রাগ ইমন
রাগ ইমন একটি রাগ বিশেষ। রাগ ইমন একটি সম্পূর্ণ রাগ বা সপ্তস্বরী রাগ। ইমন রাগ মূলত কল্যাণ ঠাটের অন্তর্ভুক্ত। এই রাগটি হিন্দুস্তানী ও কর্ণাটিক দুইরকম উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতেই গাওয়া হয়। একটি মতে রাগটি প্রাচীনকাল থেকেই দক্ষিণ ভারতে প্রচলিত। দক্ষিণ ভারতে ইমন রাগটি রাগ কল্যাণ নামে পরিচিত। কাজেই খুব একটা পরিবর্তিত না হয়েই রাগটি আদিরুপেই ভারতবর্ষে রয়ে গেছে। অন্য মতে, ইমন হল ইয়েমেনের জনপ্রিয় সুর। মুসলিম শাসনামলে ভারতবর্ষের শাস্ত্রীয় সংগীতে পশ্চিম এশিয়া বা মধ্যপ্রাচ্য থেকে আসা গুটিকয়েক সুরের মধ্যে এটি একটি এবং ভারতবর্ষে রাগটির প্রচলন করেন আমীর খসরু।
![]() | |
ঠাট | কল্যাণ |
---|---|
ধরন | সম্পূর্ণ |
দিনের সময় | রাত্রি প্রথম প্রহর (৬ - ৯) |
আরহণ | নি্ রে গা মা ধা নি র্রে র্সা |
অবরোহণ | র্সা নি ধা পা মা গা রে সা |
পকড় | নি রে গা মা পা মা গা রে সা |
বাদী | গান্ধার (গা) |
সমবাদী | নিষাদ (নি) |
সমতুল্য | কল্যাণী |
সাদৃশ |
|
বিবরণ
সম্পাদনারাগ যমন বা ইমন কল্যাণ ঠাটের অন্তর্ভুক্ত। রাগ ‘ইমন কল্যান’ নামে আরেকটি রাগ রয়েছে যেটি সম্পূর্ণ ভিন্ন আরেকটি রাগ। এই রাগের সময় হচ্ছে রাতের প্রথম প্রহর অর্থাৎ সন্ধ্যা ৬ টা থেকে রাত ৯ টা। বিভিন্ন প্রার্থনা সংগীতে এই রাগের উপস্থিতি দেখা যায়। এই রাগ সাধারণত লঘু মেজাজের হয়।
প্রত্যেকটি রাগেই সবল স্বর ও দুর্বল স্বর থাকে। তেমনই এখানেও আছে। এর সবল স্বর হল- ষড্জ (সা), গান্ধার (গা), পঞ্চম (পা) ও নিষাদ (নি)। আর দুর্বল স্বর হল- ঋষভ (রে), তীব্র / কড়ি মধ্যম (মা) ও ধৈবত (ধা)।
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |