পণ্ডিত রাধাকান্ত নন্দী (ইংরেজি: Radhakanta Nandy) (২৩ মে , ১৯২৮ - ৩০ নভেম্বর, ১৯৮৪) ছিলেন প্রখ্যাত বাঙালি সংগতিয়া তথা প্রবাদপ্রতিম তবলাবাদক।[২] তবলা ছাড়াও পাখোয়াজ ও নানা যন্ত্র বাদনে সমান পারদর্শী ছিলেন তিনি।

রাধাকান্ত নন্দী
জন্ম(১৯২৮-০৫-২৩)২৩ মে ১৯২৮ [১]
বানারিপাড়া বরিশাল, বৃটিশ ভারত (বর্তমানে বাংলাদেশ)
মৃত্যু৩০ নভেম্বর ১৯৮৪(1984-11-30) (বয়স ৫৬)
পেশাতবলা বাদক
সন্তানমানিক নন্দী
পিতা-মাতারোহিনীকান্ত নন্দী (পিতা)

সংক্ষিপ্ত জীবনী সম্পাদনা

রাধাকান্ত নন্দীর জন্ম বৃটিশ ভারতের অধুনা বাংলাদেশের বরিশালের বানারীপাড়ায়। পিতা রোহিনীকান্ত নন্দী ছিলেন তার সময়কার নামি তবলিয়া ও লয়দার শিল্পী। পিতামহ কালীচরণ ছিলেন কীর্তনীয়া। পিতামহের সাথে ছোটবেলায় গ্রাম পরিক্রমায় নগরকীর্তনে শ্রীখোল বাজাতেন। ছ-বছর বয়সে খোল বাজিয়ে পুরস্কার লাভ করেন। শ্রীখোল বাজাতে বাজাতে তার আগ্রহ আসে তবলায় এবং হাতেখড়ি পিতার কাছে। কলকাতায় এসে আনোখিলাল মিশ্র ও জ্ঞানপ্রকাশ ঘোষের কাছে তালিম নেন। তবলা, পাখোয়াজ সহ নানা যন্ত্র বাদনে পারদর্শী হয়ে ওঠেন।

সিনেমার গান, জলসার আসরে, রেকর্ডের গানে বহু বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পীর সঙ্গে সংগত করে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। মান্না দে'র অত্যন্ত প্রিয় ছিলেন তিনি। একবার মান্না দে বাংলা গানে অবদান সম্পর্কে বলতে গিয়ে উল্লেখ করেন, বাংলা গানে দুজনের অবদান ভীষণ রকমের। পুলক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাধাকান্ত নন্দী। পুলকবাবু তাকে দিয়েছেন নানা বিষয়, নানা বৃন্দ। মান্না দে তো সুরের ছন্দের জাদুকর। আর বলতেন - "রাধুবাবুর মতো ওই সুর, তাল বাঁধবে কে? ও হচ্ছে ন্যাচারাল জিনিয়াস।"

একক বাদনেও তার যথেষ্ট নৈপুণ্য ছিল। তবলা বাজাতে তার অনুভূতি ছিল -

" তবলা আমায় বাজায়/ তাই তো আমি বাজি/ তবলাকে মোর দুঃখ দিয়ে/ বাজাতে নয় রাজি।"

[৩]

রাধাকান্তের গানের গলাও ভালো ছিল। অনামী শিল্পীদের সঙ্গে সঙ্গত করে তাদের উদ্বুদ্ধ করার বিশেষ ক্ষমতা ছিল তার।

১৯৮৪ খ্রিস্টাব্দের ৩০ শে নভেম্বর রাধাকান্ত নন্দী ৫৬ বৎসর বয়সে কলকাতায় প্রয়াত হন।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. আকাশবাণী, কলকাতা গীতাঞ্জলি প্রচার তরঙ্গ, প্রাত্যহিকী, ২০২১-০৫-২৩
  2. সুবোধ সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, আগস্ট ২০১৬, পৃষ্ঠা ৬৪৮ আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬
  3. "মনের পাতায় আজও লেখা মান্না"। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৫-২৩