রম্ভা (অভিনেত্রী)

ভারতীয় অভিনেত্রী

বিজয়লক্ষ্মী ইয়েদী (জন্ম: ৫ই জুন ১৯৭৬; রম্ভা নামে অধিক পরিচিত) হলেন একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। তাঁর পুরো কর্মজীবন জুড়ে রম্ভা বেশ কয়েকটি ভারতীয় চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন এবং সাতটি আঞ্চলিক ভাষায় কাজ করেছেন; এই সকল চলচ্চিত্রে তিনি ভারতের বেশিরভাগ শীর্ষস্থানীয় অভিনেতাদের সাথে অভিনয় করেছেন।[২][৩]

রম্ভা
জন্ম
বিজয়লক্ষ্মী ইয়েদী

(1976-06-05) ৫ জুন ১৯৭৬ (বয়স ৪৭)[১]
জাতীয়তাভারতীয়
পেশাঅভিনেত্রী, চলচ্চিত্র নির্মাতা
কর্মজীবন১৯৯১–২০১১
২০১৭-বর্তমান
দাম্পত্য সঙ্গীইন্দ্রকুমার পাঠমনাথন (বি. ২০১০)
সন্তান

প্রারম্ভিক জীবন সম্পাদনা

রম্ভা ১৯৭৬ সালের ৫ই জুন তারিখে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের বিজয়ওয়াড়ায় একটি তেলুগুভাষী পরিবারে বিজয়লক্ষ্মী ইয়েদী নামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি বিজয়ওয়াড়ার অ্যাটকিনসন সিনিয়র মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে তাঁর স্কুল জীবনের পড়াশোনা সম্পন্ন করেছেন। তিনি যখন তাঁর ৭ম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত ছিলেন, তখন তিনি নিজের স্কুলের বার্ষিক দিবসের প্রতিযোগিতার জন্য আম্মানের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন।[৪] উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত পরিচালক হরিহরণ তাঁর অভিনয় দেখে মুগ্ধ হয়ে তাঁর সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছিলেন এবং পরে মালয়ালম চলচ্চিত্র সরগম-এ কেন্দ্রীয় নারী চরিত্রে অভিনয় করার জন্য তাঁকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন। উক্ত চলচ্চিত্রে তিনি অমৃতা নামে উপস্থিত হয়েছিলেন; পরে তিনি তেলুগু চলচ্চিত্র আ ওক্কাতু আদাক্কু তে তাঁর অভিনীত চরিত্র রম্ভার নামে নিজের নাম রেখেছিলেন।

পেশা সম্পাদনা

রম্ভা মাত্র ১৫ বছর বয়সে তাঁর পড়াশোনা ছেড়ে দিয়েছিলেন এবং তারপরে ১৯৯২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত হরিহরণের মালয়ালম চলচ্চিত্র সরগম এ বিনীতের বিপরীতে অভিনয় করে তাঁর চলচ্চিত্র জীবন শুরু করেছিলেন। এই চলচ্চিত্রটি বক্স অফিসে বেশ ভালো আয় করেছিল। যদিও তাঁকে পরিচালক ইভিভি সত্যনারায়ণ খুঁজে পেয়েছিলেন, যিনি তাঁকে তেলুগু চলচ্চিত্র আ ওক্কাতু আদাক্কু-এ অভিনয় করার জন্য প্রস্তাব দিয়েছিলেন, যেখানে তিনি রাজেন্দ্র প্রসাদের বিপরীতে জুটি বেঁধেছিলেন।[৫] এই চলচ্চিত্রটিও বক্স অফিসে বেশ ভালো আয় করেছিলে এবং তিনি ভারত জুড়ে বেশ কয়েকটি বিভিন্ন চলচ্চিত্র জগতে অভিনয়ের জন্য বেশ কয়েকটি প্রস্তাব পেয়েছিলেন। ১৯৯০-এর দশকের শেষের দিকে যখন তিনি তাঁর কর্মজীবনে সাফল্যের চূড়ায় ছিলেন, তখন তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁর কাছে আগত চলচ্চিত্রের প্রস্তাবের মধ্যে শুধুমাত্র চাকচিক্যময় চরিত্রগুলিতে অভিনয় করেছেন। অতঃপর চিরঞ্জীবী অভিনীত ১৯৯৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত হিটলার-এর মতো সফল চলচ্চিত্রে রম্ভা অভিনয় করেছেন।[৫]

২০০৩ সালে থ্রী রোজেস চলচ্চিত্রে, তিনি তাঁর ভাইয়ের সাহায্যে, প্রযোজক হিসেবে তাঁর জীবন শুরু করেছিলেন; উক্ত চলচ্চিত্রে লায়লা মেহদীন, জ্যোতিকার সাথে তিনি কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। তবে উক্ত চলচ্চিত্রটি বক্স অফিসে ব্যর্থ হয়েছিল এবং এই চলচ্চিত্রটি মুক্তির পরে তাঁর প্রচুর ঋণ হয়ে গিয়েছিল।[৬] ঋণ পরিশোধের জন্য তিনি চেন্নাইয়ের মাউন্ট রোডে তাঁর বাড়ি বিক্রি করে দিয়েছিলেন, একই সময়ে চলচ্চিত্রে অর্থ লগ্নিকারীরা তাঁর বিরুদ্ধে একটি চেক-বাউন্স মামলাও দায়ের করেছিল।[৭]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "20 साल में इतनी बदल गई 'जुड़वा' गर्ल, फिल्में छोड़ कर रही बेटियों की परवरिश"Dainik Bhaskar (হিন্দি ভাষায়)। ৫ জুন ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মে ২০১৯ 
  2. "In Fiji they planted a tree called Rambha Tree"Indian Express। ৮ জুন ২০১০। ২৪ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০১৪ 
  3. "Rambha's dumb blonde act"India Today। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুন ২০১৮ 
  4. "Watch Back to School episode 2 Online on hotstar.com"Hotstar। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুন ২০১৮ 
  5. "I crave for attention"rediff.com। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুন ২০১৮ 
  6. P. Sreekumaran (১৯ জুলাই ২০০৫)। "Rambha regains reel happiness!"Apunkachoice.com। Archived from the original on ২১ নভেম্বর ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুন ২০১৮ 
  7. "Rambha comes clean"IndiaGlitz.com। ২৯ জানুয়ারি ২০০৫। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুন ২০১৮ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা