রাজেন্দ্র নারায়ণ

রাজ রাজেন্দ্র নারায়ণ ভূপ বাহাদুর (১১ এপ্রিল ১৮৮২ – ১ সেপ্টেম্বর ১৯১৩), ছিলেন বৃটিশ ভারতের অধুনা পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার রাজ্যের মহারাজা নৃপেন্দ্র নারায়ণ ভূপ বাহাদুরের জ্যেষ্ঠ সন্তান। [১]

শিক্ষা সম্পাদনা

রাজ রাজেন্দ্র নারায়ণের জন্ম ১৮৮২ খ্রিস্টাব্দের ১১ই এপ্রিল  বৃটিশ ভারতের রাজধানী কলকাতার উডস্ ল্যান্ড প্লেসের এক কুলীন কায়স্থ পরিবারে। তিনি পড়াশোনার জন্য বিলেত যান।

১৯০০ খ্রিস্টাব্দে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলে তিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পোলো ক্লাবের টিমে পোলো খেলতেন।[২] অক্সফোর্ডে পড়াশোনা শেষে রাজেন্দ্র নারায়ণ ভারতে ফিরে আসেন এবং তার পিতাকে রাজকার্যে সহায়তা করেন। যুদ্ধবিদ্যায় সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ নেন। [৩] ইংল্যান্ডে অবস্থানকালে রাজেন্দ্র নারায়ণ পোলো খেলার সময় বক্ষদেশে আঘাত পান এবং তখন থেকেই তার বুকে অসহ্য যন্ত্রণা হত। তিনি এক প্রকারের বিপন্নতায় ভুগতেন, সেকারণে তিনি আর বিবাহ করেন নি। [৩]

তিনি ১৯০২ খ্রিস্টাব্দের ৪ই জুন বৃটিশ সেনাবাহিনীর সাম্মানিক লেফটেন্যান্ট পদ প্রাপ্ত হন।

রাজত্ব সম্পাদনা

পিতার মৃত্যুর পর রাজা রাজেন্দ্র নারায়ণ ১৯১১ খ্রিস্টাব্দে কোচবিহার রাজ্যের বাইশতম মহারাজা হিসাবে অধিষ্ঠিত হন। [৩] তিনি নিজে ব্রাহ্মধর্ম গ্রহণ করলেও রাজকার্যে নিরপেক্ষ থাকার কারণে সকলের শ্রদ্ধাভাজন ছিলেন। [৩]

মৃত্যু সম্পাদনা

রাজেন্দ্র নারায়ণের অসুস্থতা হঠাৎ বৃদ্ধি হলে চিকিৎসার জন্য তাকে লন্ডন নিয়ে যাওয়া হয় এবং তাকে চিকিৎসক ড. রিজিন রাসেলের অধীনে রাখা হয়। কিন্তু তার শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে, রাজেন্দ্র নারায়ণ কোচবিহারে শেষনিঃশ্বাস নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন, কিন্তু লন্ডনে ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দের ১লা সেপ্টেম্বরের  মধ্যরাত্রে প্রয়াত প্রয়াত হন। তার চিতাভস্ম কোচবিহারে আনা হয় এবং অন্তিম ক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। [৩] যেহেতু রাজা রাজেন্দ্র নারায়ণ নিঃসন্তান অবস্থায় পরলোক গমন করেন,১৯১৩ খ্রিস্টাব্দে জিতেন্দ্র নারায়ণ কোচবিহারের রাজ সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হন।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Royal Members Cooch Behar"। ৮ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ আগস্ট ২০১৩ 
  2. "Polo Archive"। ২৫ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ আগস্ট ২০১৩ 
  3. "History Cooch Behar"। সংগ্রহের তারিখ ২৫ আগস্ট ২০১৩