রাণাঘাট জংশন রেলওয়ে স্টেশন
রানাঘাট জংশন রেলওয়ে স্টেশন শিয়ালদহ-রানাঘাট লাইন-এর একটি গুরুত্বপূর্ণ রেলওয়ে স্টেশন ও রেল প্রান্তিক। এটি শিয়ালদহ থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।এই স্টেশনটি রাণাঘাট শহরের একমাত্র রেলওয়ে স্টেশন। দেশবিভাগের পূর্বে এটি উত্তরবঙ্গ গামী রেলপথে অতি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন ছিল। এটি রানাঘাট শহর ও পার্শ্ববর্তী এলাকার রেল-পরিষেবা প্রদান করে। যাত্রী সংখ্যার দিক দিয়ে এটি নদীয়া জেলার মধ্যে অন্যতম বড় ও পূর্ব রেল এর একটি ব্যস্ত, বৃহৎ রেলওয়ে স্টেশন।[১]
কলকাতা শহরতলি রেলওয়ে জংশন স্টেশন | |
![]() | |
অবস্থান | রাণাঘাট,পশ্চিমবঙ্গ![]() |
উচ্চতা | ১৩ মিটার (৪৩ ফু) |
মালিকানাধীন | ভারতীয় রেল |
পরিচালিত | পূর্ব রেল |
লাইন |
|
প্ল্যাটফর্ম | ৭ |
রেলপথ | ৮ |
নির্মাণ | |
গঠনের ধরন | আদর্শ |
পার্কিং | না |
সাইকেলের সুবিধা | না |
অন্য তথ্য | |
অবস্থা | সক্রিয় |
ভাড়ার স্থান | পূর্ব রেল |
ইতিহাস | |
চালু | ১৮৬২ |
বৈদ্যুতীকরণ | ১৯৬৩-১৯৬৪ |
অবস্থান | |
![]() |
ইতিহাসসম্পাদনা
এই রেলওয়ে স্টেশনটি ১৮৬৩-১৮৬৪ সালের মাঝে ইস্টার্ন বেঙ্গল রেলওয়ে তৈরি করে। সেই সময় এই স্টেশনটি কলকাতা(শিয়ালদহ)-কুষ্টিয়া লাইন এর অংশ ছিল। ১৮৮২-১৮৮৪ সালের মাঝে রানাঘাট-বনগাঁ লাইন তৈরি করে সেন্ট্রাল বেঙ্গল রেলওয়ে। ১৯০০ সালের দিকে লালগোলা লাইন তৈরি করা হয়।
বিদ্যুতায়নসম্পাদনা
রানাঘাট স্টেশন থেকে প্রথম দিকে কয়লাচালিত রেলগাড়ি চলাচল করত। অনেক পরে ১৯৬৩ সালের দিকে শিয়ালদহ-রানাঘাট ও রানাঘাট-বনগাঁ লাইনে বিদ্যুৎচালিত ট্রেন চলাচল শুরু করে। ১৯৯৫-২০০০ সালে রানাঘাট-গেদে শাখায় বিদ্যুতায়ন করা হয়।
পরিকাঠামোসম্পাদনা
রানাঘাট স্টেশনে ৭ টি প্লাটফর্ম রয়েছে।এছাড়া এখানে পণ্যবাহী রেলগাড়ির পণ্যদ্রব্য ওঠানো-নামানোর ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে একটি নতুন ওয়াগন মেরামতি কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এখান থেকে সংরক্ষিত ও অসংরক্ষিত দুপ্রকার টিকিট সংগ্রহ করতে পারেন রেলযাত্রীরা।[২][৩]
রেল লাইনসম্পাদনা
উল্লেখযোগ্য ট্রেনসম্পাদনা
শিয়ালদাহ - লালগোলা ভাগীরথী এক্সপ্রেস , কলকাতা - লালগোলা হাজারদুয়ারী এক্সপ্রেস ও ধনধান্যে এক্সপ্রেস এই স্টেশনে আগমন - প্রস্থান করে।
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ "অপেক্ষায় রাতের প্ল্যাটফর্ম"। আনন্দবাজার প্রত্রিকা। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০১৬।
- ↑ "ট্রেন থামিয়ে দিলেন মনোরোগী"। আনন্দবাজার পত্রিকা। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০১৬।
- ↑ "হাঁটতে গেলেই হোঁচট খাচ্ছে পথযাত্রীরা"। আনন্দবাজার পত্রিকা। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০১৬।