রাখাল চন্দ্র দাস (১ আগস্ট ১৯৩২ - ১৯৭১) একজন বাংলাদেশী চিকিৎসক ছিলেন যিনি মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েছিলেন।

প্রথম জীবন সম্পাদনা

রাখাল চন্দ্র দাসের জন্ম ব্রিটিশ ভারতের ময়মনসিংহের ত্রিশালের ধানিখোলা গ্রামে। তিনি ১৯৪৯ সালে দরিরামপুর এইচ.এ বিদ্যালয় থেকে এবং ১৯৫২ সালে আনন্দ মোহন কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৫৫ সালে তিনি লিটন মেডিকেল স্কুল থেকে এলএমএফ এবং ১৯৬৮ সালে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ থেকে এমএমবিএস ডিগ্রি অর্জন করেন।

পেশা সম্পাদনা

দাস ময়মনসিংহের মহারাজা সূর্যকান্ত হাসপাতালে ১৯৫৫ সালে সহকারী সার্জন হিসাবে যোগদান করেন এবং ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত সেখানে কর্মরত ছিলেন। এরপরে তিনি ১৯৫৭ সালে সিলেটের কুলাউড়ায় মেডিকেল অফিসার হিসাবে দিলদারপুর চা বাগান হাসপাতালে যোগদান করেন। ১৯৫৯ সাল পর্যন্ত তিনি সেখানে চাকরি করেন, তারপরে ধানিখোলা চেয়ারপারটে যোগ দেন ত্রিশালের মেডিকেল অফিসার হিসাবে হাসপাতাল এবং ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত সেখানে কাজ করেছেন। ১৯৬৮ সালে তিনি গুরুদয়াল ফার্মাসি সংযুক্ত নিজস্ব ফার্মাসি নিয়ে একটি স্বতন্ত্র অনুশীলন প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ১৯৬৯ সালের জুন মাসে শ্রীমঙ্গলের মির্জাপুর ইস্পাহানী চা বাগান হাসপাতালে মেডিকেল অফিসার হিসাবে যোগদান করেন।

মৃত্যু সম্পাদনা

১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ পাকিস্তান সেনাবাহিনী অপারেশন সার্চলাইট শুরু করএ এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়। পাকিস্তান সেনাবাহিনী শ্রীমঙ্গলে একটি শিবির স্থাপন করেছিল। তারা স্থানীয় লোকজনকে আক্রমণ করে। স্থানীয় মানুষ এবং চা বাগানের শ্রমিকরা রাস্তা অবরোধ করে, সেতু ভেঙে দিয়ে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে।

১৯৭১ সালের ১২ মে ক্যাপ্টেন তারেকের নেতৃত্বে পাকিস্তান সেনাবাহিনী দাসের হাসপাতাল ঘেরাও করে এবং অতর্কিত আক্রমণ করে। দাসকে হাসপাতাল থেকে অপহরণ করা হয়েছিল এবং তার পরে তাকে আর কখনও দেখা যায়নি। পরে তাকে মৃত বলে ধরে নেয়া হয়।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা