রংপুর চিড়িয়াখানা
বিনোদন উদ্যান ও রংপুর চিড়িয়াখানা বা রংপুর চিড়িয়াখানা বাংলাদেশের রংপুরে অবস্থিত একটি চিড়িয়াখানার। এটি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং উত্তরবঙ্গের মধ্যে সবচেয়ে বড় চিড়িয়াখানা। চিড়িয়াখানাটি ২১.৫১ একর (৮.৭০ হেক্টর) এলাকা জুড়ে রয়েছে। এতে সবুজ গাছ ও ঘাসের সমারোহ রয়েছে।চিড়িয়াখানাটি রংপুর পুলিশ লাইন সড়কের পাশে হনুমান-তলা রাস্তার পূর্ব দিকে অবস্থিত। এটি জেলা প্রশাসন অফিস থেকে খুব বেশি দূরে নয়।
চিড়িয়াখানার প্রবেশদ্বার | |
স্থাপিত | ১৯৮৯ |
---|---|
খোলার তারিখ | ১৯৯২ |
অবস্থান | হনুমান তলা, রংপুর, বাংলাদেশ |
স্থানাঙ্ক | ২৫°৪৫′২০.১৬″ উত্তর ৮৯°১৫′৫.৪″ পূর্ব / ২৫.৭৫৫৬০০০° উত্তর ৮৯.২৫১৫০০° পূর্ব |
আয়তন | ২১.৫১ একর (৮.৭০ হেক্টর) |
প্রাণীর সংখ্যা | ২১৫ (২০১৮) |
প্রজাতির সংখ্যা | ২৬ (২০১৮) |
![]() |
রংপুর কেন্দ্রীয় চিড়িয়াখানা রংপুর শহরের অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র। এখানে রয়েছে শিশু পার্ক, রেস্তোরা, কৃত্রিম হ্রদ এবং বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী ও বৃক্ষ।
ইতিহাসসম্পাদনা
চিড়িয়াখানাটি ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৮৮ সালের ১৪ আগস্ট পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে থাকা ২১.৫১ একর (৮.৭০ হেক্টর) জমিতে ১.৮ কোটি টাকা ব্যয়ে রংপুর চিড়িয়াখানার নির্মাণ কাজ শুরু হয়। দুই বছর পর ১৪ জুন ১৯৯১ সালে দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।[১] উন্মুক্তের সময় এখানে ২৩ প্রজাতির প্রাণী প্রদর্শন করা হয়েছিল।
আকর্ষণসম্পাদনা
২০১৮ সালের হিসাবে, চিড়িয়াখানায় ২৬ প্রজাতির ২১৫টি প্রাণী ছিল। এখানে বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী রয়েছে; এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে সুন্দরবনের বেঙ্গল টাইগার, সিংহ, গণ্ডার, জলহস্তী, হরিণ, বানর, চিতাবাঘ, ভাল্লুক, কুমির, অজগর, কচ্ছপ প্রভৃতি। এছাড়াও রয়েছে ময়না, টিয়া, ময়ূর, কাকাতুয়া, কবুতর, বক সহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি।
আরও দেখুনসম্পাদনা
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ রংপুর প্রতিনিধি (২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৩)। "শত কোটি টাকা ব্যয়ে সাজানো হচ্ছে রংপুর চিড়িয়াখানা"। দৈনিক ইত্তেফাক। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ২১, ২০১৬।