর্ষের ওড়িশা রাজ্যে ভুবনেশ্বরের কাছে এটি অবস্থিত। এটি ওড়িশার শিব মন্দির গুলির মধ্যে অন্যতম শিব মন্দির। ওড়িশার এই শিব মন্দিরটি ১০০০ থেকে ১১০০ বছরের প্রাচীন।
কিংবদন্তিসম্পাদনা
কিংবদন্তি রাবণ রাবণের উপর জয়লাভের পর লংকায় ফিরে আসার পর কিংবদন্তি সিনাকে শিবের আরাধনা করতে বলেছিলেন। রামচন্দ্র সেই উদ্দেশ্য জন্য একটি লিঙ্গ তৈরি। ঐতিহ্যগতভাবে অশোকতমিতির সময়, যা চৈত্রের রাম নবামায় এক দিন আগে ভগবান লিঙ্গরাজায় রুকুনা নামে একটি বৃহত রথের দ্বারা এই মন্দিরের কাছে আসে এবং চার দিন ধরে বসবাস করে। ঐতিহাসিকভাবে ৯ ম শতাব্দীতে মন্দিরটি পুনর্নির্মাণ করা হয়।
ইতিহাসসম্পাদনা
মন্দিরটির সঙ্গে ভগবান রামচন্দ্রে কথা উল্লেখ থাকলেও অনুমান করা হয় মন্দির এক হাজার বছরেরও বেশি প্রাচীন এবং এর নির্মান হয়েছিল ৯ তম শতাব্দী থেকে ১০ তম শতাব্দীর মাঝামঝি সময়ে। মন্দিরটি কাছেই অবস্থিত লিঙ্গরাজ মন্দির যার থেকে রামেশ্বর মন্দিরটি প্রায় ৩০০ বছরের প্রাচীন।
স্থাপত্যসম্পাদনা
ওড়িশার মন্দিরের দুটি অংশ থাকে । একটি অংশ হল দেউল বা প্রবিত্র অংশ, অন্যটি পবিত্র অংশের বা মূল মন্দিরের সঙ্গে বা পাশেই তীর্থযাত্রীদের জন্য বরাদ স্থান। রামেশ্বর মন্দিরটি একটি একটি দেউল মন্দির এবং মন্দিরটি ওড়িশার সুপরিচিত কলিঙ্গ শৈলিতে নির্মিত। এই মন্দিরটি একটি মাত্র উচু কক্ষ হিসাবে নির্মিত হয়েছে। মন্দিরটির সঙ্গে দ্বিতীয় কোন কক্ষ নেই। মন্দিরের সমুখ ভাগেই রয়েছে একটি প্রবেশ পথ। প্রবেশ পথ বাদে মন্দিরটির অন্য তিনদিকে তিনটি জানালা রয়েছে। মন্দিরটি একটি শক্তিশালি ও কঠিন ভিত্তের উপর নির্মিত হয়েছে। মন্দিরের দেয়াল জুড়ে বিভিন্ন কারুকার্য ও চিত্র অঙ্কন করা হয়েছে। মন্দিরের উপরে রয়েছে বৃত্তাকার অংশ ও তার উপরে নির্মিত হয়েছে মন্দিরের চূরা। মন্দিরটি নির্মানে ব্যবহৃত হয়েছে বেলেপাথর।
বর্তমানে মন্দিরটি রক্ষনা বেক্ষনার চেষ্টা করা হচ্ছে।
চিত্রশালাসম্পাদনা
আরও দেখুনসম্পাদনা
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
বহিঃসংযোগসম্পাদনা
- who is the aunt of Shiva,non other than The daughter of Mithila
- [১]
- ancient temples in bhubaneshwar
- ashokastami in bhubaneshwar
- ashokastami