রকপাখি

কাল্পনিক পাখি

রকপাখি মধ্যপ্রাচ্যের কিংবদন্তি অনুসারে একটি বিশালাকৃতির শিকারি পাখি

রকপাখি
দলপৌরাণিক
অনুরূপ সৃষ্টিগরুড়, সিমুর্গ, ফিনিক্স, বজ্রপাখি
পুরাণমধ্যপ্রাচ্য
অন্যান্য নাম(সমূহ)রুখ
আবাসআকাশ

আরবের রূপকথা ও নাবিকদের মুখে মুখে রকপাখি আরবের ভৌগোলিক ও প্রাকৃতিক ইতিহাসের অংশ হয়ে ওঠে। ইবনে বতুতা চীন সাগরে একটি ভাসমান পর্বতের বর্ণনা করে সেটিকেই রকপাখি বলে অভিহিত করেন।[১] আরব্য রজনী-এর অন্তর্ভুক্ত আব্দুর রহমান ও সিন্দাবাদের গল্পে রকপাখির উল্লেখ পাওয়া যায়।

ব্যুৎপত্তি সম্পাদনা

বাংলা রক শব্দটি ইংরেজি roc থেকে বাংলায় এসেছে। ফার্সি রুখ (দারি উচ্চারণ: [/rux/]) থেকে আরবি রুখ (আরবি: الرُخّ, প্রতিবর্ণীকৃত: ar-ruḫḫ) হয়ে আঁতোয়াঁ গালাঁর মাধ্যমে ফরাসি ভাষায় প্রবেশ করে।[২] এরপর সেখান থেকে ইংরেজি হয়ে আরব্য রজনী-এর অনুবাদের মাধ্যমে বাংলায় শব্দটি পরিচিত হয়। আরবি ও ফার্সি উভয় ভাষায় শব্দটি আরবি লিপির رخ দিয়ে লিখিত হয়, যা রোমানীকরণের মাধ্যমে ruḵḵ (আরবি)[২] এবং ruḵ,[২] rokh বা rukh (ফার্সি) হিসেবে লিখিত হয়।

প্রাচ্যে উদ্ভব সম্পাদনা

 
রেনে বুলের অঙ্কিত রকপাখি

শিল্প ঐতিহাসিক রুডলফ উইটকোয়ারের মতে রকপাখির ধারণাটি ভারতীয় পুরাণের আকাশচারী গরুড়[৩] ও পাতালের নাগের যুদ্ধের থেকে এসেছে। মহাভারত (১.১৩৫৩) ও রামায়ণ-এ (৩.৩৯) কুমিরের সাথে যুদ্ধরত হাতিকে গরুড় কর্তৃক আকাশে উঠিয়ে যাওয়ার দৃষ্টান্ত দেখা যায়।

 
সিন্দাবাদের গল্পে বণিকেরা রকপাখির ডিম ভেঙে ফেলে, ল মাগাজ্যঁ পিতোএস্ক, প্যারিস, ১৮৬৫

পাশ্চাত্যে বিস্তৃতি সম্পাদনা

 
১৯৬০ সালে ফ্রানৎস ফন রোজেনহফের একটি চিত্রে দুইটি রকপাখির মতো বিশালাকায় পাখি একটি হরিণ ও একটি হাতি তুলে নিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে অপর একটি পাখি সিংহকে তুলে নিতে যাচ্ছে।

র‍্যাবাই তুদেলার বেঞ্জামিন জনশূন্য দ্বীপে জাহাজডুবি থেকে বেঁচে ফেরা এক দল নাবিকের কথা থেকে রকপাখির স্মরণ করিয়ে দেন। নাবিকেরা ষাঁড়ের চামড়ায় নিজেদের জড়িয়ে নেন যেন গ্রিফিনেরা তাদের গবাদি পশু মনে করে উড়িয়ে নিয়ে আসে।[৪]

ত্রয়োদশ শতাব্দীতে মার্কো পোলো (অ্যাটনবরা (১৯৬১:৩২) কর্তৃক উদ্ধৃত) বলেন:

সেটি সমগ্র বিশ্বের ঈগলদের মতোই ছিল, কিন্তু ছিল বিশালাকায়; এত বড় যে এদের পালকের অগ্রভাগ ছিল বারো পেস লম্বা এবং সেই অনুপাতে মোটা। এবং এরা এত শক্তিশালী যে এদের পায়ের নখরে করে একেকটি হাতি ধরে আকাশে নিয়ে যাবে এবং উপর থেকে ছেড়ে দেবে যাতে সেগুলো থেতলে যায়; এভাবে তাদের মারার পর পাখিগুলো নিচে নেমে আসবে এবং অবসরমতো সেগুলোকে খাবে।

পোলো দাবি করেন পাখিগুলো “দক্ষিণের অঞ্চল থেকে” মাদাগাস্কারে উড়ে যায় এবং মহান খানের পাঠানো এক দূত সেখানে গিয়ে রাফিয়া পামের পাতার মতো পালক নিয়ে আসে।[৫] দূত সুনির্দিষ্টভাবে গ্রিফিনের থেকে পাখিটিকে আলাদা হিসেবে শনাক্ত করে।

আরব্য রজনী-তে সিন্দাবাদের দ্বিতীয় অভিযানে এক ক্রান্তীয় দ্বীপে রকপাখির দেখা পাওয়া যায়। মার্কো পোলোর বর্ণনার জন্য এই দ্বীপকে মাদাগাস্কার বলে ধরে নেওয়া হয়। ফলে সেটি কল্পনায় বিশালাকায় পাখিদের দেশে পরিণত হয়।[৫] সন্দেহাতীতভাবে, মার্কো পোলোর বর্ণনা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে ফার্দিনান্দ মাগেলানের সহচর আন্তোনিও পিগাফেত্তা বিশ্বব্যাপী তার ভ্রমণের রংচঙে বর্ণনা লিখেছিলেন (বা কাউকে দিয়ে লিখিয়েছিলেন), যেখানে পিগাফেত্তার বর্ণনায়[৬] রকপাখির নিবাস ছিল চীনের সাগর। এই বর্ণনা তৎকালের মানুষের কল্পনাকে নাড়া দেয়, যার প্রভাব তখনকার চিত্রাঙ্কনে প্রত্যক্ষ করা যায়। যেমন স্ত্রাদানুস আনু. ১৫৯০ খ্রিষ্টাব্দে[৭] বা থিয়োডর ডি ব্রাই ১৫৯৪ খ্রিষ্টাব্দে নখরে করে রকপাখির একটি বিশাল হাতি তুলে নিয়ে যাওয়া[৮] বা সিন্দাবাদের পঞ্চম অভিযানের মতো রকপাখির ডিম ভেঙে ফেলায় পুরো জাহাজ ভেঙে ফেলার চিত্র অঙ্কন করেন। উলিসি আলদ্রোভান্দি তার অর্নিথোলজিয়া (১৫৯৯) নামক কাঠখোদাইশিল্পে শূকরের মতো দেখতে হাতিকে তুলে নেওয়া রকপাখির প্রতিকৃতি দেখানে।[৯] কিন্তু ১৭শ শতাব্দী নাগাদ যুক্তিবাদী বিশ্ব রকপাখির অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলতে থাকে। আধুনিক যুগে রকপাখি অন্যান্য পৌরাণিক ও লোককাহিনিভিত্তিক সত্তার মতো ডাঞ্জিয়নস অ্যান্ড ড্রাগনস-জাতীয় কল্পকাহিনিনির্ভর গেমের অংশ হিসেবে অন্তুর্ভুক্ত হয়ে গেছে।

যুক্তিবাদী বর্ণনা সম্পাদনা

১৯শ শতাব্দীতে যুক্তবাদী সংস্কৃতির আগমনে রকপাখির পৌরাণিক উৎসের কিছু “বৈজ্ঞানিক” ব্যাখ্যা দাঁড় করানো হতে থাকে। ঈগল পাখির সদ্যোজাত ভেড়ার বাচ্চা উড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় এর শক্তিমত্তা কল্পনা করে রকপাখির ধারণা এসে থাকতে পারে বলে কেউ কেউ মত দেন। ১৯৬৩ সালে জিওভান্নি জিউসেপ্পে বিয়ানকনি রকপাখিকে একটি “র‍্যাপ্টর” বলে মত দেন (হকিন্স ও গুডম্যান, ২০০৩: ১০৩১)। সম্প্রতি মাদাগাস্কার থেকে বিশালাকায় মালাগাসি মুকুটধারী ঈগলের উপ-জীবাশ্ম (যার জীবাশ্মীকরণ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়নি) আবিষ্কৃত হয়েছে, যা সম্ভবত এক সময় এই দ্বীপের প্রধান শিকারী প্রাণী ছিল। তাদের সমসাময়িক মহাপ্রাণীদের মধ্যে রয়েছে বিশালাকৃতির লেমুরপিগমি জলহস্তী ইত্যাদি।[১০]

 
প্যারিসের জাতীয় প্রাকৃতিক ইতিহাস জাদুঘরে সংরক্ষিত হাতিপাখির ডিম

রকপাখির কিংবদন্তির আরেকটি সম্ভাব্য উৎস হলো মাদাগাস্কার থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া আরেকটি পাখি হাতিপাখি ইপায়োর্নিস। এটি ছিল তিন মিটার লম্বা উড়তে অক্ষম পাখি। ১৬শ শতাব্দী নাগাদ মানুষের শিকারের ফলে পাখিটি বিলুপ্ত হয়ে যায়।[১১] ১৬৫৮ সালে মাদাগাস্কারের ফরাসি গভর্নর ইটিয়েন ডে ফ্লাকুরের বর্ণনা থেকে অন্তত জনমুখে হাতিপাখি দেখার ঘটনা জানা যায়।[৫] জীবিত বা উপ-জীবাশ্ম অবস্থায় এদের ডিম অন্তত ১৪২০ সালের থেকে পাওয়ার নজির দেখা যায়। আনুমানিক সেই সময়েই ১৪৫৬ সালের ফ্রা মাউরোর বিশ্ব মানচিত্রে লেখা অনুসারে উত্তমাশার অন্তরীপ অঞ্চলে আসা নাবিকেরা রকপাখির ডিম পাওয়ার বিষয়ে জানা যায়। মানচিত্রে রকপাখি “হাতি ও অন্যান্য বৃহৎ জন্তু উড়িয়ে নিয়ে যায়” বলে উল্লেখ করা হয়েছিল।[১২][১৩] ১৮৩০ এবং ১৮৪০ সালের মধ্যে ইউরোপীয় পর্যটকেরা মাদাগাস্কারে বড় বড় ডিম ও ডিমের খোলস দেখতে পাওয়ার কথা উল্লেখ করেন। ইংরেজ পর্যবেক্ষকরা নিউজিল্যান্ডের মোয়া পাখির সম্পর্কে অবগত থাকায় এই বর্ণনাগুলোর সত্যতা স্বীকার করে নেয়। ১৮৫১ সালে ফরাসি বিজ্ঞান একাডেমি এরকম তিনটি ডিম সংগ্রহ করতে সমর্থ হয়। সেগুলো এবং পরবর্তীতে প্রাপ্ত অন্যান্য জীবাশ্ম থেকে ১৯শ শতাব্দীতে ইউরোপীয়রা এই ধারণায় আসে যে ইপায়োর্নিস-ই হলো সেই পৌরাণিক রকপাখি। তবে লোককাহিনির বর্ণনার মতো হাতিপাখি ঈগলের মতো দেখতে ছিল না।[৫]

 
স্ত্রাদানুসের নকশার পর এলিফ্যান্ট ক্যারিড অ্যাওয়ে বাই অ্যা রক, ১৫৯০

রকপাখির কিংবদন্তির উৎস অনুসন্ধানের অপর একটি বর্ণনায় আফ্রিকার উটপাখির সাথে সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করা হয়। উড়তে না পারা এবং অদ্ভুতদর্শনের জন্য এই পাখিগুলোকে ভুলবশত কোনো বৃহদাকায় প্রজাতির অংশ বলে মনে হয়। তবে কোনো কোনো দাবিমতে পুরাতন গ্রন্থের (ওল্ড টেস্টামেন্ট) অনুবাদের কারণে বাইবেলের যুগ থেকেই ইউরোপীয়রা উটপাখির সাথে পরিচিত ছিল।[১৪] অন্যদিকে মধ্যযুগের উত্তর ইউরোপীয় বা ভারতীয় পর্যটকের কাছে উটপাখির এই কিংবদন্তি উপস্থাপন করা হলে সম্ভবত সেগুলো সম্পর্কে তাদের স্পষ্ট ধারণা করা সম্ভব ছিল না (ইউরোপে হাতির ইতিহাস দেখুন)।

১২৯৮ সালে মার্কো পোলোর রুখ-এর বর্ণনা ছাড়াও, ১১৭৮ সালে চৌ চু-ফেই (周去非) তার লিংওয়াই দাইদা গ্রন্থে আফ্রিকার একটি বিশাল দ্বীপের কথা বলেন, যেখানের পাখিদের নখরে জলাধার সৃষ্টি হয়।[১৫] অন্যদিকে কুবলাই খানের দরবারে রকপাখির পালকের নামে খুব সম্ভবত রাফিয়া পামের পাতা নিয়ে আসা হয়েছিল।[১৬][১৭]

সাম্প্রতিককালে গবেষকেরা কিংবদন্তির রকপাখির সাথে নিউজিল্যান্ডের হাস্টের ঈগলপাখির মিল খুঁজে পেয়েছেন। ১.৪ মি (৪ ফু ৭ ইঞ্চি) লম্বা ও ৩ মি (৯.৮ ফু) বিস্তৃত ডানাবিশিষ্ট পাখিটি ১৫শ শতাব্দীর দিকে বিলুপ্ত হয়ে যায়। বিলুপ্তির পরেও পাখিটি থেকে মাওরি কিংবদন্তি তে হাকিওই বা তে হাকাওয়াই-এর উদ্ভব হয়েছে বলে ধারণা করা হয়।[১৮] কোনো কোনো বর্ণনায় একে বিশালাকাউ রঙিন পাখি বলা হয়েছে, যারা অধিকাংশ সময় মেঘের আড়ালে লুকিয়ে থাকে এবং মাঝেমাঝে পৃথিবীতে নেমে এসে খাওয়ার জন্য মানুষ ধরে নিয়ে যায়। শুধু এদের নামের সদৃশ ডাক শুনতে পাওয়া যায়। তবে হাকিওই-কে প্রকৃত কোনো জন্তু থেকে উদ্ভাবিত কাল্পনিক প্রাণী বলেই মনে হয়। যেমনটি রকপাখির ক্ষেত্রেও ধরা হচ্ছে। ১৯৮০-এর দশকে দেখা যায় সিনোকোরাইফা নামের এক ধরনের নিশাচর জলজ পাখি প্রজনন উড্ডয়নের সময় লেজ নেড়ে বিশাল গর্জনের মতো আওয়াজ করতে থাকে।[১৯] হোকিওই-এর রঙিন পালক কোনো জানা পাখিত সাথে মিলে না। প্রকৃতপক্ষে শিকারি পাখির জন্য এরকম রঙিন পালক অনেকটা অস্বাভাবিক। এইভাবে ধরা হয় হোকিওই এই পাখিগুলোর বিশাল শব্দ সম্পর্কে পূর্বপুরুষদের বর্ণনা থেকে মুখে মুখে চলে আসা ঈগলের কোনো জনশ্রুতি।

ধর্মীয় সম্পর্ক সম্পাদনা

মাইকেল ড্রেটন সম্পাদনা

১৬শ শতাব্দী জুড়ে ইউরোপীয়রা রকপাখির অস্তিত্বের কথা বিশ্বাস করে নিতে থাকে। ১৬০৪ সালে মাইকেল ড্রেটন রকপাখি নূহের নৌকা বহন করেছিল বলে বর্ণনা করেন:

All feathered things yet ever knowne to men,
From the huge Rucke, unto the little Wren;
From Forrest, Fields, from Rivers and from Pons,
All that have webs, or cloven-footed ones;
To the Grand Arke, together friendly came,
Whose severall species were too long to name.[২০]

ইথিওপীয় সম্পাদনা

ইথিওপীয়দের পবিত্র গ্রন্থ কেব্রা নেগাস্ট-এ রুখের বিবরণ পাওয়া যায়। বর্ণনা অনুসারে রুখ রাজা সলোমনকে পবিত্র কাঠের টুকরো এনে দিয়েছিল, যার মাধ্যমে তিনি সলোমনের মন্দির সম্পূর্ণ করতে সমর্থ হন। এই কাঠের টুকরো ছাগলের পা থেকে মানুষের পা তৈরি করে শেবার রানি বিলকিসের পা রূপান্তর করে দিয়েছিল বলেও উল্লেখ পাওয়া যায়। সেই কারণে রুখের আনা কাঠের টুকরোটি মন্দিরে যথাযোগ্য সম্মানের সাথে রূপার চক্র দিয়ে সাজিয়ে রাখা হয়েছিল। প্রচলন অনুযায়ী এই রৌপ্য চাকতিটি যিশুর সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করার মূল্য হিসেবে জুডাস ইস্কারিওটকে প্রদান করা হয়েছিল। অন্যদিকে সেই কাঠের টুকরো থেকে যিশুর ক্রুশ তৈরি করা হয়।

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র ও পাদটীকা সম্পাদনা

  1. Noted in Yule-Cordier, Cathay and the Way Thither IV (1916:146), noted by Wittkower 1938.
  2. roc /[phonetic transcription]/ n. Also (earlier) ✝roche, ✝rock, ✝ruc(k), ✝rukh. L16 [Sp. rocho, ruc f. Arab. ruḵḵ, f. Pers. ruḵ.] A mythical bird of Eastern legend, imagined as being of enormous size and strength (The New Shorter Oxford English Dictionary, Clarendon Press, Oxford, Volume 2 N-Z, 1993 edition, page 2614)
  3. Wittkower noted the identification of the roc and Garuda made in Kalipadra Mitra, "The bird and serpent myth", The Quarterly Journal of the Mythic Society (Bangalore) 16 1925–26:189.
  4. M. Komroff, Contemporaries of Marco Polo 1928:311f.
  5. লে, উইলি (আগস্ট ১৯৬৬)। "Scherazade's Island"। For Your Information। গ্যালাক্সি সায়েন্স ফিকশন (ইংরেজি ভাষায়)। পৃষ্ঠা ৪৫–৫৫। 
  6. Or the Italian version in Ramusio's Delle navigationi et viaggi, mentioned in Rudolf Wittkower, "'Roc': An Eastern Prodigy in a Dutch Engraving" Journal of the Warburg Institute 1.3 (January 1938:255–257) p 255
  7. An engraving after Stradanus is reproduced in Wittkower 1938:fig 33c.
  8. De Bry's engraving is reproduced in Attenborough (1961: 35)
  9. Illustrated in Wittkower 1938:33, fig. b.
  10. গুডম্যান, ১৯৯৪
  11. টাইসন, পিটার (২০০০)। দি এইটথ কন্টিনেন্ট  (ইংরেজি ভাষায়)। নিউইয়র্ক। পৃষ্ঠা ১৩৮–১৩৯ 
  12. নীধম, জোসেফ (১৯৭১)। সায়েন্স অ্যান্ড সিভিলাইজেশন ইন চায়না (ইংরেজি ভাষায়)। ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ৫০১। আইএসবিএন 9780521070607 
  13. মেজর, রিচার্ড হেনরি (১৮৬৮)। দ্য লাইফ অব প্রিন্স হেনরি অব পর্তুগাল সারনেমড দ্য নেভিগেটর, অ্যান্ড ইটস রেজাল্টস, কম্প্রাইজিং দ্য ডিস্কভারি, উইথইন ওয়ান সেঞ্চুরি, অব হাফ দ্য ওয়ার্ল্ড ... ফ্রম অথেনটিক কনটেমপোরারি ডকুমেন্টস (ইংরেজি ভাষায়)। বিবলিওটেকা নাসিওনাল দে অস্ট্রিয়া – অ্যাশার (সম্পাদক)। পৃষ্ঠা ৩১১। 
  14. "Job 39:13-18 - "The wings of the ostrich flap joyfully, though...NIV"বাইবেল স্টাডি টুলস (ইংরেজি ভাষায়)। 
  15. পিয়ারসন; গডেন (২০০২)। ইন সার্চ অব দ্য রেড স্লেভ। পৃষ্ঠা ১২১। আইএসবিএন 0750929383 
  16. Yule's Marco Polo, bk. iii. ch. 33, and Academy, 1884, No. 620.
  17. Attenborough, D. (1961). Zoo Quest to Madagascar. Lutterworth Press, London. p.32-33.
  18. "New Zealand Birds" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুলাই ২০১০ 
  19. Miskelly (1987), Galbreath & Miskelly (1988)
  20. ড্রেটন, মাইকেল (১৯৬১)। দ্য ওয়ার্কস অব মাইকেল ড্রেটন (ইংরেজি ভাষায়)। । অক্সফোর্ড: ব্ল্যাকওয়েল। পৃষ্ঠা ৩৩৮। 
  21. "Mount Qaf"মিথোলজি ডিকশনারি (ইংরেজি ভাষায়)। ৩১ জুলাই ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ অক্টোবর ২০২২ 

উৎস সম্পাদনা

রকপাখি সম্পর্কে কিংবদন্তির সংগ্রহের জন্য এডওয়ার্ড লেনের অ্যারাবিয়ান নাইটস, অধ্যায় ২০ দেখুন। টীকা ২২, ৬২।
  • Bochart, Samuel, Hierozoicon, vi.14
  • Damfri, I. 414, ii. 177 seq.
  • Flacourt, E. de (1658). Histoire de la grande île de Madagascar. Paris. New edition 2007, with Allibert C. notes and presentation, Paris, Karthala ed. 712 pages
  • Goodman, Steven M. (1994). "Description of a new species of subfossil eagle from Madagascar: Stephanoaetus (Aves: Falconiformes) from the deposits of Amphasambazimba," Proceedings of the Biological Society of Washington, 107: 421–428.
  • Galbreath, Ross & Miskelly, Colin M. (1988): The Hakawai. Notornis 35(3): 215–216. PDF fulltext ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৭ অক্টোবর ২০০৮ তারিখে
  • Miskelly, Colin M. (1987): The identity of the hakawai. Notornis 34(2): 95–116. PDF fulltext
  • Hawkins, A.F.A. & Goodman, S.M. (2003) in Goodman, S.M. & Benstead, J.P. (eds.): The Natural History of Madagascar: 1019–1044. University of Chicago Press.
  • Ibn Batuta, iv. 305ff
  • Kazwini, i. ~I9 seq.
  • Pearson, Mike Parker & Godden, K. (2002). In search of the Red Slave: Shipwreck and Captivity in Madagascar. Sutton Publishing, Stroud, Gloucestershire.
  • Spiegel, Friedrich, Eranische Alterthumskunde, ii. 118.
  • Yule, Heny[যাচাই প্রয়োজন] as above.
  • Allibert C., Le monde austronésien et la civilisation du bambou: une plume qui pèse lourd: l'oiseau Rokh des auteurs arabes, in Taloha 11, Antananarivo, Institut de Civilisations, Musée d'Art et d'Archéologie, 1992: 167–181

আরও পড়ুন সম্পাদনা

  • Al-Rawi, Ahmed. "A Linguistic and Literary Examination of the Rukh Bird in Arab Culture." Al-'Arabiyya 50 (2017): 105–17. www.jstor.org/stable/26451398.

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা