রহিমআফরোজ
রহিমআফরোজ (বাংলাদেশ) লিমিটেড বাংলাদেশের একটি কোম্পানি। ১৯৫৪ সালে চট্টগ্রামে আব্দুর রহিম এর নেতৃত্বে একটি ছোট্ট ট্রেডিং কোম্পানি হিসাবে তার যাত্রা শুরু করে যা আজ বর্তমানে বাংলাদেশের অন্যতম একটি বড় গ্রুপ হিসাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে।
ধরন | লিমিটেড কোম্পানি |
---|---|
প্রতিষ্ঠাকাল | ১৯৫৪ |
প্রতিষ্ঠাতা | আব্দুর রহিম |
সদরদপ্তর | চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ |
ওয়েবসাইট | www |
ইতিহাস
সম্পাদনাএ সি আবদুর রহিম ১৯৫৪ সালে একটি ছোট্ট ট্রেডিং কোম্পানি নিবন্ধিত করেন ও যাত্রা শুরু করেন। এটি ১৯৮০ সালে যুক্তরাজ্যের লুকাস ব্যাটারি অধিগ্রহণের মাধ্যমে সফল ব্যবসার শুরু করে। ১৯৮২ সালে আবদুর রহিম মারা গেলে তার তিন সন্তান আফরোজ রহিম, ফিরোজ রহিম এবং নিয়াজ রহিম ব্যবসার হাল ধরেন।
কোম্পানিটি ১৯৮৫ সালে প্রথম শিল্প-ব্যাটারি উৎপাদন শুরু করে। ১৯৮৫ সালে প্রথম সোলার পাওয়ারের ক্ষেত্রে ব্রিটিশ পেট্রোলিয়ামের সহায়তায় কাজ শুরু ও ১৯৯২ সালে প্রথম সিঙ্গাপুরে ব্যাটারি রপ্তানি করে।
রহিমআফরোজ বাংলাদেশে ১৯৯৩ সালে প্রথম আইপিএস চালু করে। কোম্পানিটি ২০০০ সালে ভারতের আহমেদাবাদে অফিস খোলে। ২০০১ সালে বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ অব দ্য ইয়ার হয় এবং একই সালে আগোরা ব্র্যান্ড নামে রহিমআফরোজ সুপারস্টোর্স লিমিটেড চালু করে।
ব্যবসা
সম্পাদনাবর্তমানে এই গ্রুপের ৯ টি ব্যক্তি মালিকানাধীন ব্যবসায়িক শাখা ও কিছু অংশীদার ভিত্তিক ব্যবসায়িক শাখা বিদ্যমান আছে। গ্রুপের পরিচালনায় যারা আছেন তারা হলো, চেয়ারম্যান জনাব আফরোজ রাহিম, ম্যানেজিং ডিরেক্টর ফিরোজ রাহিম, নিয়াজ রহিম, মোহাম্মদ ঈসমাইল, মনোয়ার মিসবাহ মঈন এবং মুদাসসির মঈন।
গ্রুপের মূল ব্যবসা গাড়ির যন্ত্র সামগ্রী, পাওয়ার এন্ড এনার্জি এবং রিটেইল চেইন। বর্তমানে গাড়ির টায়ার, ব্যাটারী, গাড়ির ইঞ্জিনের তেল, জেনারেটর, বাতি, ইলেকট্রিকাল যন্ত্র সামগ্রী, সিএনজি স্টেশন এবং পাওয়ার স্টেশন ইত্যাদি।
গ্রুপের অন্যতম ব্যবসা হচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরাতন ও রিটেইল চেইন আগোরা।
অর্জন
সম্পাদনাপ্রতিষ্ঠানটি ২০০১-২০০২ সালে সেরা রফতানিকারকের ট্রফি অর্জন করে। ২০০৪ সালে বাংলাদেশে ফাইবার অপটিকভিত্তিক মেট্রোনেট বাংলাদেশে চালু করে নবায়নযোগ্য শক্তির জন্য ম্যাক গ্র হিল প্যাট রিনিউঅ্যাবেল এনার্জি পদক পায়। এটি ২০০৬ সালে অ্যাশডেন পুরস্কার পায়। ২০০৮ সালে ব্র্যান্ড লিডারশিপ পুরস্কার পায়। ২০১০ সালে এশিয়ার সেরা ব্রান্ড ও বেস্ট ইম্পোয়ারের সিএমও পুরস্কার পায়।[১]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "আগের সেই রহিমআফরোজ নেই!"। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। ২৯ জুলাই ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২ ডিসেম্বর ২০১৮।